অরুণ কুমার সাউ, তমলুক: রাজ্যের মধ্যে পড়াশোনায় এগিয়ে থাকা অন্যতম জেলা পূর্ব মেদিনীপুর। প্রতি বছর মাধ্যমিকে পাশের হার চোখে পড়ার মতো। আর সেই জেলারই মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিদর্শক অফিসে কিনা জল থৈ থৈ অবস্থা। গত দুই দিন বৃষ্টিতে এই …
অরুণ কুমার সাউ, তমলুক: রাজ্যের মধ্যে পড়াশোনায় এগিয়ে থাকা অন্যতম জেলা পূর্ব মেদিনীপুর। প্রতি বছর মাধ্যমিকে পাশের হার চোখে পড়ার মতো। আর সেই জেলারই মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিদর্শক অফিসে কিনা জল থৈ থৈ অবস্থা। গত দুই দিন বৃষ্টিতে এই অফিসের অর্ধেকের বেশি অংশ জলের তলায়। খোদ ডি.আই- এর বসার ঘরেও চার-পাঁচ ইঞ্চি কাদা জল। মঙ্গলবার ও বুধবার জল জমে ছিল যথেষ্ট। বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত অফিসের দক্ষিণ দিকের ও বাথরুমের দিকে জল রয়েছে। বেশ কিছুটা অংশে জল নেমে গেলেও কাদা রয়েছে যথেষ্ট। বহু নথিপত্র জলে ভিজে নষ্ট হয়ে গেছে। ২৩ বছর ধরে অফিসটি চলছে ভাড়া বাড়িতে। এমন কি শিক্ষক-শিক্ষিকাদের জন্য ভালো বাথরুম পর্যন্ত নেই। যা রয়েছে তা ব্যবহার করার জন্য একটা উপযুক্ত নয়। বিগত বছরেও এই দৃশ্য দেখা গিয়েছে। এরকম একটি গুরুত্বপূর্ণ অফিসে জল জমে থাকার ফলে বিদ্যালয়ের নানা কাজে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা শিক্ষক -শিক্ষিকারা ভীষণ অসুবিধা সম্মুখীন হয়।
দীর্ঘদিন ধরেই ‘মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষকর্মী সমিতি'র পক্ষ থেকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মানিকতলার এই মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিদর্শক অফিসটি স্থানান্তরিতকরণের দাবি জানিয়ে আসছে। কিন্তু প্রশাসন এ ব্যাপারে কোন ভ্রুক্ষেপ নিচ্ছে না। এই সমস্যা সমাধানের দাবিতে ‘মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষকর্মী সমিতি'র তরফ থেকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলাশাসক, শিক্ষামন্ত্রী ও রাজ্য শিক্ষা দপ্তরে আর্জি জানানো হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুর ‘মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষকর্মী সমিতি'র জেলা সম্পাদক শম্ভুনাথ মান্না বলেন, “এই অফিস অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ভাড়া বাড়িতে দীর্ঘ দিন ধরে চলছে। আমরা দাবী করছি অবিলম্বে এই অফিস স্থায়ী কোনো সরকারি জায়গায় স্থানান্তরিত হোক।"