Page Nav

HIDE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

মহারাজ দাদা আগেই হাতছাড়া, মহাগুরুমিঠুন চক্রবর্তী কি বিজেপি দলের মুখ?

তরুন চট্টোপাধ্যায়, কলকাতা
বাংলার ভোটে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ নিয়ে জল্পনা তো থাকবেই।দুই হেভিওয়েট তৃনমূল ও বিজেপি দলে কে মুখ্যমন্ত্রী হবেন এ জিজ্ঞেস তো ভোটারদের থাকবেই।তৃনমূল দল নিয়ে কোনো দ্বন্দ্ব ছিল না ,আজও নেই।তৃনমূল সুপ্রিমো মমতা বন্…

 


তরুন চট্টোপাধ্যায়, কলকাতা

বাংলার ভোটে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ নিয়ে জল্পনা তো থাকবেই।দুই হেভিওয়েট তৃনমূল ও বিজেপি দলে কে মুখ্যমন্ত্রী হবেন এ জিজ্ঞেস তো ভোটারদের থাকবেই।তৃনমূল দল নিয়ে কোনো দ্বন্দ্ব ছিল না ,আজও নেই।তৃনমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দোপাধ্যায় ই যে তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হবেন এ নিয়ে কোন সংশয় নেই।না ভোটার দের,না দলের ।কারন মমতা বন্দোপাধ্যায় ছাড়া তৃনমূল দল আর কাউকে ভাবতেই পারেন না।আর ভাবার ও বিশেষ কোন কারন ও নেই।

কিন্তু বিজেপি দল যদি ক্ষমতায় চলে আসে তা হলে মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন এ প্রশ্ন যথার্থই ।আর সেই মুখ খুঁজতে দিল্লির নেতারা বাংলায় বার বার এসেছেন।ভূমিপুত্র খুঁজতে।কিন্তু তেমন কোন মুখ উঠে আসেনি আজও ।

সৌরভ গাঙ্গুলি কে নিয়ে একটি রটনা তো ছিলই ।আর রটনা বা বলি কেন,বিজেপির উচ্চ নেতৃত্ব বার বার চেষ্টা ও করেছিলেন মহারাজ কে পেতে।কিন্তু দাদা হ্যাঁ বা না কিছু বললেও স্টেপ আফ করে সেই বল গ্যালারির বাইরে পাঠিয়ে দিয়েছেন।সেই বল আর খুঁজে না পেয়ে অগত্যা আর এক দাদার খোঁজ আনলেন বিজেপি দল।

তিনি মহাগুরুমিঠুন চক্রবর্তী ।সম্প্রতি প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিগ্রেডে পদ্ম দলে নাম লেখান।তৃনমূল দলের রাজ্য সভা ছেড়ে রাজনিতীর সন্যাস নিয়ে আবার ফিরলেন নরেন্দ্র মোদীর হাত ধরেই।সে হতেই পারে।রাজনীতি তে শেষ কথা বলে কোন কথা নেই।

সেই মিঠুন চক্রবর্তী ই কি এবার বিজেপি দলের তুরুপের তাস হতে চলেছেন ।বাংলার মুখ হয়ে তিনি কি বসবেন ।অবশ্যই দল যদি ভোটে জেতে।

           মিনিস্টার ফাটা কেষ্ট বিগ্রেডের সভা থেকেই বলেছিলেন মারবো এখানে লাশ পড়বে শ্মশানে ।বেলেবোরা নয় জাত কেউটে, এক ছোবলেই ছবি।যদিও তিনি পরে বলেন মানুষ সংলাপ শুনতে চাইছেন তাই।এর সঙ্গে রাজনিতীর কোন যোগ নেই।আমি কখনোই এ রকম রাজনীতি পছন্দ করি না।

ধরে নেওয়া যাক দিদির সঙ্গে টক্কর দিতে গিয়ে মহারাজ সৌরভ দাদাকে না পেয়ে মহাগুরুমিঠুন চক্রবর্তী কেই বিজেপি বাছলেন।কিন্তু তিনি কি এবার বাংলার মুখ হবেন।দল জিতলে তিনিই কি মুখ্যমন্ত্রী ।তাহলে দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায়, হালে দলে আসা শুভেন্দু অধিকারী রা কি করবেন।এই নামের বাইরেও আরো নাম ও তো আছে।

যদিও বিজেপি দল প্রার্থী বাছাই করতে গিয়ে নানা ভাবে অপদস্থ হয়েছেন দলের কর্মী দের কাছেই।সাত দিন আগে তৃনমূল দলে টিকিট না পেয়ে সিঙুরের মাস্টারমশাই রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য কে আজও বিক্ষোভের মুখে পড়তে হচ্ছে ।শুধু তিনিই বা কেন রাজ্য জুড়ে ই চলছে নানা বিক্ষোভ ।আজও সেই বিক্ষোভে ভাঁটা পড়েনি।বদল করেঙ্গে ইয়ে মরঙ্গে বলে বিজেপি দলের পার্টি অফিস ঘেরাও এখন নিত্য ঘটনা।আর বঙ্গ নেতা নেত্রী দের দিল্লির দিকে তাকিয়ে থাকা ছাড়া গত্যন্তর নেই।

সে কথা থাক।কিন্তু দল জিতলে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ কি মিঠুন।যদিও তিনি বলেছেন বিজেপি ক্ষমতায় এলে বিদ্যুতের দাম কমানো তাঁর প্রথম কাজ।আর সেই দাম কমলে শিল্প আসবে বাংলায় ।

কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে হতে গেলে ভোটে জিতে আসতে হবে।আর ভোট জেতার জন্য দরকার ভোটে মনোনয়ন ।কিন্তু আজ পর্যন্ত তিনি বাংলার ভোটার নন।ভোটার মহারাষ্ট্রের।তাই প্রথম কাজ এ রাজ্যের ভোটার পদের জন্য আবেদন। 

কিছু কিছু কেন্দ্রে সে সুযোগ এখনো না থাকলেও যেখানে নির্বাচন হতে একটু দেরি আছে সেখানে তিনি ভোটারের জন্য আবেদন করতেও পারেন।আর ভোটে না দাঁড়ালেও দল জয়ী হলে কোন কেন্দ্রের জয়ী প্রার্থী কে পদত্যাগ করিয়েও সেখানেও তিনি দাঁড়াতে পারেন।তা নিয়ে কোন অসুবিধা নেই।কিন্তু ভোটের আগে দল মুখ্যমন্ত্রীর মুখ দেখাতে পারেন তাহলে তো অসুবিধা অবশ্যই ।বিগ্রেডে সভার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্রায় পনের মিনিট একান্তে মিঠুনের সঙ্গে কথোপকথনে অনেকেই ভেবেছিলেন তিনিই হবেন বাংলার মুখ।কিন্তু নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে সেই মুখ আর দেখা যাচ্ছে না।তবে কি বিজেপি দল বুঝতে পেরেছেন একুশে তৃনমূল দল কে সাফ করা যাবে না।

দিদি বনাম দাদার লড়াই হলে বাংলার বিজেপির হয়ে উঠে আসতো মিঠুন চক্রবর্তীর মুখ।কিন্তু মিঠুন এখন কলকাতা ছাড়া ।মুম্বাই গেছেন।ফিরে তিনি প্রচারে অংশ নেবেন বলে শোনা যাচ্ছে ।দিদির কেন্দ্র নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর সমর্থনে বক্তব্য ও রাখবেন।

প্রচারে নিশ্চয় তিনি যোগ দেবেন।তবে এর মধ্যে রাজনীতি বিদদের অনুমান মিঠুন চক্রবর্তী কেও ভোটে দাঁড় করাবেন বিজেপি দল।আর ভোটে দাঁড়ালে মিঠুন চক্রবর্তী ই হবেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর মুখ।এ নিয়ে কোন সন্দেহ নেই।

তবে কি বাংলার মানুষ ঘরের মেয়ে কেই মুখ্যমন্ত্রী চান, না ঘরের ছেলেকে।সে জবাব দেবে জনগন।তবে ঘরে ছেলে মিঠুন অবশ্য এখন ঘরছাড়া ।তিনি বাংলার ভোটার ও এখনো হননি।তবে জন্ম তো বাংলায়।এই আর কি।

ভোটের অঙ্ক বড়ই কঠিন।বড়ো বালাই ও বলা যেতে পারে।মহারাজ দাদা হাতছাড়া হবার পর থেকেই মহাগুরুমিঠুন চক্রবর্তীর দিকেই নজর ছিল বিজেপির দিল্লি ওলাদের।আর এস এস প্রধান মোহন ভাগবত দল কে সে সুযোগ করে দিয়েছেন।

          এখন দেখা যাক দল কি করে।মিনিস্টার ফাটা কেষ্ট সত্যি সত্যি রুপোলী জগতের মায়াজাল কাটিয়ে বঙ্গের বাস্তব মাটিতে দাঁড়িয়ে কি সংলাপ বলেন।

মারবো এখানে লাশ পড়বে শ্মশানে ।প্রচারে হাততালি আসবে।ভোট বাক্সে কি আসবে তা জানা যাবে 2 মে।আগে তো নয়ই ।