Page Nav

HIDE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

হুক্কা হুয়া বাজেট, বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

সিদ্ধ ভাতে আলু সিদ্ধ মাখার তেল জুটবে না এবারের বাজেটে।ক্ষোভ মমতা বন্দোপাধ্যায়ের ।


করোনা মহামারী প্রকোপ একটু কমেছে। ফলে জনগন রাস্তায় ও নেমেছেন।আশা ছিল সব হারানো মধ্য বিত্ত হয়তো এবারের বাজেটে কিছু দিশা খুঁজে পাবেন। দরিদ্র শ্রেনীর কথ…

 



সিদ্ধ ভাতে আলু সিদ্ধ মাখার তেল জুটবে না এবারের বাজেটে।ক্ষোভ মমতা বন্দোপাধ্যায়ের ।



তরুন চট্টোপাধ্যায়
করোনা মহামারী প্রকোপ একটু কমেছে। ফলে জনগন রাস্তায় ও নেমেছেন।আশা ছিল সব হারানো মধ্য বিত্ত হয়তো এবারের বাজেটে কিছু দিশা খুঁজে পাবেন। দরিদ্র শ্রেনীর কথা না হয় বাদ দিলাম। কারন বাজেট নিয়ে মধ্য বিত্তের নজর যেমন থাকে দরিদ্র দের তা থাকে না। কারন দিন আনি দিন খাই মানুষেরা জানেন ওসব তাদের জন্য নয়। বাজারের জিনিসপত্রের দাম না বাড়লেই তাঁরা খুশি হন। বাজেট টাজেটের মতো গুরুগম্ভীর বিষয় নিয়ে তাই মাথা ব্যথা নেই এই সব মানুষের । কিন্তু মধ্য বিত্ত তো সব খোঁজ খবর রাখেন এই বাজেট নিয়ে ।বিশেষ করে আয়কর সংক্রান্ত ।
কিন্তু দেশের অর্থ মন্ত্রী নির্মলা সীতারমন সেই মধ্য বিত্ত কে হতাশ করলেন কর ব্যবস্থা এক রেখে। সেখানে কর কাঠামো তে কোন পরিবর্তন আনলেন না।ফলে আয় থেকে সেই আগের হারেই মধ্য বিত্ত কে কর দিতে হবে।করোনা নামক মহামারী তে সর্বহারা এই শ্রেনী আশা করেছিলেন এবার হয়তো আয় করের বোঝা কিছুটা হলেও লাগব হবে।কিন্তু তা হলো না ।সরকার সেই রাস্তা তেই হাঁটলেন না।যদিও অর্থনীতি বিদরা বলে আসছেন এদের হাতে পয়সা থাকলে তা বাজার কে চাঙ্গা করতে সাহায্য করবে।কিন্তু তা আর হলো কই।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় এই বাজেট কে মিথ্যার ঝুলি আখ্যা দিলেন।আরো বললেন সাধারণ মানুষ এবার সিদ্ধ ভাত খেতে গেলেও আলু সিদ্ধ মাখার তেল পাবেন না। হূক্কা হূয়া বাজেট বলেও আখ্যা দিলেন।
সে নয় রাজনৈতিক মহলের মানুষ । বিরোধিতা করার জন্য বলছেন।কিন্তু সাধারণ মানুষ কি খুশি।না একেবারেই নয়। খুশি হবার মতো দিশা এ বাজেটে কোথায় ।
সরকারের এই টানা টানির সংসারে বাজেট যে এমন হবে তা জানাই ছিল।কিন্তু আয়কর দাতারা ভেবেছিলেন কর হয়তো একটু কমবে।কারন মানুষের আয়তো কমেছে।কিন্তু তা হলো না।ফলে মোহভঙ্গ হলো তাঁদের ।
সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য নেই কোন দিশা।75 বছর বা তার বেশি বয়সের প্রবীন নাগরিকদের আয়কর রিটার্নের ঝুঁকি থেকে মুক্তি দিয়ে ছেন সরকার ।বলছেন ব্যাঙ্ক ও ডাকঘর ই হিসাব করে কেটে নিবেন কর।কিন্তু সেখানে ও প্রশ্ন থাকছে কর কাটার হিসাব নিয়ে ।ধরে নিলাম সব ঠিকঠাক ই হলো।তবে কেন তা 65 বছর থেকে হলো না কেন।একজন 74 বছর বয়সী মানুষ ও তো সেই সুযোগ পেতে পারতেন।সেটি ভাবলেন না কেন সরকার ।ষাট বছর ই বা কি দোষ করলো।সিনিয়র সিটিজেন তো ষাটের পর থেকেই।তাঁদের ও তো এই সুযোগ পাওয়া উচিত ছিল।
আশার কথা এবার বাজেটে স্বাস্থ্য খাতে খরচ বেড়েছে 137 পারসেন্ট।সে সুযোগ দেশবাসী পেতে পারেন।আর সড়ক খাতেও।বিরোধী রা বলছেন বাজেটে ভোট সড়ক হয়েছে।তবে তা অন্য রাজ্যের থেকে কম।
একবার দেখা যাক সেই ভোট সড়কের মানচিত্র টি উল্টে পাল্টে ।
রাজ্যে 675কিমি সড়ক পথ।কলকাতা শিলিগুড়ি সড়কের আধুনিকীকরণ ।অবশ্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় বলেছেন রাস্তা তো আমরাই করে দিয়েছি।তোমরা আবার কি করবে।
পূর্ব পন্যবাহী করিডরের সোন নগর গোমো অংশ 263.7কিমি কাজ সরকারী বেসরকারি যৌথ উদ্যোগে।যা শেষ হবে 2022 এর মধ্যেই ।গোমো থেকে ডানকুনি 274.3কিমির থমকে থাকা কাজ শুরুর আশ্বাস ।
এছাড়া দুটি নতুন পন্যবাহী রেল করিডর।খড়গপুর থেকে বিজয়ওয়াড়া ও ভুসাবল খড়গপুর ডানকুনি এবং রাজখরসাওয়াঁ অন্ডাল।
বাংলা ও আসামের চা শ্রমিক বিশেষত মহিলা ও শিশু কল্যাণে এক হাজার কোটি টাকার বরাদ্দ ।
   সড়ক ভোট যাঁরা বলছেন তাদের বক্তব্য যে সমস্ত রাজ্যে ভোট আসছে সেই সব রাজ্য কে সড়ক বরাদ্দ হয়েছে ভোটের কথা মাথায় রেখেই।
ভালো মন্দ সব বাজেটেই থাকে।সরকারের বাজেটে বিশেষ করে এবার অর্থ নিতীকে চাঙ্গা করার দাওয়াই রাখাই যেতো কিন্তু তা রাখা হয়নি।ফলে বিরোধী দের হাতে বাজেট সমালোচনার হাতিয়ার এসেই গেছে।
বিজেপি দল বলছেন এই বাজেট জনমুখী।রাস্তা ঘাট উন্নয়নের হাতিয়ার।এই বাজেট কে বিজেপি দল দশের মধ্যে দশ ই দিয়েছেন।কিন্তু তৃনমূল দল এই বাজেট কে দশে এক দিতেও রাজি নয়।ঝুলি ভর্তি পাবার আশা করে জনগন কিছুই পেলেন না।
বিরোধীরা এই বাজেটে হতাশ।আর সরকারী দল আশান্বিত ।
ভোট সড়কের এই বাজেট কে সামনে রেখে এবার বঙ্গ বিজেপি ভোট ময়দানে ।আর কিছু নেই বাজেটে এই বলে কটাক্ষ করছেন তৃনমূল ।
আয়করে সাধ একেবারেই মেটেনি আয়করদাতাদের ।ফলে তারাও ক্ষুব্ধ ।আর সিদ্ধ ভাতে আলু সিদ্ধ মাখার তেল জুটবে না বলে আগেই কটাক্ষ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় ।ফলে বাজেট নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন এ রাজ্যের মানুষ ও।

তরুন চট্টোপাধ্যায় ।