Page Nav

HIDE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

সৃষ্টি-সাহিত্য-যাপন-দৈনিক-সেরা-লেখনি-সম্মাননা

##সৃষ্টি ##সাহিত্য##যাপন
##জীবনের জলছবি                         (১)জীবনবাবুর দোতলা ফিনিশ করাটা আটকে গেল লাখখানেক টাকার অভাবে,ছোটো ছেলে পড়ুয়া,বড় ছেলে পার্সোনাল লোনে মোটা অঙ্কের ইন্টারেস্টে সেই টাকাটা বাবার হাতে তুলে দিল।পরিবর্তে…

 


##সৃষ্টি ##সাহিত্য##যাপন


##জীবনের জলছবি

                         (১)

জীবনবাবুর দোতলা ফিনিশ করাটা আটকে গেল লাখখানেক টাকার অভাবে,ছোটো ছেলে পড়ুয়া,বড় ছেলে পার্সোনাল লোনে মোটা অঙ্কের ইন্টারেস্টে সেই টাকাটা বাবার হাতে তুলে দিল।

পরিবর্তে পনেরো বছর পর ছোটো ভাইয়ের পারিবারিক রাজনীতির শিকার হয়ে প্রাপ্যে পুরোপুরি বঞ্চিত হয়ে বেরিয়ে আসতে হলো বাড়ি থেকে।

আজ বড়োর ছেলে তার নিজের রোজগারের টাকায় বাবা,মাকে গ্রীন ভ্যালির বাংলোয় রেখে দিয়েছে,চরম বিলাসিতার দিনযাপনে।

                                 (২)

আঠেরো বছরে বিয়ে হয়ে আসা জয়া ;বধূ নির্যাতনের শিকার হয়েছিল।

তবুও সে সহ্য করে আঁকড়ে ছিল শ্বশুর বাড়িতে।

কারণ সে মায়ের কাছে ছোট থেকে শুনে এসেছিল 'যে সয় সে রয়‌'।

এখন তার বৌমা,আর সে মাঝে মধ্যেই বেরিয়ে পড়ে উদ্দেশ্যহীন ভাবে।

কখনো শপিং মল,কখনো রেস্তোরাঁ,কখনো বা ডুবে যায় দু'জনের একান্ত ব্যক্তিগত গল্পে।

খুল্লাম খুল্লা জীবনটাকে এখন চুটিয়ে উপভোগ করছে জয়াদেবী।

                               (৩)

বরাবর বেড়াতে ভালবাসা নিরুপমা দেবীকে আপোষ করতে হয়েছে বিয়ের পর থেকে।

স্বামী হিসেবে ধীরাজ দেবতার মতো মানুষ , কিন্তু ঘরকুনো।

নিরুপমা বললেই ধীরাজ বলতেন আমার অবর্তমানে তুমি বেড়িও।

নিরুপমা হেসে বলতেন, 'বন্ধু বিনে প্রাণ বাঁচে না'!

ধীরাজ তখন বলতেন আমি না হয় থাকব তখন তোমার সাথে অদৃশ্য হয়ে।

ধীরাজ মারা গেছেন আজ বছর পাঁচেক হলো।

মেয়ে , জামাইয়ের দৌলতে নিরুপমার গোটা ভারতবর্ষ ঘোরা হয়ে গেছে।

সে প্রতিমুহূর্তে অনুভব করে ধীরাজ তাঁর পাশে আছেন।

                                (৪)

বন্ধুরা যখন নিউমার্কেট থেকে পোশাক কিনে পূজোয় পড়ত তখন তিথির ও ইচ্ছে করত , কিন্তু মায়ের কড়া অনুশাসনে সে কোনোদিন তার ইচ্ছেকে প্রকাশ করতে পারে নি।

মায়ের হাতে তৈরী করা পোশাক পড়েই কাটিয়ে দিয়েছে অনেক বছর!

বিয়ের পর থেকে স্বামী সৈকত ভীষণ লিবেরল ,সে এখন ইচ্ছে মতোই পোশাক কিনতে আর পারে,কোনো বাধা নেই।

                               (৫)

সুহৃদ বাবু তার বন্ধু পঙ্কজকে বললেন আজকালকার দিনে মশাই এই সরকারি চাকরি পেয়ে ছেড়ে দিয়ে স্কুলের মাস্টারি করে নাকি...! আচ্ছা আহাম্মক তোমার ছেলে!

ছেলে পাশ থেকে কথাটা শুনে বলল...চিরকাল বাবাকে দেখেছি সৎ পথে মাথা উঁচু করে বাঁচতে, তাই আমিও মাথা উঁচু করে বাঁচতে চাই যাতে রাতের ঘুমটা ভালো হয় আর বাবার হাতটা যাতে আমার মাথার উপর থাকে।


#স্বরূপা