Page Nav

HIDE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

সৃষ্টি-সাহিত্য-যাপন-দৈনিক-সেরা-লেখনী-সম্মাননা

সৃষ্টি-সাহিত্য-যাপন৬। “”””””””” অচেনা স্বরে-আপন করে~           “”””””””””””””””“””””””””””””””””       শ্রীস্বদেশ সাধক সরকার      “””””””””””””””””””””””““””””””””””””” ০৩ রা জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ / ১৮/০৫/২০২১‘’““““”””””””””””””””””””””…

 


সৃষ্টি-সাহিত্য-যাপন৬। 

“”””””””” অচেনা স্বরে-আপন করে~

           “”””””””””””””””“””””””””””””””””

       শ্রীস্বদেশ সাধক সরকার

      “””””””””””””””””””””””““”””””””””””””

 ০৩ রা জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ / ১৮/০৫/২০২১

‘’““““”””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””

    কখনো অচেনা লেখা আপন হয়ে যায়,

 কখনো বা অচেনা স্বর নিজের হয়ে যায় ,

 এটাই সহজাত প্রকৃতির এক অপরূপ 

 মনোময়ী আবরণ যা আপন মনেই সে তার

 বিক্রিয়ায় নিজেকে হৃদয়ের অন্তপুরে

 সচেতন,অবচেতন মনের গহীন বনে সাঁতার

 কাটায়। 

  সেই অনেক আগে দৃশ্য শ্রাব্য বিষয়টি মনের

 দর্পণে আলো বিকিরণের সুযোগ পায়নি,সেই

 আমলে দৈনিক সংবাপত্রে মহেন্দ্র চক্রবর্তী,

 সুখময় সেনগুপ্ত,নিমাই ভট্টচার্য্য সহ আরো

 অনেকেই দৈনিক সংবাদপত্রের সম্পাদকীয় পাতায় কলমচি লিখে মানুষের মন জয় করে

 নিতেন। তাঁদের ছবি আমাদের কাছে ভেসে

 উঠত না কিন্তু লেখনীর ক্ষুরধারে তারা

 সেই সময়ে বেশ জায়গা করে নিতেন,অন্তত 

 যারা সংবাদপত্রের সাথে সংপৃক্ত ছিলেন। 

  এমনি অনেক বিষয় আছে যাদের চাহনি

 বা শরীরের অবকাঠামোয় এমন তাদের

 সৌকার্য যা তাদের মনে করায় অচেনা স্বরে

 আপন করে নেবার এক সুপ্ত চেতনা যা

 মননের মনপুকুরে তার নিজ খেয়ালেই ঢেউ

 তুলে দেয়~ এ কথা পথের সনধানে মনে

 করে থাকে। 

  হাল আমলে অর্থাৎ এই নয়ের দশক হতে

 সংবাদপত্রের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এসে গেল

 বৈদ্যুতিন মাধ্যম~। 

 বিনোদনের সাথে সংবাদমাধ্যম ও জায়গা 

 নিল। চলে এল ষ্টার আনন্দ,চব্বিশ ঘন্টা ও

 ই টি ভি। মানুষ ও যোগ দিল। কত স্বরের

 অবগাহনে কত শৈলী যা দিন দিন সকলের

 কাছে হৃদয়গ্রাহী হতে লাগল। 

 এত কথা বলা এইজন্য যে সে সময় চব্বিশ

 ঘন্টায় এক ঝাঁক ঝকঝকে তরুণ মানুষের

 মনকে আকৃষ্ট করত। 

 কি তাদের ভাষার লালিত্য,উচ্চারণের 

 বৈশিষ্ট্যতা,মুখের মিষ্টি আর উজ্জ্বল হাসি যা 

 ছিল অজানা,অচেনা তারাই নিজেদের

 অগোচরে নিজেদের ভূমিকায় সকলের

 কাছে জায়গা করে নিল~এঁরা হলেন

 অঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়,সুদীপ্ত গুপ্ত,অর্ণব রায়

 উজ্জ্বল মুখার্জী,সৌরভ গুহ ও মৌপিয়া

 নন্দী। 

 অঞ্জন বাবুর হাসি,তার মিশুকে স্বভাব,বিষয়

 বৈচিত্রের অলংকরণ আর অনাবিল 

 চালচলন সকলকেই আকৃষ্ট করতো। 

 একবার বর্ধমানের সংস্কৃতি প্রেক্ষাগৃহের এ্যানেক্স ব্লিডিংসে গণমাধ্যমের দায়িত্ববোধ,

 সচেতনতা ও কর্তব্যনিষ্ঠা এবং বিজ্ঞাপন সম্বন্ধে এক আলোচনা চক্র অনুষ্ঠিত  

 হয়েছিল। সেখানে তার আলাপচারিতা 

 সকলকেই মুগ্ধ করেছিল। 

 মনে পড়ে সে সময় একটি তেলের 

 বিজ্ঞাপনকে নিয়ে সকলেই তোলপাড় করেছিল। উনি বলেছিলেন~আসলে

 আমরা এটি বুঝি কিন্তু টাকাপয়সা ছাড়া

 তো মাধ্যম চলবে না,তবে বিষয়টি অবশ্যই

 ভাববার ,যতটা সম্ভব এ বিষয়ে নজর দেয়া

 হবে। 

 সে দিন বুঝতে পারা যায় নি। 

 আজ অঞ্জনবাবু হঠাৎ চলে গেলেন। সংবাদ

 ও সংবাদমাধ্যম ও গণমাধ্যমের প্রভূত ক্ষতি

 হয়ে গেল। কিন্তু তার সে কথা,আজ বেশ

 স্পষ্ট যে পুঁজি ছাড়া আজ সবই যেন

 খাপছাড়া । আদর্শ,নীতি,চরিত্র,স্বচ্ছতা ও

 উদারতা আজ এক কঠিন বাস্তবতার

 মুখোমুখি। 

 সে চব্বিশ আর সে চব্বিশ বা অন্যরা আজ

 আর সে নামে নেই~কিন্তু সবাই আছে,

 সে সময় এই অচেনা স্বরে আপন করে,

 ইনাদের না দেখতে পেয়ে মন খারাপ করত। 

 তারপর আবার সেই আবার আবেগলালিত

 ছন্দময় বাক্যশৈলীর অপরূপ মাধুর্যতায়

 ফিরে এসে স্বমহিমায় প্রতিভাত হয়েছিলেন। 

 এই ভোটের আগেও তাঁর সঞ্চালনেও অংশ

 গ্রহণ করেছিলেন যদিও সে সময় আমার

 অন্তত মনে হয়েছিল সেই স্বরে কোথাও যেন

 একটু খামতি~তখন জানা ছিল না~তাঁর

 এ অসুখের কথা। 

 তাঁর এই অসময়ে চলে যাওয়া বাংলার

 পক্ষে বেশ ক্ষতিকর ও অপূরণীয়। 

 সেই অচেনা স্বরে আপন করে~অঞ্জন 

 বন্দোপাধ্যায়ের গলার স্বর আর কোনদিন

 সজীব হয়ে ধরা পড়বে না। এ দুঃখ রয়ে

 গেল সবার মনে~ছিল দেবার অনেক,

 ছিল সময় অনেক~তবুও এ যে বড়

 দুঃসময়~

 পথের সনধানে ,আপনাকে মনে রাখবে ,মনে

 রাখবে আপনার কর্মধারাকে~

 আপনার আকস্মিক প্রয়াণে আমরা গভীর

 শোকাচ্ছন্ন। 

 আপনার প্রতি রইল বিনম্র শ্রদ্ধা~

অচেনা স্বরে আপন হয়েই বেঁচে থাকবেন

 চিরন্তন চিরজীবী হয়ে~

“”””””””””$$$“””””””””$$*“”””””””””$$$“”””””””””

""""""""""""""""""""""""""""""""