তারিখ – ২০/৮/২১
অনুভব করছি তোমায়ডঃ সুজাতা ঘোষ
আর একবার কি মিলতে পারি না আমরা?তাকিয়ে দেখ, ঐ যে বৃষ্টির ছাঁট আসছে না!আরে, আরে আমার মুখ ভিজে জল বেয়ে নামছে নীচে।কত স্বচ্ছ ওরা, ওর শরীরের ভিতর দিয়েও দেখা যায় দূর – বহুদূর,তারের উপর দিয়ে…
তারিখ – ২০/৮/২১
অনুভব করছি তোমায়
ডঃ সুজাতা ঘোষ
আর একবার কি মিলতে পারি না আমরা?
তাকিয়ে দেখ, ঐ যে বৃষ্টির ছাঁট আসছে না!
আরে, আরে আমার মুখ ভিজে জল বেয়ে নামছে নীচে।
কত স্বচ্ছ ওরা, ওর শরীরের ভিতর দিয়েও দেখা যায় দূর – বহুদূর,
তারের উপর দিয়ে জলগুলো এগিয়ে আসছে একে অপরের কাছে।
পাঁচিলের ওপারের গাছগুলো আহ্লাদে ঢলে পড়ছে কেমন দেখ,
ওদের যদি বল, বড্ড গায়ে পড়া, আমি কিন্তু রুখে দাঁড়াব।
ওরা প্রেমে মশগুল, তাই তো নাচছে, উঠছে, পড়ছে
হাওয়ার তালে তালে।
অনেক দূরের ঝাপসা হয়ে আসা শালিক দুটিও
ঠোঁট ঘষে দিল ঘাড়ে, ঘাড়ে।
ল্যাপটপটা বন্ধ করো না গো,
দেখ একবার, দূরের মাটির উপর জলতরঙ্গ নাচছে
ওরা ছোট ছোট ঢেউ বানাবে, জানো!
মন্দিরের ছাউনির নীচে ওরা, ওরাও কত কাছাকাছি।
আমরা কি পারি না, আর একবার একটু কাছে আসতে?
জঙ্গলেও বছরে একদিন নিয়ম ভেঙ্গে সঙ্গী খোঁজা হয়।
ঐ মানুষগুলো কি আমাদের থেকেও বেশী সুখী!
আমরাও তো একদিন হাত ধরে হেঁটেছিলাম, ভুলে গেছ?
আকাশে উন্মাদনা ছড়িয়ে পড়ছে,
তাকিয়ে দেখ, জানলার কাঁচ ভেদ করে আলো
মেঝেতে রেখা টেনে যাচ্ছে উল্লাসে।
আমি থরথর কাঁপছি আশায়
একবার আমার হাত ধরে নিয়ে যাবে ওখানে?
ভূমি আর আকাশ এক হয়ে মিলে মিসে গেছে আনন্দে।
বৃষ্টির জল নেমে আসছে বাতাস ভেঙ্গে, গুরগুর শব্দ তুলে।
গন্ধরাজের মাতাল ঘন সবুজ
আছাড় খাচ্ছে আমার বন্ধ জানলার কাঁচে।
আমি ছুটে গেলাম ওর কাছে,
কাঁচের এপার থেকে ছুঁয়ে দিলাম ওর আনন্দকে।
ও হাসছে আর আছাড় খাচ্ছে, জোরে আরও জোরে।
আমি মিলেমিশে যাচ্ছি ওর সাথে ........................।
বৃষ্টি ঝরছে আমার শরীরে দারুন উল্লাসে।
রামধনু রঙ ছড়িয়ে পড়ছে মাটিতে,
আমি অনুভব করছি তোমায়, দুচোখ বন্ধ করে ।।
০ --------------------------- ০