ক্রমশ দাপট দেখাচ্ছে করোনা।করোনা সংক্রমণের গতি রুখতে রবিবার থেকে রাজ্যে শুরু হয়েছে পনেরো দিনের আংশিক লকডাউন। ভয়ানক করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে সকলেই আতঙ্কিত। করোনা সংক্রমণ রুখতে প্রশাসনের পাশাপাশি পথে নেমেছে একাধিক স্বেচ্ছাসেব…
ক্রমশ দাপট দেখাচ্ছে করোনা।করোনা সংক্রমণের গতি রুখতে রবিবার থেকে রাজ্যে শুরু হয়েছে পনেরো দিনের আংশিক লকডাউন।
ভয়ানক করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে সকলেই আতঙ্কিত।
করোনা সংক্রমণ রুখতে প্রশাসনের পাশাপাশি পথে নেমেছে একাধিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।
ওরা এক ঝাঁক তরুন,তরুণী।যখনই মানুষ চেয়েছে তাদের পাশে পেয়েছে।এই মহামারিতে লাগাতার সচেতনতামূলক কাজ করে চলেছে তারা।একদিন বা হঠাৎ কোন একটি জায়গায় প্রচার চালিয়ে তারা ক্লান্ত হচ্ছে না।
এই পরিস্থিতিতে প্রশাসনের পাশাপাশি তারাও পথে নেমেছে।মানুষকে সচেতন করছে।
যারা এখনো মাস্ক ও স্যানিটাইজার ব্যবহার করছে না তাদের সচেতন করার সঙ্গে সঙ্গে মাস্ক ও স্যানিটাইজার তুলে দিচ্ছে।
হলদিয়া চৈতন্যপুর এলাকায় যে জায়গা গুলোতে মানুষের আনাগোনা থাকে বাজার,বাসস্ট্যান্ড,বিভিন্ন মোড়ে তরুনদের উদ্যোগে লাগানো হয়েছে অভিনব মাস্ক বক্স।রাস্তায় বেরিয়ে কেউ যদি মাস্ক পরতে ভুলে যায় বা কোন কারনে মাস্ক নষ্ট হয়ে যায়
ওই বক্স থেকে বিনামূল্যে পাওয়া যাচ্ছে মাস্ক।
এর পাশাপাশি বিভিন্ন জায়গায় লাগানো হয়েছে সচেতনতা মূলত পোস্টার।
"জমায়েত এড়িয়ে চলুন,মাস্ক ব্যবহার করুন" এভাবেই সোস্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে একাধিক মাধ্যমে বার্তা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে মানুষের কাছে।
দুই বছর আগে হলদিয়া চৈতন্যপুরে বেশ কয়েকজন স্কুল পড়ুয়া মিলে তৈরি করছিল আলোক চেতনা পরিবার নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।প্রথম থেকেই ওই এলাকার দুঃস্থ ও মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের পাশে ছিল ওই সংস্থা।বই,খাতা থেকে শুরু করে আর্থিক সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল ছাত্রছাত্রীদের।গতবছর করোনা আবহে কোভিড পরীক্ষা শিবির,পাড়ার পাড়ায়,মোড়ে মোড়ে ঘুরে হ্যান্ড মাইক নিয়ে করোনা সচেতনতা প্রচার করেছিল তারা।এমনকি ওই এলাকায় একজন কিডনি আক্রান্ত রোগীর অপারেশন এর জন্য প্রয়োজনীর অর্থ সংগ্রহ করে তাদের পাশে ছিল রনজিৎ,মনেন্দু এর মতো একদল তরুন,তরুণীরা।
কখনো টিফিন খরচ বাঁচিয়ে,লক্ষীর ভাড়ে পয়সা জমিয়ে সংগঠনের তরফ থেকে একাধিক কর্মসূচির উদ্যোগ নিয়েছে তারা।অনেক ছাত্রছাত্রী আর্থিক সঙ্কটের জেরে কলেজে ভর্তি হতে পারিনি।তাদের ভর্তির ব্যাবস্থা করেছে ওই সংগঠন।তাদের দাবি আগামীদিনেও আমরা আমাদের সাধ্য মতো মানুষের পাশে থাকবো।
তাদের এই উদ্যোগ কে কূর্ণিশ জানিয়েছে স্থানীয় চৈতন্যপুর গ্ৰাম পঞ্চায়েত।ওই এলাকায় বাসিন্দা পেশায় চিত্র শিল্পী রমেশ দাস জানান খুব কম বয়স থেকেই এই ছেলেগুলো সামাজিক কাজে ঝাঁপিয়ে পড়েছে।আগামীদিনে সাহায্য ও সহযোগিতা পেলে ওরা আরও উদ্যোমী হয়ে কাজ করতে পারবে।হলদিয়ার চৈতন্যপুরে এক স্কুলের প্রধান শিক্ষক সৌমেন্দু শেখর মিদ্দা বলেন আমার স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের এই প্রয়াস দেখে আমি খুব খুশি।
এই বয়স থেকেই ওরা যেভাবে মানুষের বিপদে ঝাঁপিয়ে পড়েছে,আমার বিশ্বাস আগামীদিনে ওরা অনেক দূর এগিয়ে যাবে।ওদের সঙ্গে থাকতে পেরে নিজের খুব আনন্দ হয়।এই কোভিড পরিস্থিতিতে সকলের কাছে অনুরোধ আপনারা বাড়িতে থাকুন এবং অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করুন।