তরুন চট্টোপাধ্যায় । কলকাতা
ক্ষিদ্দার শেষ লড়াই টি আর জেতা হলো না।কোনি কে জলের মাঝে জিতিয়ে আনলেও সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় নিজে জিতে ফিরতে পারলেন না।আজ দুপুর 12/15 মিনিটে সমস্ত অনুরাগীদের সব ইচ্ছে কে দূরে সরিয়ে দিয়ে অনন্ত লোকে যাত্রা কর…
তরুন চট্টোপাধ্যায় । কলকাতা
|
শিল্পী - শিক্ষক নরসিংহ দাস
|
ক্ষিদ্দার শেষ লড়াই টি আর জেতা হলো না।কোনি কে জলের মাঝে জিতিয়ে আনলেও সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় নিজে জিতে ফিরতে পারলেন না।আজ দুপুর 12/15 মিনিটে সমস্ত অনুরাগীদের সব ইচ্ছে কে দূরে সরিয়ে দিয়ে অনন্ত লোকে যাত্রা করলেন তিনি।এই ভালো এই মন্দের দোলাচলে যবনিকা পাত ঘটলো।নক্ষত্রের পতন হলো আজ দুপুরে ।
6 অক্টোবর করোনাক্রান্ত হয়ে হাসতে হাসতে কলকাতার বেলভিউ নার্সিং হোমে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি।সকলেই আশা করেছিলেন নেগেটিভ হয়ে ফিরে আসবেন।কিন্তু শরীরের নানা জটিলতা তাঁকে বার বার গ্রাস করছিলো।একে তো শিল্পীর 85 বছর বয়স।তবুও তিনি যে সৌমিত্র ।তাই ভাবনা ছিল তিনি আবার ফ্লোরে ফিরবেন।না ,আমরা আশাহত।আর তিনি ফিরবেন না।তাঁর শিল্প কর্মের স্মৃতি চারন করেই আমাদের বাঁচতে হবে।নতূন করে আর তো কিছু তিনি যে দেবেন না।তবুও বলতে ইচ্ছে করছে যা পেয়েছি তোমা হতে তুলনা তার নাই।
1959 সালে অপুর সংসার দিয়ে তার জয়যাত্রা শুরু।না আর কখনোই পিছনে ফেরা নয়।এবার শুধুই এগিয়ে চলার গান।
শিল্পীর মৃত্যু তে শোক জ্ঞাপন করছেন সকলে।অপর্না সেন, শর্মিলা ঠাকুর,সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায় কত নাম লিখি।নাট্যজগতের কৌশিক সেন তো বলেই দিলেন উনি না থাকলে আমার পেশাদার শিল্পী হওয়া হতো না।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় ও পৌঁছে গেছেন হাসপাতালে ।
সমগ্র দেশ জুড়ে আজ শোকের ছায়া ।দেশ ই বা বলি কেন।সমগ্র পৃথিবী আজ শোকে মুহ্যমান ।
সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় আজ নেই।
সত্যজিত রায়ের নামটি এলেই চলে আসতো সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের নাম।কারন পরিচালক আর অভিনেতার মধ্যে ছিল এক অভিন্ন বন্ধন।সত্যজিত চলে গেছেন অনেক আগেই।আজ চলে গেলেন সৌমিত্র।
শুধু সত্যজিত নন ।আরো অনেক পরিচালকের ছবিতেও অভিনয় করেন তিনি।
কোনির ক্ষিদ্দা আজ চলে গেলেন।
বাংলা সিনেমার শুধু নয় ,নাটক , আবৃত্তি থেকে শিল্পের সব খানেই ঘটে গেল নক্ষত্রের পতন।
কে আর বলবেন কোনি ফাইট।কোনি ফাইট।
চল্লিশ দিন ধরে নিজেই ফাইট করতে করতে চলে গেলেন তিনি।
হেরে গেলেন বলবো না।
বরং বলি আর এক নতৃন জগতে গিয়ে আবার ও তিনি ফাইট শুরু করবেন।