কবিতা-পাগলীকলমে-পাদকতানং-২১/১২/২০২০
বছর ষাটের বৃদ্ধা মাসি একাকি ঘরে রয় পড়েনিঃসন্তান ছিল বলে কেউ না তারে ধারধারে।বিষয় আশয় থাকতেও মাসির কাটাত দিন না খেয়ে।সাহায্যের হাত বাড়ালে মাসি চলে যেত সবে না দেখে।কোথা থেকে এক পাগলী এসে মাস…
কবিতা-পাগলী
কলমে-পাদক
তানং-২১/১২/২০২০
বছর ষাটের বৃদ্ধা মাসি একাকি ঘরে রয় পড়ে
নিঃসন্তান ছিল বলে কেউ না তারে ধারধারে।
বিষয় আশয় থাকতেও মাসির কাটাত দিন না খেয়ে।
সাহায্যের হাত বাড়ালে মাসি চলে যেত সবে না দেখে।
কোথা থেকে এক পাগলী এসে মাসিকে ডাকে মা বলে
ভিক্ষা করে যা পেত সে মায়েরে খাওয়াত নানা ছলে।
সন্ধ্যা বেলায় মুখোমুখি বসে বলত কথা দুজনে
চোখের জল পড়ত ঝরে কোন সে ব্যথায় কে জানে।
রক্ত নাহি রক্ত চেনে প্রাণ কথা কয় প্রাণ পেয়ে
জীবন যেন বেঁচে থাকে ভালোবাসারই পথ চেয়ে।
এমনি করে প্রাণ দুটি যে সুর বেঁধেছে একতারে
বাঁচবার সাধ পেয়েছে জীবন এ ধরণীর প্রান্তরে।
এক সন্ধ্যায় পাগলী এসে ডাকছে সে যে মা..মা বলে
বুকের পরে কান রেখে বোঝে মা গেছে আজ ঠিক চলে।
পাড়ার কিছু আত্মীয় স্বজন গভীর চিন্তায় ধ্যান করে
জমি জায়গা বাট কি হবে সেই ভাবনায় রয় পড়ে।
উল্লাসেতে মত্ত হয়ে লোক চলেছে শব দাহতে শ্বশানে
পাগলী কেবল আছড়ে পড়ে সবার থেকে পিছনে।
নিঃস্ব রিক্ত পাগলী ভাবে মা যাচ্ছে ছেড়ে চিরতরে
এ জগতে কেউ কবে না তোর জন্যে মন কেমন করে।
ঝড় বৃষ্টি অন্ধকারে কেউ রবে না আর তার সাথে
পাগলী বলে ফেলে দেবে কোন খাদে আর কোন পথে।
চিতার আগুন উঠল জ্বলে কালো ধোঁয়ার ঝড় তুলে
পাগলী দেখে ঝাপসা চোখে মা ডাকে আয় আয় চলে।