Page Nav

HIDE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

শুভেন্দু অধিকারীর আগামী অবস্থান কি ? তাকিয়ে মানুষ

তরুণ চট্টোপাধ্যায়
শুভেন্দু অধিকারীকে দলে রাখার চ্যাপ্টার কি ক্লোজড করে দিলো তৃনমূল দল। নাকি 6 ডিসেম্বর শুভেন্দু অধিকারী সাংবাদিক বৈঠকে কি বলেন সেই পর্যন্ত অপেক্ষা করবে দল। এ নিয়ে এখনো পর্যন্ত কোন সঠিক পদক্ষেপের কথা জানা যায় নি। র…

 


তরুণ চট্টোপাধ্যায়

শুভেন্দু অধিকারীকে দলে রাখার চ্যাপ্টার কি ক্লোজড করে দিলো তৃনমূল দল। নাকি 6 ডিসেম্বর শুভেন্দু অধিকারী সাংবাদিক বৈঠকে কি বলেন সেই পর্যন্ত অপেক্ষা করবে দল। এ নিয়ে এখনো পর্যন্ত কোন সঠিক পদক্ষেপের কথা জানা যায় নি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা যতই বলুক শুভেন্দু ইজ ক্লোজড। তা কিন্তু সত্যি নয়।কারন আজও মন্ত্রিত ছাড়লেও তিনি তৃনমূলের বিধায়ক ।আর সেই নন্দীগ্রাম আজও দু দলে বিভক্ত ।একদল শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গেই আছি ও দিদির সঙ্গে ও আছি বলছেন।আর এক দল মুখে কুলুপ এঁটে বসে আছেন।নজর রাখছেন পরবর্তী পরিস্থিতিতে কি ঘটে তা দেখার জন্য ।ফলে এক্ষুনি চ্যাপ্টার ক্লোজ একথা বলা যাচ্ছে না।কাঁথির শান্তি কুঞ্জের মেজ ছেলের গতিবিধির ওপর নজর রেখেই চলছেন শুভেন্দু অনুগামীরা। ফলে অপেক্ষা ছাড়া গতি নেই।

বিজেপি দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ যতই বলুন না কেন শুভেন্দু অধিকারী প্রসঙ্গ তৃনমূলের আভ্যন্তরীণ ব্যাপার ,তা কিন্তু সত্যি নয়।কারন প্রথম দিন থেকেই বিজেপি দল নানা ভাবে শুভেন্দুকে দলে টানার মরিয়া চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তাতে কোন সন্দেহ নেই।তবে আজও শুভেন্দুর তরফ থেকে বিজেপি দলে যোগদান নিয়ে একটি বাক্য ও তিনি খরচ করেন নি।পদ ছেড়েছেন, মন্ত্রী সভা থেকে পদত্যাগ করেছেন। তবুও বিধায়ক পদ ও দলের সদস্য পদ আজও ছাড়েন নি। ফলে তৃনমূল দল যে বলছেন শুভেন্দু তৃনমূল দলেই আছেন তার মধ্যে মিথ্যা কিছু নেই। আর সেই কারনে বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায় চেষ্টা চালিয়ে গেছেন মীমাংসার । আর সেটাই সঠিক সিদ্ধান্ত ।

অনেকেই বলছেন তৃনমূল দল আজও শুভেন্দু অধিকারীকে দল বিরোধী কাজের জন্য কৈফিয়ত চান নি কেন? আসলে শুভেন্দু অধিকারী নিজে দলের পতাকা নিয়ে কাজ না করলেও দল বিরোধী কোন কাজ তো করেন নি। যা করেছেন ,তা সবটাই অরাজনৈতিক সভা।আর সেই সভা থেকে দলের বিপক্ষে একটি কথাও বলেন নি। ফলে দল এগিয়ে এসে তুলে দিতে চান নি কোন অস্ত্র । যা শুভেন্দু অধিকারী কে মাইলেজ পাইয়ে দেবে। ফলে আলোচনার রাস্তা খুলে রেখেছিল তৃনমূল দল। এমনকি তৃতীয় আলোচনা সভা থেকে শুভেন্দুর সঙ্গে দল নেত্রীর ও টেলিফোনে কথা হয়।আর সেই কথাতে ছিল একসঙ্গে কাজ করার বার্তাই । আর যতদূর জানা গেছে শুভেন্দু ও মমতা বন্দোপাধ্যায়কে কথা দিয়ে ছিলেন। পরে অবশ্য একসঙ্গে কাজ করা যাবে না বলেই সৌগত রায়কে হোয়াটস অ্যাপ মেসেজ করেন। আর তার পরেই বরফ গলা বন্ধ হয়ে যায় । রাজনৈতিক মানচিত্রে অন্য দাগ ধরা পড়ে। কখনো শুভেন্দু নিজে দল করবেন আবার ও বা বিজেপি দলে যাবেন বলে বাজার গরম খবর লেখা হয়।

তবে বিরোধীদের অভিমত শুভেন্দু অধিকারী যদি বিজেপিতে চলে যান তাহলে মুকুল রায়ের মতো পদ হয়তো পাবেন। কিন্তু কাজের রাস্তা কি খোলা থাকবে?।পুরানো বিজেপি আর নব বিজেপির যে দ্বন্দ্ব রয়েছে তা হয়তো আরো প্রকট হবে। তবে তিনি এখনো যান নি তাই এ নিয়ে আলোচনার কোন জায়গা নেই।

তবে শুভেন্দু অধিকারীর তমলুকের অরাজনৈতিক অনুষ্ঠানের পরে নাকি বিজেপি দলে সদ্য পদ পাওয়া এক হেভিওয়েট নেতা তাঁকে ফোন করেছিলেন বলে রাজনৈতিক সূত্রের খবর। আর তিনি নাকি তাঁর কাছে জানতে চান তমলুকের সভা কেমন হলো। যদিও খবরের সত্যতা যাচাই করা যায় নি।

তবে সেই হেভিওয়েটের ওপর ভার রয়েছে এই রাজ্যের তৃনমূল দলের ভাঙনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার । আর সেই কাজে তিনি সিদ্ধহস্ত ।

আগামী রবিবার সাংবাদিক বৈঠক শেষে হয়তো শুভেন্দু অধিকারীর অবস্থান অনেকটাই পরিস্কার হবে বলে জানা যাচ্ছে ।কারন তিনি নিজেই বলেছেন আমার মুখে কিছু না শুনলে বিশ্বাস করবেন না। তাই অপেক্ষা আর কি।কারন সৌগত রায় যা বললেন তাতেও যে বরফ গললো না।

শুধু অনুগামীদের মধ্যেই ধন্দ নেই , সাধারণ মানুষ ও আজ ধন্দে। সরাসরি বিজেপি দল , নাকি সব সমস্যার বরফ গলে আবার ও তিনি মন্ত্রীত্বে।

 ব্লক সভাপতি যারা শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ তাঁদের বহিষ্কার করা হয়েছে। কাল সন্ধ্যা তে শিশির বাবু কে ভার দিয়ে ছিলেন।কিন্তু তার আগেই কালিঘাট  নির্দেশে আছে সকালে পরিবর্তন করে দেওয়া হলো।

মাত্র তো কয়েক ঘন্টার  অপেক্ষায় বঙ্গের মানুষ । মমতা বন্দোপাধ্যায় ৭ ডিসেম্বর মেদিনীপুরের সভা থেকে কি বার্তা দেন সেদিকেও তাকিয়ে বাংলা।

৬ ডিসেম্বর নিরাশ হবেন না জনগন ।সে রকমই খবর বাংলা জুড়েই।