Page Nav

HIDE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

গনপরিবহন বন্ধে কর্মীদের রুজিরোজগারের সঙ্কট

2020 পর আবার 2021 ।করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়লো ভারতবর্ষ সহ সমগ্র রাজ্য জুড়েই।আর তার ফলশ্রুতি হিসাবে লক ডাউন বা বিশেষ সতর্কতা ।ফলে সব ঝাঁপ বন্ধ হলো এই বাংলাতেও।যদি ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের উদ্যোগে অত্যাবশ্যক পন্যের সামগ…

 


। তরুণ চট্টোপাধ্যায় ।
2020 পর আবার 2021 ।করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়লো ভারতবর্ষ সহ সমগ্র রাজ্য জুড়েই।আর তার ফলশ্রুতি হিসাবে লক ডাউন বা বিশেষ সতর্কতা ।ফলে সব ঝাঁপ বন্ধ হলো এই বাংলাতেও।যদি ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের উদ্যোগে অত্যাবশ্যক পন্যের সামগ্রীর দোকান বাজার বিধিনিষেধ মেনে কিছু সময়ের জন্য খোলা থাকলেও ,সব থেকে বেশি কোপ পড়লো গন পরিবহনের ওপরেই।সরকারী বেসরকারি বাস দাঁড়িয়ে পড়লো রাস্তায় ।বন্ধ হলো লোকাল ট্রেনের ভোঁ।
শট রুট ,লং রুট সব বন্ধ হয়ে গেল।ফলে চরম বিপাকে মানুষজন।সরকারী অফিসে সবেতন ছুটি থাকলেও বেসরকারি অফিস গুলিতে দেখা দিল সঙ্কট।সব অফিসের কাজ তো আর ঘর থেকে করা সম্ভব নয়।
গন পরিবহনের সঙ্গে যুক্ত প্রায় দশ লাখ মানুষ হারালেন রুজি রোজগার ।বাস স্টান্ডের দোকান থেকে ফিরিওয়ালা বন্ধ করলো ঝাঁপ।বাসের চালক,কন্ডাক্টর ও হেল্পারের দল আজ খুঁজতে শুরু করলো নতূন পেশা।কিন্তু এতো মানুষ যাবেন কোথায় ।করোনার প্রথম ঢেউ সামলে ছন্দে ফেরা গেলেও দ্বিতীয় ঢেউ এসে সে ছন্দ দুমড়ে মুচড়ে দিয়ে গেল।
বাস মালিকেরা বাস না চললে তাদের কর্মী দের ছাঁটাই করতে বাধ্য হলেন।কর্মী রাও ফিরে যেতে বাধ্য হলো।
গত লকডাউন থেকেই বাস ভাড়া বৃদ্ধি সহ নানা দাবিদাওয়া করে আসছিলেন বাস মালিকদের সংগঠন গুলি।সে সময় রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী ।কিন্তু সে দাবি আজও দাবিই থেকে গেছে।এদিকে কেন্দ্রীয় সরকার পেট্রোল ও ডিজেলের দামে হ্রাস টানেনি ।ফলে বাস মালিকেরা মহা বিপদে।
সম্প্রতি ইনটা এন্ড  ইনটার রিজিওন  বাস অ্যাসোসিয়েশনের জেনারেল সেক্রেটারি পল্লব মজুমদার চিঠি লিখেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সহ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় কেও।পরিবহন মন্ত্রী সহ রাজ্য ও কেন্দ্রীয় স্তরের বিভিন্ন প্রশাসনিক কর্মকর্তা দের।
জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেটের জেনারেল সেক্রেটারি তপন ব্যানার্জির অভিযোগ বাস চালু করে বাস ভাড়া বৃদ্ধি সহ নানা দাবিদাওয়া না মিটলে গন পরিবহনের শোচনীয় অবস্থা হবে।
দুই অ্যাসোসিয়েশন এর দাবি গুলির মধ্যে রয়েছে বাসের ইনসিওরেন্স, টোল ট্রাক্স ,ব্যাঙ্কের ই এম আই কমানো থেকে,পেট্রল ডিজেলের দাম কমানোর মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ।
পশ্চিমবঙ্গ সহ সমগ্র দেশের একটি বড় অংশের ভরনপোষন চলে এই গন পরিবহনের ওপর ভিত্তি করেই।সেই গন পরিবহন কে বাঁচাতে গেলে এই সব দাবিদাওয়া গুলির সুষ্ঠ মীমাংসা জরুরী।  
পনের তারিখে বিশেষ সতর্কতা থেকে বেরিয়ে রাজ্য সরকারের পক্ষ থকে  গন পরিবহনে গতি আনলেও বাস মালিকেরা বাস রাস্তায় নামাতে পারবেন কিনা তা নিয়ে সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে ।
হাওড়া দিঘা রুটের এক মালিক জানান এই পথে এখন যা ভাড়া তাতে করে ডিজেল কিনে ও কর্ম চারীদের মাইনে দিয়ে বাস চালানো সম্ভব নয়।ফলে বাসের ভাড়া বাড়াতেই হবে।
এছাড়া যতদিন করোনার ঢেউ থাকবে ততদিন বাসে ভিড় হবে কম।
কর্মী দের বক্তব্য আমরা অধিকাংশ সময়ই ফাঁকা বাস নিয়ে পথে নামতাম।প্যাসেঞ্জার না বাড়লে মালিক মাইনে দেবে কোথা থেকে।
লকডাউনে গন পরিবহনের হাল যে খারাপ তাতো বোঝাই যাচ্ছে ।
নতূন পরিবহন মন্ত্রী ফিরদাস হাকিম নতূন কি পরিকল্পনা করেন, সে দিকে তাকিয়ে বেসরকারি বাস মালিক ও কর্মীরা।
আর প্যাসেঞ্জার দের বক্তব্য বাস ভাড়া বাড়ানোর যৌতিকতা কোথায় ।একে তো লকডাউনে রোজগার নেই।
লকডাউন ও করোনাভাইরাস গন পরিবহনের ওপর যতি চিহ্ন যে এঁকে দিয়েছে তাতো পরিস্কার ।
তাহলেও গন পরিবহনের ওপর নির্ভর করে বহূ মানুষের জীবিকা।
সকলেই চাইছেন গন পরিবহন চালু হোক।