নিজস্ব সংবাদদাতা, তমলুক: জলকাদা খানাখন্দে ভরা রাস্তায় পথ চলতে গিয়ে প্রায়শই ঘটছে দুর্ঘটনা। বর্ষার দিনে তা আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে। চরমে দুর্ভোগের মধ্যে পড়ে তাই বেহাল রাস্তাটি দ্রুত সংস্কারের দাবিতে সরব হলেন কোলাঘাট ও পাঁশকুড়ার …
নিজস্ব সংবাদদাতা, তমলুক: জলকাদা খানাখন্দে ভরা রাস্তায় পথ চলতে গিয়ে প্রায়শই ঘটছে দুর্ঘটনা। বর্ষার দিনে তা আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে। চরমে দুর্ভোগের মধ্যে পড়ে তাই বেহাল রাস্তাটি দ্রুত সংস্কারের দাবিতে সরব হলেন কোলাঘাট ও পাঁশকুড়ার বিস্তীর্ণ এলাকার ক্ষুব্দ বাসিন্দারা।
কোলাঘাটের সিদ্ধা হইতে বৃন্দাবনচক পর্যন্ত প্রায় ৬ কিমি দীর্ঘ গ্রামীণ পথ। ২০১৩ সালে হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদ এর পক্ষ থেকে রাস্তাটি পূর্ণাঙ্গ সংস্কারের জন্য কংক্রিটের রাস্তায় রূপান্তরিত করার কাজ শুরু হয়। কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দাদের বাধায় জাতীয় সড়ক থেকে সিদ্ধা হাইস্কুল পর্যন্ত মাত্র দুশো মিটার বেহাল রাস্তাটি কংক্রিটের করা সম্ভব হয়নি। সেই থেকে এই রাস্তাটি বেহাল অবস্থায় পড়ে রয়েছে বলে অভিযোগ।
ফলে নিত্যদিন যাতায়াতের ক্ষেত্রে আশপাশ এলাকার কয়রাডাঙ্গা পরমানন্দপুর, গুড়চকলি, বিষ্ণুবার, কয়াআইমাচক সহ বেশ কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দাদের তীব্র সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। পাশাপাশি বাজার এলাকায় হাইস্কুল সহ একাধিক প্রাইমারি, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থাকায় ছাত্র-ছাত্রীদের যাতায়াতের ক্ষেত্রেও চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়তে হয়।
সেই সঙ্গে প্রায়শই খানাখন্দে ভরা এই রাস্তায় পথ চলতে গিয়ে দুর্ঘটনার মধ্যে পড়তে হয় নিত্য যাত্রীদের। বিষয়টি একাধিকবার জানিযেও নতুন করে আর সংস্কারের কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয় চরম দুর্ভোগের মধ্যে আবার রাস্তাজুড়ে একাধিক স্থানে উঁচু-উঁচু বাম্পার গড়ে তোলায় এই সংকট আরও তীব্র হয়েছে নিত্যযাত্রীদের কাছে।
স্বাভাবিকভাবেই রাস্তাটি সংস্কারের দাবিতে সিদ্ধা বৃন্দাবনচক রাস্তা উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটির পক্ষ থেকে সরব হন আশপাশ এলাকার বহু মানুষের। সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে কোলাঘাট ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক এর কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়ে দরবারও শুরু হয়।
কমিটির সম্পাদক নারায়ণচন্দ্র নায়েক জানান, বিডিও মাধ্যমে ইতিমধ্যেই হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদকে পুনরায় রাস্তাটি সংস্কারের বিষয়ে আবেদন জানিয়েছি। তাই অবিলম্বে রাস্তাটি সংস্কারের বিষয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া না হলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হব আমরা।