বিভাগ - স্বীকারোক্তিকলমে - সুব্রত মিত্রকোলকাতা - ৭০০১৫০,১৪/১১/২০২০
বড় হওয়া ভালো নয়বড় হলে দূরে যেতে হয়;বড় বড় মানুষ যেন বিলাসিতার ফানুসছোট মানুষ তাই যতা তথা ঘুরে বেড়াইআকাশে ওঠার স্বপ্ন ভুলে মেতে রই দিন যাপনের আশায়এইতো বেশ আছি বড়বড় ম…
বিভাগ - স্বীকারোক্তি
কলমে - সুব্রত মিত্র
কোলকাতা - ৭০০১৫০,১৪/১১/২০২০
বড় হওয়া ভালো নয়
বড় হলে দূরে যেতে হয়;
বড় বড় মানুষ যেন বিলাসিতার ফানুস
ছোট মানুষ তাই যতা তথা ঘুরে বেড়াই
আকাশে ওঠার স্বপ্ন ভুলে মেতে রই দিন যাপনের আশায়
এইতো বেশ আছি বড়বড় মানুষের ছাঁয়ে,
যে থাকে সাথে মোর তাকে নিয়ে হয় ভোর;
ভোরের গলায় ঝোলে তুলসীর মালা
সূর্যটা হেসে ওঠে;কেঁপে ওঠে ভাতের থালা,
আমি অনন্ত প্রহরের গোত্রহীন পাত্র
এই পাত্র এখানে ওখানে পড়ে থাকে যত্রতত্র,
পূর্ব জনমের প্রজ্জ্বলিত কোনো ইতিহাস
এই জনমের সাথে মিলে মিশে হয় ভিন্ন চিত্র।
বড় হতে পারিনি বা চাইনি কভু
কবিতায় মাথা রেখে কলম আর খাতা নিয়ে ছুটে যাই তবু;
অমানুষ হতে মানুষ করেছে মোরে এই কবিতা
সমাজের কাছে যা আছে আমার বলার
পারো যদি জেনে নিও; এই কবিতাতেই লিখে যাবো তা।
******************************
ঐরাবত
সুব্রত মিত্র
ও পথে যাবোনা আজ সারাদিন
অবসর বলে কিছু নেই জীবনে আমার
ব্যস্ততার আস্তরণ করি গ্রহণ হাসি মনে অমলিন
থেকেও কিছু না থাকে,যেন এ জীবন বড়ই সঙ্গিন
এ সমাজ যমরাজ;এ সমাজ ধুর্তবাজ;
বেআব্রু অঙ্গের খুলে নেয় পরিধেয়
পরিশোধ যাপনের কল্পনায় নেচে ওঠে সাম্রাজ্য
চূড়ান্ত ঔদ্ধত্য চিরকালীন প্রবৃত্ত;
ইহারাই সমাজের সর্বাঙ্গীন দেবতা,সার্বজানীনভাবে যা অসহনীয়
ও পথে আমার অভিশাপ লেখা আছে
লেখা আছে পথ বিচলিত হওয়ার অশেষ আশঙ্কা,
আমার কল্পনারা ডুবে মরে জলে
তাই না করে বাড়াবাড়ি সাঁকো ধরে ফিরে আসি আড়াআড়ি
সম্ভাব্য চেতনার আবিস্কার হওয়ার আশায়
তারাদের সাথে দিন গুনি একা একা।
বেহিসেবী গণ্ডি হতে সূর্য ওঠে থেকে থেকে
নিস্পলকের তারার খোঁজে যায়না দেখা চন্দ্রটাকে
তবু আগন্তুক হয়ে সন্ধান করি সেই অনিশ্চিত আবহের
কৃতকার্য হইনি শত সাধনার;
শততম সততার বিনম্র শ্রদ্ধা আর আরাধনার
প্রহর গোনা প্রহরগুলো চঞ্চল হয়নি এখনো
সমাপ্তির সমাপ্ত করছিনা সহসা
ও পথে না গেলেও বাঁশি টা ভাঙবো না কখনো।
*****************************
আড়ালের স্বচ্ছতা
সুব্রত মিত্র
কথা বলি মানুষের;কথা বলি জীবনের;কথা বলি জাতের
কথা বলি হৃদয়ের;কথা বলি ভাতের;কথা দিয়ে ঢাকি ব্যথা;
রুষ্ট পথে যায় হেঁটে জীবন যথাতথা
না পাওয়ার ভাবনাগুলো কোনো কালে ভাবায়নি
যা পেয়েছি আমি এগুলোইবা কম কি?
উঁচু উচুঁ বাড়িগুলো দাঁড়িয়ে মাথায় মাখে ধুলো
ছুটন্ত পিঁপড়ে হয়ে বয়ে যায় মুহূর্তগুলো
অদৃশ্য গতিপথে ঘুমায় আজ ভাবনার বালিশটা
নিয়তির ঘুম কাড়ে দেহ নামক লাশটা
অনুভূতির মূল্যায়ন হবেনা যথার্থ
কেন জীবনের পথে বিমুখ হই আজ বুঝি সবই
ন্যায্যতা পাবেনা মান্যতা,যেতে যেতে যাবে সাথে শুধু এই মর্ম
এখানেও কথা ছিল মর্ম গাঁথা
উড়নচণ্ডী নামে রেখে যাই নীল খামে হৃদয়ের সব ব্যথা।
এ জীবন নিষ্প্রয়োজন ভাবি সারাক্ষণ
মনোবল চেপে ধরে ভেঙে দেয় কৌতূহল
কারা যেন ভাঙে সম্পর্ক
সম্পর্কের মাঝে তোলে প্রাচীর;গড়ে ওঠে দুর্গ
দুর্গ বিনাশের শক্তির গুচ্ছ
কতিপয় স্বৈরাচারীর দল করে ফেলে তুচ্ছ
জেগে ওঠে বারবার মানুষের দল হাতে লয়ে একটা নিঃশব্দ হাতিয়ার
জোয়ারের গাঙ্গে ভাসে অভাবের ঢেউ
টাকা দিয়ে ভাটা কাড়ে;আদতে যাযাবর হয়েই রব
হবেনা কোথাও মোর স্থির বসবাস
এই নৈরাজ্যের রাজা হতে চায়নি কেউ।
কেন কোনো বিপ্লব হয়নি এখনো?
এই বিপ্লবের উচ্চস্বরে বহিঃপ্রকাশ হবেনা কখনো?
তবে এই মাথাভাঙ্গা মুণ্ডু বয়ে নিয়ে যাবো কতদূর?
তাই সরল মনে হেঁটে যাই বহুদূর।
মাঝপথে ফেলে দেব সব আদর্শের নির্যাস
ডানা ছাটা পাখিদের কথা শুনে শ্রোতা হবো
আত্মরক্ষার ভাষা লেখেনি এ সমাজ।