তরুন চট্টোপাধ্যায় ।কলকাতা ।পিকে তৃনমূল দলের স্ট্যাজেডি তৈরি করেই এতদিন ক্ষান্ত ছিলেন না। দলের সব জায়গাতেই দেখা যাচ্ছিল প্রশান্ত কিশোরের মুখ। আর এর ফলে লাভের থেকে দলের ক্ষতি হয়েছে বেশি। অনেকেই দল ছেড়েছেন পিকের দিকে আঙুল তুলেই।এখনো…
তরুন চট্টোপাধ্যায় ।কলকাতা ।
পিকে তৃনমূল দলের স্ট্যাজেডি তৈরি করেই এতদিন ক্ষান্ত ছিলেন না। দলের সব জায়গাতেই দেখা যাচ্ছিল প্রশান্ত কিশোরের মুখ। আর এর ফলে লাভের থেকে দলের ক্ষতি হয়েছে বেশি। অনেকেই দল ছেড়েছেন পিকের দিকে আঙুল তুলেই।এখনো দলে বেশ কিছু নেতা বেসুরো। তাই তৃনমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দোপাধ্যায় আর চাইছেন না এদের সঙ্গে পিকে কথা বলুক। তাই পিকের দায়িত্ব কমিয়ে এখন থেকে বেসুরোদের সঙ্গে কথা বলবেন মমতা স্বয়ং । ফলে হয়তো বেসুরোদের দলে রাখা যাবে।
এতদিন ঠিক ছিল কে কোন বিধান সভাতে ভোট লড়বেন তাও নাকি পিকে ঠিক করবেন তার পরীক্ষা নিরীক্ষার মধ্য দিয়ে । এখন সেখানে ও রাশ টানলো তৃনমূল ।মুখ্যমন্ত্রী নিজেই ঠিক করবেন বিধায়কদের লিস্ট। আর সেই মতো ঠিক করা হবে বিধান সভা কেন্দ্র ।
নন্দীগ্রাম যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় ।আর সেদিন তিনি সেখানে নিশ্চয় বলবেন শুভেন্দু অধিকারীর বিশ্বাস ঘাতকতার কথা। আর শুভেন্দু যাচ্ছেন নন্দীগ্রাম । মুখ্যমন্ত্রীর কথার জবাব দিতে।
কাঁথিতে এসে ফিরহাদ হাকিম ও সৌগত রায় শুভেন্দুর গড়ে বোমা ফাটিয়ে গেলেন।পরের দিনই শুভেন্দু সেই বোমার জবাব দিলেন আরো বড় সভা করে।
মমতা বন্দোপাধ্যায়ের দলে শিশির অধিকারী ও আরো দুই পুত্র এখনো রয়েছেন।কাঁথিতে তৃনমূলের সভায় এরা সকলেই গরহাজির ছিলেন নানা কারন দেখিয়ে।মমতার নন্দীগ্রাম সভাতে কি দেখা যাবে অধিকারী পরিবারের মুখ।সে প্রশ্ন এখন রাজ্য রাজনিতী তে।ফলে বোঝা যাচ্ছে অধিকারী পরিবার কে নিয়ে এখনো তৃনমূলের মাথা ব্যথা রয়েছে।
শুভেন্দু অধিকারী এখন বিজেপি দলে।কিন্তু বাকিরা তো আজও দল ছাড়েন নি।ফলে কি হয় ,কি হয় একটা ভাব থাকছে।নন্দীগ্রামে মুখ্যমন্ত্রীর সভার পরেই বোঝা যাবে কাঁথির অধিকারী পরিবারের অবস্থান ।