নাটকীয় ভাবে বিজেপি যোগ দিলেন পূর্বমেদিনীপুর জেলা পরিষদের খাদ্যকর্মাধ্যক্ষ সিরাজ খান। সঙ্গে ছিল দলীয় সমর্থকরা।
ধান পান ফুল ও মৎস্য চাষীদের স্বার্থ সুরক্ষিত করতে কৃষি আইন ২০২০ এর সমর্থনে ঐতিহাসিক জনসভা পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মেচেদা…
ধান পান ফুল ও মৎস্য চাষীদের স্বার্থ সুরক্ষিত করতে কৃষি আইন ২০২০ এর সমর্থনে ঐতিহাসিক জনসভা পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মেচেদা রেল ময়দানে। উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয়, বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায় বিজেপি নেতৃত্বরা। এদিন জনসভা কার্যত কীর্তন গানের আসরে পরিণত হয়। বিজেপির আজকের এই সভায় পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ সিরাজ খান যোগদান করেন।বিজেপির এই সভায় দুই থেকে আড়াই হাজার কর্মী সমর্থকরা উপস্থিত হয়।
এই দিন বিজেপিতে যোগদান করে সিরাজ খান তৃনমুলের উপরে ক্ষোভ উগরে দিলেন। সিরাজ খান বলেন, আমি বরাবরই মানুষের জন্য কাজ করে এসেছি। কিন্তু বিগত দুই বছর জেলা পরিষদের খাদ্য কর্মাধ্যক্ষের পদ ছাড়া আমার কোনো কাজ নেই। ময়না গড়ের মৎস্য চাষ , বিগত চল্লিশ বছর ধরে অভিজ্ঞতা দিতে পারলাম না আমি ব্যর্থ। কিন্তু মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী দীঘায় প্রসাশনিক মিটিং করে বলছেন, সারা রাজ্যে ময়না গড়ের মডেলে মৎস্য চাষের কথা। আমি কিছুই বলতে পারছি না।কারন আমি খাদ্যকর্মাধক্ষ্য। মুখটা সেলোটেপ দিয়ে আটা। পেটটা গড়গড় করছে। আমি আসল ময়না গড়ের মুখ্যমন্ত্রী একবার ও আমার নাম নিলেন না।
তিনি আরো বলেন, আজকের শিক্ষকরা শান্তিতে নেই। মিড ডে মিলের ছোলা বিলি করতে গিয়ে মার খাচ্ছে।রেশন ডিলার ও শান্তিতে নেই। নিম্নমানের দেওয়ার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে ছিলাম। হাতেনাতে ধরে তা জেলা প্রশাসনের হাতে তুলে দিয়েছি। সম্প্রতি নোংরা ছোলার বিরুদ্ধেও বাজেয়াপ্ত করে জেলা প্রশাসনের হাতে তুলে দিয়েছিলাম। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি।
আমি খাদ্যাকর্মধক্ষ। আমার কোন কাজ নেই, মাসে একটা করে মিটিং হয় জেলা পরিষদে, ডিএম, সভাধিপতি, সহ সভাপতি সহ আমলা আধিকারিকরা থাকেন। মিটিং এর সব লিখে নিয়ে চলে যান, কোন কার্যকর কিছু ই হয়না, সব মিটিং, সিটিং, সেটিং।
কেবলমাত্র মাসিক গাড়ির তেল খরচ এবং সামান্য কয়েকটা টাকা হাতে পেয়েছিলাম, সেগুলি আমি দুস্থ মানুষজনের মধ্যেই বিতরণ করে দিয়েছি।