Page Nav

HIDE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

লেখক,কবি চিত্তরঞ্জন কর্মকারের কবিতা গুচ্ছ

নাম - চিত্তরঞ্জন কর্মকার।পিতা - ৺সুভাষ চন্দ্র কর্মকার।মাতা - পারুল বালা কর্মকার।জন্মতারিখ - ১৯শে নভেম্বর ১৯৬৪ সাল।শিক্ষাগত যোগ্যতা - বাংলা ‍‍(অনার্স)।কবিতা আমার সংগোপণীয় ফুল। ভালোবাসা ও আহভালোলাগা মনের আঙিনায় নীলনিলীমার ঠিকানায…



নাম - চিত্তরঞ্জন কর্মকার।

পিতা - ৺সুভাষ চন্দ্র কর্মকার।

মাতা - পারুল বালা কর্মকার।

জন্মতারিখ - ১৯শে নভেম্বর ১৯৬৪ সাল।

শিক্ষাগত যোগ্যতা - বাংলা ‍‍(অনার্স)।

কবিতা আমার সংগোপণীয় ফুল। ভালোবাসা ও আহভালোলাগা মনের আঙিনায় নীলনিলীমার ঠিকানায় ব্যস্ত।ছোট থেকেই কবিতা আমার প্রিয় ও পোষা পাখি।

পেশায় - গ্রামীণ চিকিৎসক তাই খুব কাছ থেকেই দেখেছি মনন ও মানসিক যন্ত্রণার অব্যাক্ত বেদনা।

************************

: কবিতা - আমি ঠিক আমি কি না

কলমে- চিত্তরঞ্জন কর্মকার

তারিখ- 13/12/20



আমি সীমার চেয়েও অসীমাকে ভালোবাসি;

    কারণ কাঁদাতে ও কাঁদতে জানে না।

হাসতে পারে,সদ্য স্নাত ঘাষের মতন।

 

অসীমা আমার একাকিত্বের প্রেম ।

   তাই সন্ধে থেকে ভোর

  ভোর থেকে সকাল ,দুপুর ,বিকেল 

       এই ভাবে সময় গড়িয়ে গড়িয়ে 

 আমরা ঠিক উভয় উভয়কে খুঁজে পাই, 

                  সপ্তর্ষি মন্ডলের পথে।

         

মেঘের ভেতর মেঘ হয়ে 

    দেখা হয়; কথা হয় যা কিছু প্রত্যাশা, 

তবুও যেন কোথায় চেনার ভুল রয়ে যায় ।


আমার রূপসী অসীমার রূপে 

      শরৎ হয় বসন্ত;

নীল মেঘ যেন হয় আরও নীল

    তাই আমাকে আগুনে হাত দিয়ে বুঝতে হয় 

            আমি ঠিক আমি কি না।।

*********************

: কবিতা - সাত সকাল

কলমে - চিত্তরঞ্জন কর্মকার

তারিখ - ১১/১২/২০


আমি সাত সকালে পাড়া-গাঁ ঘুরে

পৌঁছে গেলাম আমার সাত সীমানায়

যেখানে বুড়ো হাফরের শ্বাস ও

    নিদ্রাহীন সকালেরধ্রুবতারা

    বা হাজার বছরের ইতিহাস

ঘেঁটে ঘেঁটে রচিত হয় সাংখ্যের প্রকৃতি।

 

   সূর্য উঠেছে মাঠে

    তবু পথ হাঁটতে হয়

এক মাঠ থেকে আর এক চার-দেওয়ালের মাঠে।

যেখানে পিঙ্গঁল সকালের নীচে

    শাদা পায়রারা ওড়ে

        শান্তির বাতাসে বাতাসে।


সাত সকাল পাড় হয়ে       ত্রিভূবনের রক্ত নেশা চোখ

 আদিমাতার কালো হাত বাড়ায়,

দৃষ্টি ফিরে তাকাই , স্নিগ্ধ পুরানের নদীর মতো,

তাই সাত সকালে বিশুদ্ধ আলোয় দেখি,

  সদ্য সূর্য ঢেকেছে কালো কম্বলে।।

****************************

: কবিতা - এক-দুই-তিন

কলমে - চিত্তরঞ্জন কর্মকার

তারিখ - ১১/১২/২০



 তোমার জন্য অপেক্ষা করবো

      এক-দুই-তিন পর্যন্ত।

পাথর ভাঙার ধৈর্যের শিকড়ে

বা, তোমার শিউলি ঝরার 

রাতে

     কিংবা নষ্ট চাঁদের দৃষ্টিতে

অথচ চোখ ভরা ঘুমে 

     তোমাকে দেখেছি 

           লজ্জার চাদরে

আমি শুধু তোমার জন্য

   তোমার জন্য গাঁট গুনি---

         এক-দুই-তিন

   ****************************

: কবিতা - বিবর্ণ

কলমে - চিত্তরঞ্জন কর্মকার

তারিখ - ১১/১২/২০



   ক্রমশঃ বিবর্ণ হচ্ছে

      পৃথিবীর মানচিত্রের রং।

    হারিয়ে যাচ্ছে------

এক মেরু থেকে অপর মেরুর

       দ্রাঘিমা-র নির্দেশ সীমানা এবং পাথর কাটা পথের নিশানা  

তোমার হারিয়ে যাওয়া বিবর্ণ মুখ খানা,

  পায়ে চলার শব্দে ঘুম ভাঙ্গে, 

তখনই ঠিক করতে হয়-----

      এটাই পুব , পশ্চিম নয়।।