Page Nav

HIDE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

সব জল্পনার অবসান শাহী মঞ্চেই বিজেপিতে যোগ দিলেন শুভেন্দু অধিকারী, সঙ্গে আরোও অনেকে

বেশ কিছুদিন ধরেই জল্পনা চলছিল কী করবেন শুভেন্দু অধিকারী। নিজস্ব কোন দল গঠন করবেন নাকি বিজেপিতে যাবেন,নাকি তৃণমূলেই থেকে যাবেন। তবে ডিসেম্বরের গোড়া দিকেই একপ্রকার ঠিক হয়ে যায় তিনি আর তৃণমূলে থাকছেন না। একে একে পদত্যাগপত্র করেন…

 



বেশ কিছুদিন ধরেই জল্পনা চলছিল কী করবেন শুভেন্দু অধিকারী। নিজস্ব কোন দল গঠন করবেন নাকি বিজেপিতে যাবেন,নাকি তৃণমূলেই থেকে যাবেন। তবে ডিসেম্বরের গোড়া দিকেই একপ্রকার ঠিক হয়ে যায় তিনি আর তৃণমূলে থাকছেন না। একে একে পদত্যাগপত্র করেন মন্ত্রীত্ব, বিধায়ক পদ এবং তৃণমূলের সদস্য পদ থেকে। শুভেন্দু কী করবেন এই নিয়ে মিডায়া , সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে রাজনৈতিক মহলে চলছিল নানা গুঞ্জন। সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে শনিবার মেদিনীপুর কলেজ-কলিজিয়েট ময়দানে উপস্থিত হয়ে অমিত শাহর হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। সাংসদ সুনীল মন্ডল,প্রাক্তন সাংসদ দশরথ তিরখে, নজন বিধায়ক সহ একঝাঁক জনপ্রতিনিধি বা নেতা যোগ দিলেও আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন কাঁথির অধিকারীর বাড়ির ছেলে শুভেন্দু অধিকারী। অমিত শাহর অন্যান্য কর্মসূচিতে সঙ্গে না থাকলেও এদিন অমিত শাহর সাথেই মঞ্চে ওঠেন ওঠেন শুভেন্দু অধিকারী। 

একই সঙ্গে মঞ্চে ওঠেন দিলীপ ঘোষ, কৈলাস বিজয়বর্গী, মুকুল রায়রা। শুভেন্দু অধিকারীকে মঞ্চে বরণ করে নেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী।পরে তাঁর হাতে বিজেপির পতাকা তুলে দেন অমিত শাহ। এদিন মঞ্চে তাঁর প্রায় সাড়ে দশ মিনিটের বক্তব্যে শুভেন্দু বাবু তাঁর তৃণমূল ছাড়ার ব্যখ্যা দেন। তিনি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় দলের এমন একটি সভায়, তাঁকে বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য বিজেপি নেতৃত্ব কে ধন্যবাদ জানান। তিনি নরেদ্র মোদী কে যশস্বী প্রধান মন্ত্রী বলে উল্লেখ করে, দিলীপ ঘোষ কে লোকপ্রিয় সাংসদ বলে উল্লেখ করে, অমিত শাহকে দাদা বলে সম্বোধন করেন।তাঁর বক্তব্যের শুরুতেই মেদিনীপুরের ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক ও ভৌগলিক গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি বলেন, তৃণমূলে তিনি আর সম্মানের সঙ্গে কাজ করতে পারছিলেন না। দল পুরো ব্যক্তিকেন্দ্রিক হয়ে যাচ্ছিল। 

তিনি অমিত শাহের সঙ্গে তাঁর পুরানো পরিচয়ের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বিজেপির নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারের গুনগান করেন। তিনি বলেন তিনি চান বাংলা ও কেন্দ্রে তিনি একই দলের সরকার চান,না হলে বাংলাকে বাঁচানো যাবে না। তিনি বিজেপির স্থানীয় নেতাদের আশ্বস্ত করে বলেন তিনি ছড়ি ঘোরাতে বিজেপিতে আসেন নি।দল যেমন চাইবে তিনি তেমন কাজ করবেন। প্রয়োজনে তিনি পোষ্টার লাগাবেন,দেওয়াল লিখবেন।তাঁর বিজেপিতে যোগদানকে তৃণমূলের তরফে "বিশ্বাসঘাতকতা" বলে আখ্যায়িত করার জবাবে বলেন, বিজেপির সঙ্গে তৃণমূলের পুরানো জোটের কথা স্মরণ করিয়ে দেন। মায়ের সঙ্গে বেইমানির অভিযোগ প্রসঙ্গে তাঁর নিজের জন্মদাত্রী মায়ের কথার পাশাপাশি ভারতমাতার কথা বলে বলেন এই দুই মা ছাড়া তাঁর কনো মা নেই। তিনি বলেন যে দলের জন্য জীবনের ২০ বছর দিয়েছেন, অকৃতদার থেকে থেকেছেন,গ্রামে গ্রামে ঘুরে বেড়িয়েছেন,দিনের ১৬ ঘন্টা সময় দিয়েছেন সেই দলের অনেকেই তিনি কোভিড আক্রান্ত হওয়ার পরে খবর নেন নি। কিন্তু সময় বের করে অমিত শাহ দুবার খোঁজ নিয়েছেন। 


তিনি বলেন নানা বিষয়ে টেট সহ নানা বিষয়ে দুর্নীতিতে ঢুবে রয়েছে তৃণমূল সরকার। তাঁর এক পুরানো দলের সহযোগীর পাঠানো ভিডিও ফুটেজ প্রসঙ্গে বলেন যখন যেটা করি মন দিয়ে করি,তখন তৃণমূল করতাও,তাই ডাক দিয়েছিলেন "বিজেপি হটাও দেশ বাঁচাও"। এখন বিজেপি করছেন তাই এখন শ্লোগান তোলাবাজ ভাইপো হটাও, বাংলা বাঁচাও। আর এই কাজটা বিজেপি কর্মীদের নিয়ে তিনি কাল থেকে শুরু করে দেবেন। মেদিনীপুরে গত জনস মমতার একটি বক্তব্য ধরে বলেন,আপনাকে দ্বিতীয় হয়েই থাকতে হবে,২০২১ এ সরকার গড়বে ভারতীয় জনতা পার্টি।