(লেখক পরিচিতিঃ লেখিকা বা কবি পিউ হালদার আশ ছোট থেকেই পড়াশুনার পাশাপাশি গানবাজনা, নাচ, অভিনয় আর লেখালিখির সাথেও যুক্ত ছিলো। বেশ কিছু দেওয়াল পত্রিকায় লেখা প্রকাশ হয়েছিল,আবার কিছু পত্রিকায় বিশিষ্ট রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী হিসাবেও নাম প…
(লেখক পরিচিতিঃ লেখিকা বা কবি পিউ হালদার আশ ছোট থেকেই পড়াশুনার পাশাপাশি গানবাজনা, নাচ, অভিনয় আর লেখালিখির সাথেও যুক্ত ছিলো। বেশ কিছু দেওয়াল পত্রিকায় লেখা প্রকাশ হয়েছিল,আবার কিছু পত্রিকায় বিশিষ্ট রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী হিসাবেও নাম প্রকাশ হয়েছিল।
বিশিষ্ট রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী হিসাবে বিশেষ ভাবে পরিচিত। উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করার পর রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রবীন্দ্র সংগীত অনার্স নিয়ে পড়াশুনা করেছেন। পাশাপাশি রবীন্দ্র নৃত্য, আধুনিক নৃত্যেও ও পারদর্শী। একজন ভালো মনের মানুষ, মানুষ কে ভালোবেসে মানুষের সঙ্গে থাকতে ভালোবাসে।
একজন সুগৃহিনীর পাশাপাশি সঙ্গীতের শিক্ষিকা ও গৃহশিক্ষিকা। অন্যদিকে সাহিত্য চর্চা করতে ভালোবাসেন। সাহিত্যানুরাগী হিসেবে বিশেষ ভাবে পরিচিত। সুন্দর সুন্দর লেখনীর দ্বারা পাঠককুলের মন জয় করে চলেছেন।)
#গদ্যকবিতা
#একটা_সকাল
#পিউ_হালদার_আশ
২২..০৬.২০২১
আমি একটা সুন্দর সকাল উপহার পেতে চাই,, দেবে তুমি আমায়? যে সকালটায় থাকবে না কোনো মান অভিমান, থাকবে না কোনো রাগারাগি।
মিষ্টি করে সুপ্রভাত দিয়ে শুরু করবো
মিষ্টি সকাল,,রোদ ঝলমলে একটা সুন্দর সকাল,, যেখান থেকে শুরু একটা গোটা দিনের।
মেঘের কাছে গিয়ে বলবো " ও মেঘ তোর অভিমানের কালো পর্দা সরিয়ে ফেলে আবার নতুন করে বাঁচতে শেখ"।
বৃষ্টি কে বলবো "ও বৃষ্টি রানী,, অনেক তো হোলো ,,আর কত ঝরবি তুই?? এবার তো থাম,, একটা মেঘ বৃষ্টি বিহীন সুন্দর সকাল চাই আমি।
উত্তাল সমুদ্রের ঢেউ এর কাছে গিয়ে বলবো "ওরে তুই এবার একটু থাম,, এত গর্জাস না,, একটু শান্ত হ"।আমি একটা শান্ত সকাল উপহার পেতে চাই।
পাহাড়ের নির্জনতার কাছে গিয়ে চাইবো একটা সুন্দর সকাল,, জানি একমাত্র এই পাহাড়ের নির্জনতাই দেবে আমাকে একটা সুন্দর সকাল।
পাহাড়ের কোল ঘেঁষে উঠবে নতুন সূর্য,, ওই নির্জনতার মাঝে একলা আমি মনের যত জমাট বাঁধা দুঃখ কষ্ট কে বিসর্জন দিয়ে শুরু করবো নতুন দিনের নতুন সকাল।
পাহাড়ী নির্জনতায় উপভোগ করতে করতে ডুব দেবো অতল প্রেমে,, একটা সকাল না হয় থাকুক শুধু তোমার আর আমার হয়েই।
🌸🌸🌸🌸🌸🌸🌸🌸🌸🌸🌸🌸🌸🌸🌸🌸
#সৃষ্টি_সাহিত্য_যাপন
#গদ্যকবিতা
#হঠাৎ_বৃষ্টি
#পিউ_হালদার_আশ
২০..০৬..২০২১
বেশ তো শান্ত ছিল রাতের আকাশটা,,তারারা জ্বলজ্বল করে তাদের উপস্থিতি জানান দেয়।
গায়ে হাজার কলঙ্ক লেগে থাকা সত্ত্বেও রাতের আকাশের চাঁদ টা জানান দেয় আমিও আছি।
একলা আমি ছাদের এক কোণে চুপটি করে দাঁড়িয়ে আছি দূর আকাশের পানে ।
আপন মনে তারা গোণার চেষ্টা করে চলেছি,, আবার কখন ও আপন মনেই ভেবে চলি যে চাঁদের গায়ে এত কলঙ্ক, সেই তার আলোয় আলোকিত করে রেখেছে এই রাতের আকাশটা।
আবার এও ভাবি চাঁদের গায়ে এত কলঙ্ক থাকা সত্ত্বেও যদি সে সুন্দর পবিত্র হয়, তাহলে আমাদের মেয়েদের গায়ে সহজেই কেনো কলঙ্ক লেগে যায়?
এত সব ভাবনা একাই ভেবে চলেছি নিজের মনে,, যেনো আমিও হারিয়ে গেছি ওই আকাশে চাঁদ তারাদের মাঝে,,
হঠাৎ কোথা থেকে দু এক ফোঁটা বৃষ্টি এসে পড়ল আমার গালে, আকাশের দিকে চেয়ে দেখি কোথাও একটু ও মেঘের দেখা নেই।
বুঝতেই পারি নি কখন নিজের মনের অজান্তেই চোখের কোল বেয়ে হঠাৎ বৃষ্টি নেমে এসেছে দুই গাল বেয়ে।
🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷
#সৃষ্টি_সাহিত্য_যাপন
#গদ্যকবিতা
#পূর্ণিমার_রাত_ও_নির্জনতা
#পিউ_হালদার_আশ
২৮/০৫/২০২১
তোমায় একটা নির্জনতা উপহার দিতে চাই,, তোমায় একটা পূর্ণিমার রাত উপহার দিতে চাই,, গোটা একটা পূর্ণিমার রাত।
খোলা আকাশের নিচে গোটা একটা রাত কাটাতে চাই তোমার সাথে,, সেখানে থাকবে না কোনো জনমানব, থাকবে না কোনো বাধা,থাকবে না কোনো মাথার ওপর ছাদ।
জ্যোৎস্নার আলো মাখবো গায়ে,,, জ্যোৎস্নার আলোয় স্নান করবো দুজনে,, পূর্ণিমার চাঁদের অপরূপ সৌন্দর্য্য সাক্ষী থাকবে আমাদের প্রেমের।
একটা গোটা নির্জন রাত তোমায় উপহার দেবো,মিটিমিটি তারার জ্বলবে,, চাঁদের গায়ের যত কলঙ্ক মুছে যাবে আমাদের ভালোবাসার ছোঁয়ায়।
ভালোবাসায় লাগে না কোনো দামী উপহার,, লাগে না কোনো স্বার্থ,, ভালোবাসায় লাগে শুধু দু জোড়া চোখ দুটো ভালোবাসা ভরা হৃদয় আর দুটো ভরসার হাত।
একটা পূর্ণিমার রাত তোমাকে উপহার দিতে চাই প্রিয়তম,, সে কোনো নির্জন দ্বীপেই হোক আর সমুদ্রের তীরেই হোক বা খোলা আকাশের নীচেই হোক।
সমুদ্রের তীরে বসে পূর্ণিমার আলোয় আলোকিত সমুদ্রের উত্তাল ঢেউয়ের সাথে আমাদের মনেও জাগবে ভালোবাসার ঢেউ।
তোমার কাঁধে মাথা রেখে উপভোগ করবো নির্জনতা ভরা পূর্ণিমার রাত,, সমুদ্রের জলে পা ভিজিয়ে তোমার ভালোবাসার উষ্ণতা উপভোগ করবো।
বালুতটে বসে দুজনে বানাবো আমাদের স্বপ্নের রাজপ্রাসাদ,, যেখানে থাকবো শুধু তুমি আমি আর আমাদের ভালোবাসা,, তোমার রানী করে রাখবে আমায়।
একটা পূর্ণিমার রাত কেটে যাবে শুধুই চোখে চোখ রেখে হাতে হাত রেখে নিস্তব্ধ হয়ে,, নিবিড় আলিঙ্গনে আবদ্ধ করে শরীরের ওমে উষ্ণ করে দেবে আমার শরীর।
সাক্ষী থাকবে একটা নির্জনতা ঘেরা পূর্ণিমার চাঁদ, উত্তাল সমুদ্রের ঢেউ, রাতের আকাশের তারারা আর একটা নির্জন দ্বীপ।
আমি তোমাকে সারাজীবন এইভাবেই ভালোবেসে যেতে যাই,, একটা কেনো হাজার টা নির্জনতা উপহার দিতে চাই,, অসংখ্য পূর্ণিমার রাত তোমাকে উপহার দিতে চাই।
তার বদলে আমি চাই তোমার থেকে একটা ভালোবাসা মিশ্রিত ঝগড়া বিহীন সুন্দর ঝলমলে সকাল,,
দেবে তো প্রিয়তম একটা সুন্দর ঝলমলে সকাল উপহার??
🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹
#গদ্যকবিতা
#তোমায়_নিয়ে
#পিউ_হালদার_আশ
২৯.০৫.২০২১
ভেবেছিলাম তোমায় নিয়ে একটা কবিতা লিখবো,, ভেবেছিলাম তোমায় নিয়ে একটা আস্ত উপন্যাস লিখবো, ভেবেছিলাম তোমার জন্য একটা খোলা চিঠি লিখবো।
যে চিঠিটায় থাকবে শুধুই তোমার আমার ভালোবাসার কথা,, যে কবিতার প্রতি ছত্রে থাকবে তোমার কথা।
যে উপন্যাসের প্রতিটা লাইনে থাকবে আমাদের ভালোবাসার সুন্দর মুহূর্তের কাহিনী,, উপন্যাসের পাতায় পাতায় ভরিয়ে রাখবো তোমার উজ্জ্বল উপস্থিতি।
কতকিছুই না ভেবেছিলাম তোমাকে নিয়ে ,,তোমার জন্য তো আমি সবকিছু করতে পারি গো,,তুমি যে আমার ভালোবাসা,, তুমি যে আমার অহংকার।
মনে মনে তোমাকে নিয়ে কত কিছুই না কল্পনা করেছি,, কত স্বপ্নই না দেখেছি,, স্বপ্নে কত কথাই না বলেছি,, কতই না ভালোবাসার দিন যাপন করেছি।
জানো আমার স্বপ্নে তোমার নিত্য আনাগোনা,, চোখ বুজলেই শুধু তোমাকে দেখি,, আজ ও,, জানি তোমার মনের দরজা আমার জন্য চিরকালের মতো বন্ধ হয়ে গেছে।
কিন্তু আমার তো খোলা আছে,, তাই তোমার অবাধ যাতায়াত আমার মনে, আমার স্বপ্নে, আমার শয়নে। যেদিকে তাকাই শুধু তুমি তুমি আর তুমি।
আমি কোনো বড় কবি নই,, লেখিকা ও নই,, আমি খুব সাধারণ একটা মেয়ে,, লিখতে ভালোবাসি,,,তাই যা মনে আসে লিখে ফেলি।
তোমার জন্য একটা গান গাইবো ভেবেছিলাম,,তোমার সাথে যদি কখনো দেখা হোতো তাহলে শোনাতাম।
এসব সবই তো কবি মনের কল্পনা,, সবকিছু কি বাস্তব হয়?? তোমায় নিয়ে কবিতা লিখতে বসলাম,, পারলাম না গো।
মন যে বড়ই অস্থির চঞ্চল,, কিছুতেই পারলাম না,, পাতার পর পাতা লিখেছি আর ছিঁড়ে ফেলেছি ঘরের মেঝেতে,, কত পেনের নীব ভেঙেছি।
তাও এলো না আমার মনে তোমায় নিয়ে কবিতার লাইন,, আজীবন থাকবে কথা দিয়েছিলে,, সেই তো চলে গেলে একা করে দিয়ে।
লিখবো কি?? একের পর এক খাতার পাতাগুলো যে চোখের জলে ভিজে যাচ্ছে,, না আজ আর হোলো না তোমায় নিয়ে কবিতা লেখা। হবে হয়তো অন্য কোনোদিন।
--------*******--------*******-----------