অমিতাভ গঙ্গোপাধ্যায়আজ সেই দিন,যে দিন চলে গিয়েছিলেন'মেলোডির জাদুকর ভানুগুপ্ত।মনে পড়ে "শোলে"র সেই মনমুগ্ধকরা দৃশ্য।যেখানে রাধা(জয়া ভাদুড়ি) দোতলা বারান্দায় এসে সাঁঝের বাতিগুলি নিভিয়ে যাচ্ছেন।আর বিপরিত দিকে সেই প্রেক্…
অমিতাভ গঙ্গোপাধ্যায়
আজ সেই দিন,যে দিন চলে গিয়েছিলেন'মেলোডির জাদুকর ভানুগুপ্ত।মনে পড়ে "শোলে"র সেই মনমুগ্ধকরা দৃশ্য।যেখানে রাধা(জয়া ভাদুড়ি) দোতলা বারান্দায় এসে সাঁঝের বাতিগুলি নিভিয়ে যাচ্ছেন।আর বিপরিত দিকে সেই প্রেক্ষাপটে জয় (অমিতাভ বচ্চন) তাঁর মাউথ অর্গানে এক অসাধারণ সুরের মূর্ছনায় দর্শক কূলকে ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। সেই সুরশ্রষ্টা ছিলেন রাহুল দেব বর্মণ আর যিনি বাজিয়েছিলেন, তিনি আর কেউ নন মেলোডির শেষ কথা শিল্পি ভানুগুপ্ত।
১৯৩২ সালে ভানুগুপ্তের জন্ম রেঙ্গুনে।সেখানকার বৃটিশ নাবিকদের কাছ থেকে হারমোণিকা বাজানর প্রথম পাঠ।জাপানি দোভাষী হিসাবে কর্মজীবন শুরু।পন্চাশের দশকের গোড়ায় যুদ্ধের জন্য পরিবারের সঙ্গে চলে আসেন কলকাতায়। রেঙ্গুনে থাকতেই১৫ বছর বয়সে তিনি একটি হারমোমণিকা উপহার হিসাবে পান।সুরের সাথে সেই থেকেই তার প্রেম।এক সময়ে সঙ্গীতের পাশাপাশি তিনি কলকাতা ক্রিকেটেও প্রতিনিধিত্ব করেন।সেই সময় কলকাতার পার্কস্ট্রিটের নাইট ক্লাব 'ট্রিঙ্কাসেও' তিনি হারমোমণিকা বাজিয়েছেন।
১৯৫৯এ মাত্র ৬০০টাকা সম্বল করে পাড়ি দেন বম্বে আজকের মুম্বাই।সঙ্গীত পরিচালক সি.রামচন্দ্রের কাছে প্রথম কাজের সুযোগ পান।প্রথম ব্রেক,"পয়গম""।শচীন কর্তা,মদন মোহন,ও.পি নায়রের সঙ্গে কাজ করলেও সঙ্গীত জীবনে অধিকাংশ সময়জুড়ে ছিলেন সুরকার রাহুল দেব বর্মণের সঙ্গে।'পঞ্চম'বা রাহুল দেব বর্মণ সেই সময় একজন ভাল গিটারিস্ট খুঁজছিলেন।জহুরীর চোখ,চিনতে ভুল করেন নি।এরপর শুধুই ইতিহাস।পন্চমের জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত সঙ্গী ছিলেন ভানুগুপ্ত।কাজ করেছেন বহু সুপার হিট ছবিতে, যেমন--ইঁয়াদো কী বরাত, তিসরি মঞ্জীল,আঁধি,অমর প্রেম সহ আরো বহু সিনেমায়।
আজকের এই দিনটিতে এই শিল্পির প্রয়াণে আমরা হারিয়েছি 'পঞ্চম অধ্যায়ের'এক মহান ব্যক্তিত্ব কে।তিনি চলে গেলেও ,তাঁর অসামান্য সৃষ্টি থেকে যাবে শ্রোতাদের মনে বহুদিন।