।তরুন চট্টোপাধ্যায় ।কলকাতা ।বিজেপির অনুমান অনুযায়ী আর কি বলা যাবে তৃনমূল দলে মুষল পর্ব শুরু হয়েছে।বোধহয় না।কারন বরং বলা যেতে পারে মধুরেন সমাপয়েৎ।বরফ যে গলছে।জট যে কাটতে চলেছে।ফোনে কথা মমতা ও শুভেন্দুর বঙ্গ রাজনীতি তে ।গতকাল সন্ধ্…
।তরুন চট্টোপাধ্যায় ।কলকাতা ।
বিজেপির অনুমান অনুযায়ী আর কি বলা যাবে তৃনমূল দলে মুষল পর্ব শুরু হয়েছে।বোধহয় না।কারন বরং বলা যেতে পারে মধুরেন সমাপয়েৎ।বরফ যে গলছে।জট যে কাটতে চলেছে।ফোনে কথা মমতা ও শুভেন্দুর বঙ্গ রাজনীতি তে ।গতকাল সন্ধ্যা থেকেই সেই বার্তা রটি গেল ক্রমে।সৌগত রায় সাংবাদিক দের বড় মুখ করে জানিয়ে দিলেন ,আমি তো আগেই বলেছিলাম, শুভেন্দু তৃনমূলে আছে।আর ও থাকবে।
বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায় শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে আলোচনার ভিসা পাওয়ার পর থেকেই নানা ভাবে শুভেন্দু অধিকারী কে দলে রাখার চেষ্টা করে গেছেন।আলোচনা যত এগিয়ে গেছে ততই জল গড়িয়েছে ।সূত্রের খবর মঙ্গলবার রাতে শুভেন্দু অধিকারীরস সঙ্গে ফোনে কথা হয় তৃনমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দোপাধ্যায়ের। আর এই ফোনেই নাকি সব বরফ গলে যায় ।
মঙ্গলবার রাতে তৃনমূলের সংসদীয় দলনেতা সুদীপ বন্দোপাধ্যায়ের বাড়িতে শুভেন্দুর সঙ্গে দীর্ঘ ক্ষন আলোচনা চলে।আলোচনার সময় উপস্থিত ছিলেন সৌগত রায়, অভিষেক বন্দোপাধ্যায়, ও ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর।বৈঠক থেকেই মমতার সঙ্গে কথা বলানো হয় শুভেন্দু অধিকারীকে। দল নিয়ে নানা কথা বলেন বলে সূত্র মারফত জানা গেছে।
আর সেই কথাবার্তার সবটুকুই ছিল পজিটিভ । ফলে বোঝা যাচ্ছে শুভেন্দু বনাম তৃনমূলের দূরত্ব পথে আর বোধহয় কোন অসুবিধা থাকছে না।
তবে সব ঠিক হ্যায় বললেও শুভেন্দু অধিকারী অবশ্য এখনও প্রকাশ্যে মুখ খোলেন নি।আজ শুভেন্দু কি বলেন সেই দিকে তাকিয়ে সমগ্র রাজ্য ।আর সব কিছু ঠিকঠাক চললে ৭ ডিসেম্বর মমতার মেদিনীপুরের সভামঞ্চে শুভেন্দু অধিকারী কে দেখা যেতে পারে।
তৃনমূল ও শুভেন্দু অধিকারীর চলার পথের দূরত্ব কমার খবরে খানিকটা হলেও ভেঙে পড়েছে বিজেপি দল।আর রাজ্য সম্পাদক দিলীপ ঘোষের কথাতেই তা পরিষ্কার ।কারন এতদিন বিজেপি দল দরজা বড় করে খুলে রেখেছিল শুভেন্দু অধিকারীর জন্য ।গতকাল বিজেপির রাজ্য সভাপতি জানান শুভেন্দু না এলেও এ রাজ্যের নির্বাচনে বিজেপি ২০০ আসন পাবেই। আর নবান্ন দখলে রাখবে বিজেপি দলই।
তবে কি ধরে নেওয়া যাচ্ছে শুভেন্দু এপিশোড কি এবার যবনিকা পড়লো। মাঝপথেই থেমে গেল দাদার অনুগামীদের ঢেউ ।
এতো কিছুর পরেও সেই একটি যতি চিহ্ন আজও রয়ে গেল। কারন শুভেন্দু অধিকারী এখনো নিজের মুখে কিছু বলেন নি।আর তিনি আগেই বলেছেন অনুগামীদের , যা বলবেন তিনি নিজ মুখে বলবেন। ফলে সংশয় তো একটা থেকেই যাচ্ছে ।
শুভেন্দু শিবির অবশ্য মুখে কুলুপ এঁটেছেন ।জানা গেছে গতকাল আলোচনা সভায় হয়তো বরফ অনেকটাই গলেছে।তবে বরফের সবটুকু গলতে হয়তো আরো দু একদিন সময় লাগবে।
রাজ্য রাজনিতীর সবথেকে আকর্ষণের কেন্দ্র বিন্দু শুভেন্দু অধিকারী এখনো স্পীকটি নট।
আর তিনি বললেই বোঝা যাবে তৃনমূল বনাম শুভেন্দু অধিকারীর রনাঙ্গনের মধুরেন সমাপয়েৎ।