রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় কোভিভ পরিস্থিতি রুখতে আদা জল খেয়ে মাঠে নামলেও কেন্দ্রীয় সরকারের জনবিরোধী কার্য কলাপ সেই কাজে জল ঢেলে দিচ্ছেন অনবরত।মুখ্যমন্ত্রী চাইছেন,সকলকেই ভ্যাকসিন দিয়ে এই মারন রোগ থেকে রক্ষা করতে।কিন্তু…
![]() |
তরুণ চট্টোপাধ্যায় |
মুখ্যমন্ত্রী চাইছেন,সকলকেই ভ্যাকসিন দিয়ে এই মারন রোগ থেকে রক্ষা করতে।কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার সেই ভ্যাকসিনের যোগান দিতে টালবাহানা করছেন।
কোভিশিল্ড যদিও কম হলেও পাওয়া যাচ্ছে ।কিন্তু যারা কোভ্যাকসিন নিয়েছেন তাঁরা এখন চরম আশঙ্কার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন ।প্রথম ডোজ নেওয়ার পরে দ্বিতীয় ডোজের সময় পেরিয়ে গেলেও কিন্তু কো ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ অমিল।ফলে একটি নিয়ে পরের টির জন্য অধীর আগ্রহে মানুষ।
মন্ত্রী ও কলকাতা পুরসভার দায়িত্বপ্রাপ্ত ফিরদাস হাকিম জানান,কেন্দ্রীয় সরকার কে বার বার তাগাদা দেওয়া সত্বেও কো ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ আসছে না।যে টুকু মজুত আছে তা দিয়ে ই চলছে।তিনি জানান আজ সোমবার কিছু কো ভ্যাকসিন আসার কথা আছে।
অন্যান্য রাজ্যের বরাতে ভ্যাকসিনের যোগান থাকলেও পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে তা সত্যিই অপ্রতুল।ফলে ভ্যাকসিন নিয়ে রাজ্য সরকার কে বার বার প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে।
হাওড়া স্টেশনের ছবি দেখলেই বোঝা যায় এই রাজ্যের হাল হকিকত।বিভিন্ন প্রদেশ থেকে মানুষ হাওড়া স্টেশনে নেমে রাজ্যের বিভিন্ন স্হানে চলে যাচ্ছেন বিনা বাধায় ।রেলের জিআর পি দের মধ্যে কোন হেলদোল নেই।অথচ অন্য রাজ্যের ক্ষেত্রে রেল কোভিড বিধি মানলেও হাওড়া ও শিয়ালদহ স্টেশনে তার ছিটে ফোঁটাও চোখে পড়ছে না।
রবিবার সকালে হাওড়া স্টেশনে সরেজমিনে তদন্ত করতে গিয়ে যে ছবি চোখে এলো তা সত্যিই আশঙ্কাজনক ।
লোকাল ট্রেনের টিকিট দেওয়া হচ্ছে না।ফলে লোকাল যাত্রীরা বিপাকে।সকলেই ছুটছেন দূরপাল্লার বাসের দিকে।ফলে বাস গুলিতে বাদুড় ঝোলা ভিড়।
রেল কর্মী রা নিজেদের জন্য কোভিড বিধি মানলেও যাত্রী দের ক্ষেত্রে তা একেবারেই ঢিলেঢালা ।
সাবওয়ের চত্বর জুড়ে হকারদের কারো মুখে মাস্ক চোখে পড়েনি।মাস্কহীন ভাবে বিকিকিনি চলছে অবাধেই।আর পি এফের পক্ষ থেকেও কোন রকম ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগ ও চোখে পড়েনি।
স্টেশনে ঢোকার সময় থার্মল চেকিং পর্যন্ত চোখে পড়লো না।নেগেটিভ বা ডবল ডোজ তো দূর অস্ত ।অথচ পাশের রাজ্য উড়িষ্যার ভুবনেশ্বর স্টেশনে প্রশংসা পত্র ছাড়া মাছি মশাও ঢুকতে পারছে না।কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে রেল দপ্তর।সেই রেল স্টেশনে এক এক রাজ্যের এক এক নিয়ম।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় নবান্ন থেকে কোভিড বিধি মানবার জন্য যে সমস্ত নির্দশ দিয়ে ছেন, তা হাওড়া ও শিয়ালদহ স্টেশনে মানা হলে কোভিড আগেই আটকানো যেতো।
তবে রাজ্যের পুলিশ ও বিভিন্ন ক্ষেত্রে কড়া পদক্ষেপ নিতে সমর্থ হয়নি।রাস্তা ঘাটে মাস্কহীন ভাবে ঘোরাফেরার ছবি দেখা যাচ্ছে অনবরত।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় বার বার আবেদন করছেন, মাস্ক পড়ুন ও কোভিড বিধি মেনে পথ চলুন।
রাত নটার পর কার্ফ থাকলেও কারনে অকারনে মানুষ ঘুরছেন পথে ঘাটে।প্রাইভেট গাড়ি ও অটো ট্রাক্সীও চলছে দেদার।
মমতা বন্দোপাধ্যায় চাইছেন, রাজ্য জুড়ে সমস্ত বিধি নিষেধ যেন পালন করা হয়।কিন্তু এক শ্রেনীর মানুষের জন্য তা বার বার ধাক্কা খাচ্ছে ।
আর হাওড়া বা শিয়ালদহ স্টেশন থেকে যদিও যাত্রী দের ট্রেনে চড়া নিয়ে কিছু বিধি নিষেধ আরোপ হচ্ছে ।কিন্তু বাকি স্টেশনের ছবি খুল্লামখুল্লা ।
মমতা বন্দোপাধ্যায়ের ক্যারিশমা এই রাজ্য থেকে কোভিড নির্মূল করার জন্য মাঠে নামছেন।কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের নানা কাজকর্ম তে সে ছবি চোখে পড়ছে না।