লেখক বিশ্বজিৎ পোদ্দার স্কুল জীবন হতে তার প্রথম স্কুল নাকতলা হাইস্কুলের দেওয়াল পত্রিকার সাথে যুক্ত ছিল।প্রথম কবিতা ছিল 'পাগলী তোর জন্য '.বরাবর সাহিত্যচর্চা আগ্রহী বিশ্বজিৎ পোদ্দারের প্রিয় লেখক ছিলেন বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্য…
লেখক বিশ্বজিৎ পোদ্দার স্কুল জীবন হতে তার প্রথম স্কুল নাকতলা হাইস্কুলের দেওয়াল পত্রিকার সাথে যুক্ত ছিল।প্রথম কবিতা ছিল 'পাগলী তোর জন্য '.বরাবর সাহিত্যচর্চা আগ্রহী বিশ্বজিৎ পোদ্দারের প্রিয় লেখক ছিলেন বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ও জীবনানন্দ দাশ।এরপর আশুতোষ কলেজের ছাত্র রাজনীতির সূত্রে উনি লেখক নির্বেদ রায়ের সংস্পর্শে আসেন ও গান্ধীবাদী ধারায় আচ্ছন্ন হন।পরবর্তী কালে উচ্চশিক্ষা কল্পে দিল্লী যাত্রা করেন ও accurate business school হতে PGDM করেন।এরপর উনি বেঙ্কট কৃষ্ণনের গিভইন্ডিয়া তে সমাজসেবা মূলক কাজে যুক্ত হন।এই সময় তিনি পুণে তে বসবাস করেন ও সংঘ পরিবারের সান্নিধ্যে আসেন।পরবর্তী কালে কলকাতায় ইন্ডাসইন্ড ব্যাংকে ম্যানেজার হিসেবে কাজ করেন।কিন্তু সমাজসেবার চিন্তায় তিনি চাকরি ছেড়ে পুরোদস্তুর রাজনীতি ও সমাজসেবার আঙিনায় আসেন।আক্রান্ত হয়েছেন মানুষের স্বার্থে মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে কিন্তু লক্ষ্যে অবিচল।সাথে সাহিত্যচর্চায় মন লাগান।
হিন্দুত্ববাদের আস্থায় বিশ্বাস ও অখণ্ড ভারতের কল্পে আজও তিনি কলম ধরছেন ও ভারতের ইতিহাস কথা তুলে ধরে লেখকের মন জয় করছেন।
*********************************************
ছাবিলি
বিশ্বজিৎ পোদ্দার
চোখে ভাসে নববধূর রাজগৃহে পদার্পন,উৎসবে ঝাঁসী।
বাধ্য অভিযানে পেশোয়া-র ছাবিলি চলে যে নতুন বেশে,
লাজুক নয়নে তাম্বেকন্যা গঙ্গাধরের হস্তে নিবেদন নারীত্ব।
প্রদীপে আলোকিত দুর্গে পদচালনা,সজ্জিত রাজরমণী,
প্রাসাদ অন্তরে কুসুমকাননে,মধ্য ভারতে নয়া ইতিহাস।
ডালহৌসির কূটনীতি মাঝে,শিখরে ব্রিটিশের রাজত্ব,
স্বত্ববিলোপে বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ,মাতৃস্নেহে কোলে দামোদর।
ধারণে নয়,পালনে মাতা; রাজদরবারে মণিকর্ণিকা।
শোকে বহমান ঝাঁসী,গঙ্গাধর রাওয়ের মহাপ্রয়ান,
বিধবা বেশে রাজত্বে আসীন,দীর্ঘ লড়াইয়ে রাজরাণী।
ঝাঁসীর রাণীর নেতৃত্বে ঝাঁসী, অসম এক সংগ্রাম,
ব্রিটিশ হাতে লুন্ঠন নয়,রাজ আদেশে প্রজার স্বরাজ।
ফিরিঙ্গি আক্রমণ,কম্পিত প্রাচীর,সংকট মাঝে রাজ্য,
অবরুদ্ধ শহর, দামোদর পিঠে বীরাঙ্গনা নয়া যাত্রায়।
জ্বলন্ত দরবার,রক্তমাখা পথ,ব্রিটিশ করে সব ধ্বংস।
গোয়ালিয়রের প্রাঙ্গণে নানাসাহেব,রণসজ্জায় ছাবিলি,
ভ্রাতা তাঁতিয়া মহাসমরে,আজ শেষ যুদ্ধের তরে ।
শানিত তরবারি দেয় শহীদের ডাক,ইতিহাসে অমরতা,
দীর্ঘমেয়াদী রণে রক্তাক্ত,নির্গত অশ্রুসজল প্রাণবায়ু।
মারাঠা রক্ত ঋণশোধে লক্ষ্মীবাঈ,বিধাতা কাঁদে ফুলবাগে।
🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷
বর্ষা অভিসারে রাই
✍️ বিশ্বজিৎ পোদ্দার
=====================================
বেলী ফুলের পাঁপড়ি মাঝে শীতল শিহরণ,
আষাঢ় নৃত্যে ঠুমরি তালে বর্ষা বিচরণ।
জলধরের শঙ্খনাদে রাই চলে অভিসারে,
বাঁশীর সুরে রিনিঝিনি,লাজে রাঙা নূপুরে।
গোকুল আজ বড্ড মধুর,লুকোচুরি খেলা,
সখা সখী বিরহে পাগল; মাঝ যমুনায় ভেলা,
দূর নীলিমায় পদ্মপানে পূর্বরাগের দিশা,
হিয়ার মাঝে ঘরের বধূ,ভালোবাসার নেশা।
আমার কানাই বড্ড রঙীন ব্রজের রাখাল
বৃন্দাবনে রাই কিশোরী,কৃষ্ণ নামে মাতাল।
নদীর পাড়ে পদব্রজে আনমনা অক্ষি কাঁদে,
শীতল স্পর্শে বংশী রাগে মেঘে ঢাকা চাঁদে।
টাপুর টুপুর শব্দ মাঝে , রুনু ঝুনু স্বর খোঁজে,
প্রকৃতি আজ বাঁধনহারা, শ্যামলা হর্ষে সাজে।
লালচে আভায় ফুটছে বড় চিকন গালের রূপ,
মেঘমল্লার মন নিকেতন, জমে অভিমানের স্তূপ।
কুসুমকাননে দীঘির কোণে কালার প্রেমপ্রবাস,
কৃষ্ণ বক্ষে আলিঙ্গন,বারিধারায় সোঁদা সুবাস।
দূর আকাশে দেব উচ্ছ্বাস,ধরায় পুষ্পবৃষ্টি,
রাই কানাইয়ের কাহিনী মাঝে টাপুর টুপুর বৃষ্টি।
🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹
পুরোটাই নাটক
কলমে -- বিশ্বজিৎ পোদ্দার
লাইটের ঝলকানি,বহু হৃদয়ের সমাগম,
বাহু ডোরে আবদ্ধ পুত্র,চরিত্র অণুবীক্ষণ।
ডায়লগ মেশিনে পিতৃপ্রেমের দুরন্ত হাতছানি,
অশ্রু নিকেতনে দর্শক কুল।সাধু!সাধু!
হ্যাঁ,ঠিক এই স্ক্রিপ্ট আর বাকি সব যান্ত্রিক।
অভিনয় পট বদলায়,দুরন্ত গতিতে স্টেজ হতে বাস্তবে।
সেলফি আবদার সাথে কিছু কুশল বিনিময়,
সেডান এক লহমায় নন্দন হতে সাউথ সিটি,
অন্তরঙ্গ কবুতরে বন্দী বুদ্ধিবৃত্তি বিকারগ্রস্ত,
মৃত পরিচালক-লেখকের যৌথ শ্রাদ্ধের বাসরঘর।
প্রহসন খেলা চলে মস্তিষ্কের,ভাড়া খাটে যৌনতা।
পেয়ালায় কেউটের বিষ, মানবজীবন হয় পোস্টমর্টেম।
আকস্মিক মোবাইল ঘন্টি,সঙ্গমের লীলায় গোবেচারা।
রাত গভীর,নাম্বার সুইচ অফ;
দার্জিলিং টি তে কলকাতায় সকাল,নষ্ট রূপকথা;
বুদ্ধিতান্ত্রিকের শ্রেণীচিন্তার ফাঁকে একটু কালকের কল ব্যাক।
ওপারে অল্প কথা, চিন্তা চোখে হিসেব মেটানোর গল্প,
পায়রা কিন্তু মনে মনে খুশী,একটু মন খারাপের অভিনয়।
অভিনয় হবে আরো অভিনয় আজ রঙ্গমঞ্চ ভরে,
বৃদ্ধ পিতা শুধু একলা সঙ্গী বৃদ্ধাশ্রম হতে কবরের পথে।
🌻🌻🌻🌻🌻🌻🌻🌻🌻🌻🌻🌻🌻🌻🌻🌻
শিরোনাম -- অসাধারণ অথচ অসমাপ্ত
কলমে -- বিশ্বজিৎ পোদ্দার
শত সহস্র বছর দূরে অপেক্ষায় উজ্জ্বল নক্ষত্র,
হৃদয়ের ফল্গুধারার মাঝে আবহমান গুণের বৃষ্টি।
বেইজ্জত সময়ের মাঝে কেউ শত্রু কেউ বা মিত্র,
শ্রম , মেধা , তীক্ষ্ণতা মিশ্রিত অপূর্ব প্রতিভার সৃষ্টি।
ধৈর্যের কারাগারে স্বেচ্ছাতে বন্দী এক কিশোর,
কোনও দেবত্ব প্রাপ্তিতে মগ্ন অজানা যুদ্ধের সৈনিক।
লক্ষ শঙ্খ নিনাদে উল্লসিত অক্ষয় প্রাপ্তির কাঁসর,
অক্ষিগোলক জেদী,দূর রাজনৈতিক সমরের পথিক।
প্রতি পর্যবেক্ষণ পরাজিত শিল্পের বরাভয় মাঝে,
মস্তিষ্কের বুদ্ধিবৃত্তি ইন্দ্রজালের ন্যায় বিস্তৃত পারাবার।
রামধনু রঙে গগন প্রস্তুত,তার অভিষেকের সাঁঝে,
জিউসের আশীর্বাদ পৃথিবীতে,আকাশে নীরদের বিস্তার।
আজ সে গাইবে গান , লেখা হোক জ্যোতিষ্কের জন্ম,
দারিদ্র্যকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রতিনিয়ত, অভাবের বিরুদ্ধে জয়।
কর্ণকুহরে লক্ষ আশার প্রতিধ্বনি,ইচ্ছাধীন সে আজন্ম,
প্রতিকূলতার শোচনীয় পরাজয়,ভাগ্যের বুকে ধরে ভয়।
তারকা হঠাৎ ঢাকা বারিদে,শত জ্যোতি আটকে নীলিমায়,
দূরত্ব আর গতিবেগের অংকে হারিয়ে,মেঘে ঢাকা তারা।
ভগবানের প্রিয় পুত্র ভেসে যায় বিধির বিধানের সভায়,
গল্প অসাধারণ,কিন্তু অসমাপ্ত,মেঘের চক্রব্যূহে ধ্রুবতারা।
🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺
বিষয় - সাঁঝবাতির রূপকথারা
শিরোনাম- রূপকথার সমাপ্তি
কলমে- বিশ্বজিৎ পোদ্দার
সাঁঝবেলার মাহেন্দ্রক্ষণে রক্তিম নীলিমার বিস্তার,
চন্দ্রালোকের অভ্যর্থনার হেতু জাগ্রত মায়াসরণী।
প্রতিটি গৃহ কক্ষে অকাল দীপাবলির আলোকঝর্ণা,
তার মাঝে গল্প কথা অপরিণত,উধাও উপসংহার।
ক্ষীণপ্রাণ ক্ষণস্থায়ী প্রেমের মায়াবী আকর্ষণক্ষেত্র,
হয়তো কোনও সন্ধ্যা প্রদীপ নিঃশেষের করুণ কাহিনী,
লালিমা বিসর্জন বা মনুষ্যত্ব বলিদানের কবিতা,
সুখী প্রেমের বিকার গ্রস্ত লালসার নিকট আত্মসমর্পণ,
দারিদ্র্যতার চরম জোয়ারে সতীত্ব গঙ্গাপ্রাপ্তির উপন্যাস,
এই সকল রূপকথা নিভিয়ে জ্বলে বৌবাজারের সাঁঝবাতি।
সুদূর সীমান্ত হতে অভিনয়ের স্বপ্নে দেহ বলিদান,
গাত্রে গার্হস্থ্য নৃশংসতার পৈশাচিক প্রতিফলনের চিহ্ন,
প্রেমের যূপকাষ্ঠে এক বস্ত্রে ঘরছাড়ার নিদাঘের সমাপ্তি,
পরকীয়ার মায়া প্রলাপে কলকাতায় সংসারের হাতছানি,
হাজার রূপকথা জ্বলন্ত প্রদীপ শিখায় সায়াহ্নের কুহকে।
তত্ত্বকথার সিঁড়ি অতিক্রম করে বাস্তবের দোরগোড়ায়,
সমাজকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দর্শন দগ্ধ পুঞ্জীভূত সকল বাসনার,
খদ্দেরের উদ্দেশ্যে নিমন্ত্রণ জানায় বেলোয়ারি সাঁঝবাতি।
অবলুপ্ত কল্পনালোকে সকল স্বামী পুত্র পরিবারের পাঠ,
লোকসমাজে বারবনিতা,অদৃশ্য সাঁঝবাতির রূপকথারা।
🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷
#শিরোনাম_সোহাগী_তোর_সাথে
#কলমে_বিশ্বজিৎ_পোদ্দার
দুলকি চালে সোহাগী চলে মল্ল রাজার ভূমে,
মুই চলি বটে বিটির পিছে লাল ধুলায় চুমে,
চিকনাই ওই কোমর খানির চলন হৃদয় কাঁপে,
দিয়াছি তুরে পরাণ খানা দিলদরিয়ায় সঁপে ।
লাল মাটির ওই দ্যাশে যাবোক মারাংবুরুর থানে
বিলের ঠেকে হাঁড়িয়া খাবো,নাচবিক এই খানে।
ধামসা মাদল বাদ্যি বাজেক বাতাসে লুপুর ভাসে,
কাজল চোখে পরাণ হারায় এই লালমাটির শ্বাসে।
অজয় লদে সোহাগী তু ভিজাই দিলি চুল,
রাঙায়ে দিবোক তোর সিঁথা, করবোনি কো ভুল।
দিবোক তুরে লাল শাড়ি,দিবোক লাল ফিতে,
ঝুমুর তালে গাইবেক সব জোছনাভরা রাইতে।
বাগাল হব তুর বটে ,মিছাই কর সোহাগ,
শাল পিয়ালের ফাঁকে ভিজি ,লেগে পলাশ পরাগ।
সেগুন তলে লদীর পাড়ে বান পড়িল আজ,
লাল পাহাড়ীর রঙে রাঙা সোহাগী তোর সাজ।
বঁধু তুই কান্দিয়া বল সুখ দুখের কথা,
বাবুই যাবেক তুকে লিয়ে,দিবেক লাই ব্যথা।
তু মরবি হিথায় সাথে রাঙামাটির পথে,
ইক্কে বারে লিয়ে যাবোক কলকাতা ওই রথে।
🏵️🏵️🏵️🏵️🏵️🏵️🏵️🏵️🏵️🏵️🏵️🏵️🏵️🏵️🏵️🏵️
শিরোনাম -- বর্ষা অভিসারে রাই
✍️ বিশ্বজিৎ পোদ্দার
=====================================
বেলী ফুলের পাঁপড়ি মাঝে শীতল শিহরণ,
আষাঢ় নৃত্যে ঠুমরি তালে বর্ষা বিচরণ।
জলধরের শঙ্খনাদে রাই চলে অভিসারে,
বাঁশীর সুরে রিনিঝিনি,লাজে রাঙা নূপুরে।
গোকুল আজ বড্ড মধুর,লুকোচুরি খেলা,
সখা সখী বিরহে পাগল; মাঝ যমুনায় ভেলা,
দূর নীলিমায় পদ্মপানে পূর্বরাগের দিশা,
হিয়ার মাঝে ঘরের বধূ,ভালোবাসার নেশা।
আমার কানাই বড্ড রঙীন ব্রজের রাখাল
বৃন্দাবনে রাই কিশোরী,কৃষ্ণ নামে মাতাল।
নদীর পাড়ে পদব্রজে আনমনা অক্ষি কাঁদে,
শীতল স্পর্শে বংশী রাগে মেঘে ঢাকা চাঁদে।
টাপুর টুপুর শব্দ মাঝে , রুনু ঝুনু স্বর খোঁজে,
প্রকৃতি আজ বাঁধনহারা, শ্যামলা হর্ষে সাজে।
লালচে আভায় ফুটছে বড় চিকন গালের রূপ,
মেঘমল্লার মন নিকেতন, জমে অভিমানের স্তূপ।
কুসুমকাননে দীঘির কোণে কালার প্রেমপ্রবাস,
কৃষ্ণ বক্ষে আলিঙ্গন,বারিধারায় সোঁদা সুবাস।
দূর আকাশে দেব উচ্ছ্বাস,ধরায় পুষ্পবৃষ্টি,
রাই কানাইয়ের কাহিনী মাঝে টাপুর টুপুর বৃষ্টি।
🏵️🏵️🏵️🏵️🏵️🏵️🏵️🏵️🏵️🏵️🏵️🏵️🏵️🏵️
শিরোনাম- সেই বৈশাখের এক দুপুর
@ কলমে - বিশ্বজিৎ পোদ্দার
""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""'"""""""""
হস্টেল জীবনের স্মৃতি দেয় হাতছানি,
কিছুটা দেবনাগরী, কিছুটা স্মৃতিফলকে।
বন্ধ ঘরের উদ্দামতা ছটফটানি,
ঘামে তিনি সিক্ত,আদিমতার মোড়কে।
হেসেছিলাম তারাপীঠে যাব বলে,
ট্রেন থেকে নেমে দিলুম ঘরে ছুট।
ফোন মেতে ছিল তোমার মিষ্টি তালে,
তোমার লুডু খেলায় আমি সেদিন পুট।
ধাপে ধাপে ঘনিয়ে এল সময়,
হাসপাতালের আপ্রন দিলে ছেড়ে।
হবে দুটো চোখ আজ চোখময়,
বাস টা নিয়েছিলে ঠিক ধরে।
রৌদ্র আজ যেন আগুনপাখি,
মুকুন্দপুরে হাত দিয়েছিল সাক্ষী।
ফার্মাসিস্ট কে ইশারায় বলেছি বাকি,
লাজের মাথা খেয়ে তুমি সেদিন পক্ষী।
সেদিন তুমি ছিলে মোর রাধা,
সন্ধ্যা হবে আর কিছু পরে।
অসম বয়স ভুলেছিল সব বাধা,
স্মৃতি বেঁচে এক যুগ আজ ধরে
🌸🌸🌸🌸🌸🌸🌸🌸🌸🌸🌸🌸🌸🌸🌸
#শিরোনাম_অশরীরী_স্নেহ
#কলমে_বিশ্বজিৎ_পোদ্দার
*************
একটা বিকট শব্দে জোরালো ধাক্কা,
তিন্নির পৃথিবী হঠাৎ কেমন একা।
কেঁদে যদি সব আসতো ফিরে,ভালই হত।
দাদু দিদুনের আদরে বেশ হাসিখুশি,
খাওয়ার সময় মোবাইলে মা কে দেখে।
মা একবার,একবার তিন্নি,এই করে চলে বেশ।
বিশাল অট্টালিকাতে বড় একলা,মোবাইল বন্ধু,
ইউটিউবে চলে রঙের খেলা,বেজায় খুশি সে।
আর ভালো লাগে ফেসবুকে মা কে দেখতে,
বাপির ছবি এখনো ঠিক বোঝেনা মেয়েটা।
এতো ছোট,তবুও কত শান্ত দাদুর নাতনি,
রাত জাগে,তবু নেই কান্না,মোবাইলে ডুবে।
অনলাইনে গানে মা জেগে,তিন্নি তাই খুশি,
আনমনে কত কথা,দিদুনের পাশে একরত্তি।
নিঝুম বর্ষা রঙের খেলা নয়,আজ হবে অভিমান,
ঘুমিয়ে তিন্নি,ঝড়ের ধাক্কা,মেয়েটা চোখ খোলে।
জ্বলে ওঠে মোবাইল,দাদু দিদুন ঘুমায় গভীর ঘুমে,
মোবাইলের স্ক্রিনে উঠেছে মায়ের ছবি ভেসে।
ভালো থাকবি,কাঁদে মা-মেয়ে,পলকে হাওয়া ভার,
দাদু জেগে বলে সুইচ অফ যে মোবাইল,অন করবো কাল ।
🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺
#শিরোনাম_মহামায়ার_ভবিষ্যদ্বাণী
#কলমে_বিশ্বজিৎ_পোদ্দার
''""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""''""""""""""""""""""""""""""""""""""
ভীষণ অমানিশার মাঝে সুপ্ত স্বল্প আলোক জ্যোতি,
রাজ শক্তি অক্ষয় সাধনে যজ্ঞরত,তিলকে বিভূতি,
নিষ্পেষণ ঘোরতর, হাহাকারে ত্রস্ত গাঙ্গেয় মেদিনী,
ভীত কম্পিত প্রাণীর উৎসর্গ কৃত কালচে রজনী।
শঙ্কিত প্রজাকুল ,দুরাচার মুক্ত মুক্তাঙ্গনের প্রার্থনা,
কারাগারময় নিস্তব্ধতা অপরিসীম,উগ্রসেনের বেদনা,
প্রসবকালে শোকের মুহুর্ত,দেব সমীপে এক রাজছত্র,
আসুরিক শক্তির অবলোকনে,অট্টহাস্যে দ্রুমিল পুত্র,
গভীর নিদ্রামগ্ন রাজ নগরী, নীরবতায় রাজ শয়নকক্ষ,
আবির্ভাব জ্যোতিষ্কের,হাস্যরত সপ্তর্ষি অষ্টবসু যক্ষ,
প্রসবকালে আলোকিত,মাতৃত্ব বঞ্চিত,অচেতন দ্বাররক্ষী।
অকাল শান্তি প্রতি দ্বারপ্রান্তে,চেতনা হীন রাজরক্ষী,
কলঙ্কিত নগরী হতে বহু দূরে মাতৃক্রোড়ে প্রেরিত নন্দন ,
শির উচ্চে নাগছত্র,অভিশপ্ত ধরার বক্ষে শিশুর বন্দন,
বর্ষার মাদল গগনে,সহস্র পুণ্যলগ্ন নমনে উচ্ছ্বাসে যমুনা,
প্রশান্তি নিলয়ে সময়ের মহাপ্রস্থান,হতভাগ্য বৃথা কামনা।
ক্রন্দনে জাগ্রত কংস,হত্যার তরে জাগ্রত মহামায়া,
গোকুলে পাখির সুর কলতান,মথুরাতে শোকের ছায়া,
'তোমারে বধিবে যে,গোকুলে বাড়িছে সে',গর্জে দৈববাণী।
ধন্য দেবকী, ধন্য বসুদেব,অত্যাচারী নিধনে ভবিষ্যদ্বাণী।