সৃষ্টি সাহিত্য যাপনঅসৎ অসতী (কবিতা )
গার্হস্থ্যের খাঁচায় ছিলে বন্দী।কি যত্নেই না সাজিয়ে রেখেছিলে তোমার খেলাঘর।শুচিতায় টইটম্বুর ছিল তোমার একগামী দেহটা।চারপাশ থেকে ভেসে আসা করতালি, তার মাঝে কতো বিশ্বাস, প্রতিদানে কতো অবিশ্বাসকতো আত…
সৃষ্টি সাহিত্য যাপন
অসৎ অসতী
(কবিতা )
গার্হস্থ্যের খাঁচায় ছিলে বন্দী।
কি যত্নেই না সাজিয়ে রেখেছিলে তোমার খেলাঘর।
শুচিতায় টইটম্বুর ছিল তোমার একগামী দেহটা।
চারপাশ থেকে ভেসে আসা করতালি,
তার মাঝে কতো বিশ্বাস, প্রতিদানে কতো অবিশ্বাস
কতো আত্মসন্তুষ্টির মৌতাত।
তারপর হঠাৎ এক বসন্তের সকালে
আমার যৌবনের উপবন থেকে উড়ে আসা
এক চঞ্চল বুলবুল শিষ্ দিয়ে ঝড় তুললো
তোমার সাজানো বাগানে।
তোমার সযত্ন- লালিত টবে ফোটা ফুল গুলো
একে একে ভুল হয়ে ঝরে পড়তে লাগলো।
জানালার শার্সি ভেঙ্গে ঢুকে পড়লো
এক দুরন্ত উন্মাদ হাওয়া।
এতো কালের পোক্ত খাঁচাটায়
চিড় ধরলো এক নিমেষে।
তখন তোমার অভ্যাসের চিরস্থায়ী বন্দোবস্তেরা
গেয়েছিল তাদের চেনা সুরের গান,
অথচ মন বলেছিল অন্য কথা।
সে যেন পেলো এক আকাশ মুক্তি।
তোমার মন তখন আরেক মনের টানে
হাতে হাত রেখে হাঁটতে থাকে
গ্রহান্তরের ছায়াসরনি বেয়ে।
দেহ তো এক মন্দির।
সে মন্দির কখনো হয়না কলুষিত।
সতীত্বের মোড়কে বাঁধা একগামী দেহটা
দিব্যি মানিয়েছিল তোমায়।
দ্বিচারিণী মনটাই শুধু আজ
অসতীর তকমা ধারণ করলো নির্দ্বিধায়।
বেশ তো, অসতীই না হয় হলে।
অসৎ তো হওনি।
প্রেমের দেবতার কাছে আমাদের মাথা হয়নি হেঁট।
অভিধান খুললেই দগদগে ঘায়ের মতো
চোখে পড়ে ঐ বিশ্রী অসতী শব্দটা।
চলো এলা, প্রেমের বর্ণাঢ্য আকাশে উড়তে উড়তে
অভিধান থেকে ছিঁড়ে ফেলি ঐ পাতাটাকে।