#সৃষ্টি_সাহিত্য_যাপন #লক্ষ্মী_ভান্ডার।#কলমে_তনুশ্রী_পাল ।#তারিখ_৩_৯_২০২১
হা ভাল্ লক্ষ্মী ভান্ডার করাতে গেছলাম্ গঁভাবেছিলাম রাত ট থাকতে লাইন দিয়েআগুতে কইরে লুব্য।হা পোড়া কপাল ইস্কুল ট তে গিয়ে দ্যাখি হামার আগুতেই বহুত লোকলাইন দিয…
#সৃষ্টি_সাহিত্য_যাপন
#লক্ষ্মী_ভান্ডার।
#কলমে_তনুশ্রী_পাল ।
#তারিখ_৩_৯_২০২১
হা ভাল্ লক্ষ্মী ভান্ডার করাতে গেছলাম্ গঁ
ভাবেছিলাম রাত ট থাকতে লাইন দিয়ে
আগুতে কইরে লুব্য।
হা পোড়া কপাল ইস্কুল ট তে গিয়ে দ্যাখি
হামার আগুতেই বহুত লোক
লাইন দিয়ে দ্যাঁড়াই আঁছে।
দ্যাঁড়াই আঁছি ট দ্যাঁড়াই আঁছি,
ইস্কুল টা খুলবার নাম ট করে লাই।
ভোর ট কেটে সক্যাল হইল্।
রোদে গতরটা পুইড়ে যাইচ্ছে -এএএএএ
ইমন্ ঘাম ট দিইচ্ছে চোঁখে , মুখে
ঢুকে যাইচ্ছে।
তাও খুলবার নাম ট করে লাই।
রোদের জ্বালায় ছায়া ট তে সবাই
গাদাগাদি হঁয়ে দ্যাঁড়ালম্।
ইমন সময় ইস্কুলের কপাট ট
খুইলে দ্যিলেক্।
হামরা লাইন ট দ্যিবার ল্যাগে
হুড়মুড়াই ঢুকতে গ্যালম্।
ঢুকতে গিয়ে সবাই মুখ
থুবড়ি খ্যাইয়ে কাছাড় খ্যালম্ গঁ।
ইয়ার গাঁয়ে উঁ উঁয়ার গাঁয়ে উঁ,
কে কাকে তুলবেক??
লিজেরাই ট উটতে লারছি।
ফুলিস গুলান হামাদিকে তুলবার
ল্যাগে এলেক,
আইসে লিজেরাই কাছাড় খ্যালেক্।
হামাদের হার ফুলিসদের গাঁয়ে
পা দিয়ে সবাই চইলে গ্যালেক গঁ।
হামরা কিছুতেই উটতে লারছি।
হ শেষ ট তে ভিড় কাটলেক।
হামাদের হনেক মিয়া গুলান কে
হাসপাতলে ঢুকালেক।
ফুলিস দেরও দমে ল্যাগেছে।
হামার গতরটা ছিচা গ্যালেক।
হামি দাঁড়াইতে গিয়ে ঢপ কইরে
হারো কাছাড় খ্যালম্।
ইবাবা হামার ঠ্যাং ট গদার মত
ফুইলে গ্যাছে।
হাঁটুটা ডুমুর ফুলের ফুলের ময়ত ফুইলে গ্যাছে।
মালাই চাঁকি ট মনে হয় ফুইটে গ্যাছে।
ল্যাংচাতে ল্যাংচাতে লাইন ট দিয়ে
চ্যায়ার ,ট্যাবিল লিয়ে বইসে থাকা
লোক গুলান কাছে গ্যালম্।
লোক গুলান বললেক কি কি
এনেছু দ্যা,
হামি সব কাগজ গুলান্ দুলুম্।
লোক গুলান কাগজ গুলান্ দ্যাখে
বললেক- তোর বাপের মরণ সার্টিফিকিট টা কই?
হামি বল্লম -বাপের মরণ সার্টিফিকিট! কুথ থ্যাকে পাব!
বাপ ট কইবে পটল তুইলেছে।
বাপ ট মদ মাইরে মাঠে মইরে পইরে ছিল।
তুলে আনে পুড়াই দিয়েছি।
উয়ার আবার সার্টিফিকিট
কুথ থ্যাকে পাব! তুরা বেশ বলছু।
লোক গুলান বললেক - যা ঘর যা
সার্টিফিকিট না আনলে হবেক লাই "লক্ষ্মী ভান্ডার"।
বড়লোকদের মিয়া গুলান হামাদের সাথে লাইন
দিয়ে ছিলেক,
উয়াদের "লক্ষ্মী ভান্ডার" হইয়ে গ্যালেক।
বলে লাই টাকার কাছে টাকা যায়।
হামার "লক্ষ্মী ভান্ডার" হলেক লাই।
হামার ঠ্যাংট দমে বাজছে চলতে লারছি।
কুনমতে ল্যাংচাতে ল্যাংচাতে ঘরটা এলম।
হামার মরদটা হামাকে বললেক -এ্য ভুলানি
তুর কি হলেক?ল্যাংচাছু ক্যানে?
হামি বল্লম বড্ড ঠ্যাংটা বাজছে।
তুই একবার বাবু ঘর গুলান গিয়ে
বইলে দ্যা, হামি আজ কাজে যেইতে লারব।
সন্ধ্যা না হইতে না হইতে ঠ্যাং বাজাটা দমে
ব্যাড়ে গ্যালেক।
হামার মরদটা ডাক্তার ঘর লিয়ে গ্যালাক।
ডাক্তার ট দ্যাখে হামার মরদটাকে বললেক-
তুমহার মিয়াটার ঠ্যাংটা চিড় খ্যাঁয়েছে,
ইক্সরি করাতে হবে ।
হামি ডাক্তার ট কে বল্লাম্
হে ডাক্তারবাবু কি বলছু,কুথ থ্যাকে টাকা ট পাবো
ইক্সরি করাতে?
ডাক্তার বললেক দ্যাখ জুগার ট কর।
চুখের জল মুছতে মুছতে ঘরট তে এলম্।
ঘর ট ঢুকতে না ঢুকতে বাবু ঘরগুলান থেইকে
ফোন আইসতে শুরু করলেক।
সব ঘটনা খুইলে বল্লম বাবু ঘরের মিয়া গূলান কে।
মিয়া গুলান বললেক-তুর ঠ্যাং ফুটেছে,
তুই তাহলে একটা কাজের মিয়া জুগার করে দ্যা।
তুই কবে ঠিক হবে আমরা কি বইসে থাইকব্।
আর শুন, তুই ট পূজার কাজ করতে লারবি
যে কাজ করবেক , তাকেই পূজার টাকা ট দুব।
তুই যাকে ঢুকাবি তার সাথে বুঝে লিবি।
হামার মরদ ট বললেক,এ্য ভুলানি
তুই রিস্ট ট লে,তুকে কুছু করতে হবেক লাই।
হামি দাঁত খিচিয়ে বললম,
হা মরণ! তুই ট রিক্সা চালিয়ে যা রোজগার করুস,
মদ মাইরে ট চলে আসুস,
বইলি মাম্মাম্ টা চলবেক কি করে?
ইক্সরি করাতে কুথ থেইকে টাকা ট পাব, না বাপের
মরণ সার্টিফিকিট জুগার কইরতে বাপের ঘরটতে যাইব, না প্যাটের জুগার কইরব?
ফুটা ঠ্যাং লিয়ে কি যে কুরব ক্যা জানি!
হে মা লক্ষ্মী তুর ট ভান্ডার হামার হইল লাই,
ঘরে যা লক্ষ্মী ছিল ঠ্যাং এর ল্যাগে সব ব্যাড়াই গ্যাল।
বাবু ঘরের কাজগুলান গ্যাল।
বাপের মরণ সার্টিফিকিট জুগার কইরে
আরেকদিন লাইন দিতে যেতে হবেক।
যদি সার্টিফিকিট জুগাড় করতে না পারি,
হে মা লক্ষ্মী ! তাহলে হামার কি হবেক?