মেদিনীপুর কলেজ মাঠ থেকেই কার্যত ২০২১ এর বিধান সভা নির্বাচনের বিজেপির তরফে ঢাকে রমেদিনীপুর কলেজ মাঠের জনসভা থেকে তৃণমূল কংগ্রেসকে উৎখাতের ডাক দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী তথা বিজেপির প্রাক্তন সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ।দ…
মেদিনীপুর কলেজ মাঠ থেকেই কার্যত ২০২১ এর বিধান সভা নির্বাচনের বিজেপির তরফে ঢাকে রমেদিনীপুর কলেজ মাঠের জনসভা থেকে তৃণমূল কংগ্রেসকে উৎখাতের ডাক দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী তথা বিজেপির প্রাক্তন সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ।দৃঢ়তার সঙ্গে জানিয়ে দিলেন ২০২১ তে ২০০'র বেশি আসন নিয়ে ক্ষমতায় আসতে চলেছে বিজেপি।
এদিন সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে কলেজ কলিজিয়েট ময়দানে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব কৈলাস বিজয় বর্গীয়, মুকুল রায়, রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষদের সাথে নিয়ে এবং তৃণমূল থেকে বিজেপির পথে পা বাড়ানো পশ্চিমবঙ্গে প্রাক্তন মন্ত্রী ও প্রাক্তন তৃণমূল নেতা শুভেন্দু অধিকারীকে সাথে নিয়ে মঞ্চে ওঠেন অমিত শাহ।
বক্তৃতার শুরু থেকেই "মমতাদিদির" বিরুদ্ধে সুর চড়াতে থাকেন অমিত শাহ। শুরুতেই তাঁর আহ্বানে প্রথমবার "ভারত মাতা কী" জয় ধ্বনিতে বেশি জোরে রেসপন্স না হওয়ায় দ্বিতীয় বার দুহাতে মুষ্টিবদ্ধ হাত উপরে তুলে শ্লোগান তুলতে বলেন। তিনি অভিযোগ করেন বাংলায় হিংসার রাজত্ব কায়েম করছে। তিনি বলেন গোটা বাংলা জুড়ে বিজেপির কর্মীর আক্রান্ত হচ্ছেন তৃণমূলের হাতে। পাশাপাশি তিনি মৃত বিজেপি কর্মী তালিকার কিছু অংশও তুলে ধরেন। তিনি বলেন, তৃণমূল সরকার নিজে কিছু করার না , কেন্দ্রীয় সরকারকেও এরাজ্যে কিছু করতে দেবে না।
তার অভিযোগ সে কারণেই আয়ুষ্মান ভারতের মতো গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন রাজ্যের জনগণ। তিনি আরোও বলেন "মমতাদিদি"র বাধার কারণে এরাজ্যের কৃষকরা "মোদীজীর" পাঠানো ছহাজার টাকা থেকে বঞ্চিত। তিনি বলেন আমফান ঝড়ের ত্রাণের টাকা লুট করেছে তৃণমূল নেতারা।করোনা ত্রাণেও দুর্নীতি করেছে তৃণমূল। তিনি তৃণমূলের "বহিরাগত" অভিযোগের জবাবে বলেন বিজেপির বাংলার কর্মীরাই ভোটে লড়বেন এবং বাংলার মাটিরই কেউ বিজেপি তরফে মুখ্যমন্ত্রী হবেন।দলবদল নিয়ে তৃণমূলের অভিযোগের জবাবে তিনি বলেন, মমতাদিদি আপনিওতো দলবদল করে কংগ্রেস থেকে তৃণমূল কংগ্রেস তৈরি করেছিলেন। তিনি বলেন তৃণমূল থেকে আরও অনেকে বিজেপিতে আসবেন তখন "মমতাদিদি একলা" হয়ে যাবেন।
তিনি বলেন, মমতাদিদি, ভাইপোকে মুখ্যমন্ত্রীকে করার আপনার স্বপ্ন সফল হবেনা। তিনি বলেন যারা বিভিন্ন দল থেকে বিজেপিতে আসছেন সবাই যথাযথ সম্মান পাবেন। তিনি বাংলার জনগণের উদ্দেশ্য করে বলেন,আপনারা কংগ্রেসকে সুযোগ দিয়েছেন, কমিউনিস্ট দের সুযোগ দিয়েছেন, তৃণমূলকেও দশবছর সুযোগ দিয়েছেন, বিজেপিকে একবার পাঁচ বছরের জন্য সুযোগ দিন বিজেপি "সোনার বাংলা" গড়ে দেবে।
এদিন জনসভায় বক্তব্য রাখার আগে অমিত শাহ চপারে করে মেদিনীপুরের হেলিপ্যাডে নামেন।সেখান থেকে তিনি ক্ষুদিরামের স্মৃতি বিজড়িত হবিবপুরে গিয়ে ক্ষুদিরামের মূর্তিতে মাল্যাদান করেন। পাশাপাশি হবিবপুরে অবস্থিত অবস্থিত সিদ্ধেশ্বরী কালী মন্দিরে পূজা দেন। সেখান থেকে তিনি শালবনীর কর্ণগড়ে গিয়ে মহামায়া মন্দিরে পূজা দেন। কর্ণগড় মন্দির থেকে বেরিয়ে বালিজুড়ি গিয়ে একটি কৃষক সনাতন সিং এর পরিবারে মধ্যাহ্ন ভোজ সারেন।
তাঁর সঙ্গে ছিলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়, দিলীপ ঘোষ,মুকুল রায়রা। সেখান থেকেই তিনি সরাসরি কলেজ মাঠে আসেন এবং শুভেন্দু অধিকারীকে সঙ্গে নিয়ে মঞ্চে ওঠেন। এদিন শুভেন্দু অধিকারী সহ একজন সাংসদ, একজন প্রাক্তন সাংসদ,নজন বিধায়ক সহ, অনেকেই বিভিন্ন দল থেকে বিজেপিতে যোগদান করেন। বামদের দুই ও কংগ্রেসের এক বিধায়ক বাদে এই দলবলকারীদে প্রায় সবাই হয় তৃণমূলের জনপ্রতিনিধি না হয় নেতা। এদিন সভায় বেশ ভালো ভীড় হয়েছিল।