Page Nav

HIDE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

সৃষ্টি-সাহিত্য-যাপন-দৈনিক-সেরা-লেখনী-সম্মাননা

#এই_তো_জীবন#ছোট_গল্প #জয়ন্ত_অধিকারি    
সময় সকাল সাড়ে দশটা। মধ্য কলকাতার একটি ব্যস্ত অফিস, ভেতরে সবাই কাজ করছে এক মনে। ফাইলের আদান প্রদান, ফোনে কথা বলার আওয়াজ, কম্পিউটারের কিবোর্ডের খটখট শব্দ, দূর থেকে প্রিন্টারের আওয়াজ, লোকজনের প…

 


#এই_তো_জীবন

#ছোট_গল্প 

#জয়ন্ত_অধিকারি    


সময় সকাল সাড়ে দশটা। মধ্য কলকাতার একটি ব্যস্ত অফিস, ভেতরে সবাই কাজ করছে এক মনে। ফাইলের আদান প্রদান, ফোনে কথা বলার আওয়াজ, কম্পিউটারের কিবোর্ডের খটখট শব্দ, দূর থেকে প্রিন্টারের আওয়াজ, লোকজনের পায়ের আওয়াজ ভেসে আসছে চারদিক থেকে। মাঝে মাঝে কয়েকজনের হাসাহাসির আওয়াজ ও আসছে ভেসে। কেউ কেউ বার বার চেয়ার ছেড়ে উঠে চলে যাচ্ছে, কেউ বা বসে আছে নিজের চেয়ারে মুখ গুঁজে , চোখ রয়েছে সামনের দিকে, কম্পিউটার স্ক্রিনের ওপরে। নটা থেকে এক নাগাড়ে কাজ করে অরুন অবশেষে চোখমুখ তুলে তাকায় ওপরের দিকে। ঘাড় ঘুরিয়ে দেখে নেয় চারদিকে। কফির মেশিনটা খুব করে টানতে শুরু করে ওকে। অফিসের কাজ বাড়িতে গিয়ে শেষ করে সেটা বসকে রাতেই মেল করে তারপর দেড়টার দিকে ঘুমোতে গিয়েছিল ও। 


বিছানায় উঠতেই তৃণা ওর কাছে এসে জিজ্ঞেস করেছিল, "শোনো না। ওই দোকানের সেই নেকলেসটা, মনে আছে তো ? কবে দিচ্ছ আমাকে ? "

"তুমি ঘুমোও নি ? " অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করেছিল ও। 


"তোমাকে ছেড়ে কি করে ঘুমোই বলো তো ! সে সব ছেড়ে আমাকে বলো না ! ওই নেকলেসটা...ওটা দেবে তো ? "


খুব ধীরে ধীরে অন্ধকারের মধ্যে বলে ওঠে অরুন, "দেব। চেষ্টা করব। "


তৃণা রেগে অন্যদিকে ঘুরে বলে, "থাক ! আর চেষ্টা করে লাভ নেই। তোমার কাছে কিছু আশা করাটাই বৃথা। " প্রচন্ড ক্লান্ত ছিল অরুন, তৃনা কে আর কিছু না বলে দু চোখের পাতা এক করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু তৃনার কথাগুলো কাঁটার মত বিঁধছিল তখন বুকের ভেতরে, সারা শরীরে। তৃনা তো সব জানে আমাদের অবস্থা, আমার লড়াইটাও ও দেখছে। তার পরেও এই রকম ছেলেমানুষী জেদ ? সারারাত ধরে ওই সব ভাবতে ভাবতে শেষ রাতে ঘুমিয়ে পড়েছিল ও। আর তারপর আবার সাড়ে ছটার সময় উঠে অফিসের জন্য প্রস্তুতি। 


একে তো রাতে ভাল করে ঘুম হয় নি, আর আবার সকালেই নটার মধ্যে অফিস। 


ধীরে ধীরে উঠে দাঁড়ায় ও চেয়ার ছেড়ে। ওকে উঠে দাঁড়াতে দেখে পাশের ডেস্কের রিমলি জিজ্ঞেস করে, "অরুনদা ! কফি খেতে চললে ? "


"হ্যাঁ রে। "


"দাঁড়াও, আমিও আসছি। " 


কফি মেশিনের সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে রিমলির কাপটা নিয়ে সেটা ক্যাপুচিনো তে ভর্তি করে বাড়িয়ে দেয় ওর দিকে। নিজের কাপটা রাখে ও মেশিনের সামনের দিকে বেরিয়ে আসা একটা নলের সামনে। ব্ল্যাক কফির বোতামটা টিপতে যাবে, আর তখনই পেছন থেকে একজন এসে ওর কাঁধে টোকা দিয়ে বলে, "এই যে অরুন। কফি পরে খাবে। বস ডেকেছে। "


বস ডাকলেই অরুন একটু ভয় পায়। না জানি আজ আবার কি হবে। বসের রুমে ঢুকে ও দাঁড়ায় একটা চেয়ারের পেছনে। বস ওর দিকে তাকিয়ে চেঁচিয়ে ওঠেন, "কি মাইতি? আমার কাজটা কখন হবে ? কালকের অর্ডারের ডিটেল গুলো ? আর কতবার বলতে হবে ? অফিসে কি ঘুমোতে আর ফেসবুক করতে আসেন ? না গল্প করতে আর ফ্রিতে কফি খেতে আসেন ? এই সবের মাঝে একটু কাজ ও করুন। "


অরুন আমতা আমতা করে বলে ওঠে, "স্যার, কাল রাতেই তো আপনাকে মেল করে দিয়েছি। "


"মেল ? কিসের মেল ? আমার প্রিন্ট আউট চাই। সেটা কোথায় ? ওগুলোকে ফাইল করতে হবে আর তার আগে চেক করতে হবে সবকিছু ভাল করে। আপনাদের নিয়ে না কিচ্ছু হবে না। মেল ! কোনও কাজের না আপনারা। সবকটা ওয়র্থলেস। কাদের সাথে যে আমাকে কাজ করতে..." বলতে বলতে বস তাকান অরুনের দিকে। 


অরুন তখন বুকের বাঁ দিকটা চেপে ধরেছে। ওর মুখ চোখ বিকৃত হয়ে যাচ্ছে। হাত দিয়ে চেয়ারটা ধরতে যায়, কিন্তু তার আগেই ও পড়ে যায় মেঝেতে। বসের কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম জমে ওঠে। উনিও চেঁচিয়ে ওঠেন, "অরুন ! অরুন ? " বাইরে থেকে সবাই দৌড়ে আসে। 


আর ও কিছুটা সময় কেটে যায়। অরুনের বাড়ি থেকে তৃনা ও চলে এসেছে , ওর স্ত্রী। পাশের একটা বেসরকারি নার্সিং হোম থেকে ডক্টর মিত্র এসে পরীক্ষা করেন অরুন কে। দুদিকে মাথা নাড়ান। বস জিজ্ঞেস করেন, "ডক্টর মিত্র, অরুন কি তাহলে...মারা গেল? হার্ট অ্যাটাকে? " 


"হ্যাঁ। আমি দুঃখিত যে...তবে আমার কিছু করার ছিল না। আমি আসার আগেই উনি..."


তৃনার দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করেন ডক্টর, "ম্যাডাম, ওনার কি হার্ট এর কোনও সমস্যা ছিল ?" 


"না না ! ও তো সম্পূর্ণ সুস্থ ছিল। কাল রাতেও তো অফিসের কাজ শেষে ঘুমিয়ে পড়ল। আমরা তো এমনিতেই বাইরে ঘোরাঘুরি করি। সিনেমা দেখি। আর মানুষটা খুব ভাল ছিল। বুঝতে পারছি না। কিন্তু...কিন্তু ও আমাকে এভাবে ছেড়ে চলে গেল ? আমি কিভাবে থাকব ওকে ছাড়া ? " ডুকরে কেঁদে ওঠে তৃনা।  


বস তৃনার দিকে তাকিয়ে বলেন, "দাঁড়াও, দাঁড়াও। শান্ত হও তৃনা। এটা কান্নায় ভেঙে পড়ার সময় নয়। নিজেকে শক্ত করো। সবাই চল কনফারেন্স রুমে। ডক্টর মিত্র কে ওনার কাজ করতে দাও। " 


কনফারেন্স রুমে ঢোকার পরে সবাই বসার পরে বস মাথা নিচু করে সবার সামনে দাঁড়িয়ে বলে ওঠেন, "কি বলব ! আমি একদম বুঝতে পারছি না...আমাদের একজন ভীষণ ভাল এমপ্লয়ীকে এভাবে অফিসের মধ্যে হারাতে হবে ! কখনও ভাবিনি। কত সম্ভাবনা ছিল অরুনের মধ্যে। সবসময় সবরকম পরিস্থিতে কিভাবে মাথা ঠান্ডা রেখে কাজ করতে হয়, ওর কাছ থেকে শেখা উচিত। আমি তো ভেবেছিলাম, এই সেন্টারের হেড বানিয়ে দেব ওকে এবারেই। ওর হাতে সব দায়িত্ব দিয়ে, আমি আমাদের মুম্বাই অফিসটা শুরু করতাম। কিন্তু...(দীর্ঘশ্বাসের সাথে) সেটা আর হল না। ছেলেটা এত ভালো ছিল, কত মন দিয়ে কাজ করত। আর সব কাজ একদম সঠিক। ওর পাঠানো কোনো ফাইল, কোনও মেল আমাকে দেখতে হত না - এতটাই নিখুঁত ছিল অরুনের কাজ। "  


রূপসা বলে ওঠে, "ঠিক বলেছেন স্যার। একজন প্রকৃত জেন্টলম্যান বলতে যা বোঝায় অরুন ছিল তাই। মেয়েদের কি সম্মান করত, আর ক্লায়েন্টদের তো এত সুন্দর ভাবে ম্যানেজ করত যে - সেটা তো আমরা সবাই জানি। এইতো...সেদিন আমি প্রেজেন্টেশনটা তৈরী করতে পারছিলাম না, বুঝতে পারছিলাম না ঠিক কিভাবে শুরু করব। অরুন কে ডাকলাম। ও আমাকে শুধু বুঝিয়েই দিল না, পুরোটা নিজের থেকে তৈরী করে দিল। ওই প্রেজেন্টেশনেই তো আমরা নতুন চল্লিশ লাখের অর্ডারটা পেলাম। " 


পাশ থেকে দিলীপ বলে, "আহারে, আমার তো ছেলেটার জন্য খুব কষ্ট হচ্ছে। আমরা রোজ একসাথে একই বাসে করে আসতাম আর ফেরার সময় মেট্রোতে। ও ঠিক যেন আমার ছেলের মত ছিল। তৃনা মা , তোমার কোনও অসুবিধে হলে বোলো। আমি আছি সবসময় তোমাদের পাশে।"  

হিউম্যান রিসোর্সের বঙ্কিম উঠে দাঁড়িয়ে বলে, "এখনও আমার মনে পড়ে যেদিন প্রথম ও জয়েন করেছিল। ওর চোখ - মুখের ভাষাই বলে দিচ্ছিল যে এ লম্বা রেসের ঘোড়া। আর কি প্রচন্ড বুদ্ধিমান। ও যদিও ছিল মার্কেটিং এ , কিন্তু আমার হিউম্যান রিসোর্সের প্ল্যানিং, ফোরকাস্টিং কতবার করে দিয়েছে। মিসেস অরুন - এবার আপনিও কিছু বলুন। ওকে আপনি আমাদের থেকেও ভাল চিনতেন, আরও অনেক কাছের থেকে। যদিও আমি জানি আপনি এখন সেই অবস্থায় নেই। তবুও..."  


তৃনা (চোখ মুছে, ধরা গলায়) বলে ওঠে কাঁদতে কাঁদতে, "আমার সত্যি কিছু বলার নেই। আমি শুধু এইটুকু চাই - অরুন, তুমি যেখানেই থাকো, মনে রেখো। আমি তোমার জন্য অপেক্ষা করে আছি আর থাকবো - সারাজীবন। " আর কোনও কথা বলতে পারে না তৃনা।  


কেটে গেল কয়েক সপ্তাহ - 


কনফারেন্স রুমে কয়েকজন বসে আছে একসাথে। গল্প করছে, আড্ডা দিচ্ছে। নানান কথার মাঝে হঠাৎ অরুনের কথা উঠে আসে। বস বলেন, "ওফঃ ! অরুনটা গেছে ভাল হয়েছে। একটা কোনও কাজ করত না। সারাক্ষন শুধু ফেসবুক,না হলে অফিসে এসে গুলতানি মারা। মরে আপদ বিদায় হয়েছে। সেন্টার হেড ? আর অরুন ? যত্তসব ! এম বি এ করে এসেছে ! তো কি হয়েছে ? মাথা কিনে নিয়েছে ? যদিও ও সত্যি পারত সবকিছু ভালভাবে সামলাতে " 


চুপ করে যান বস, ভাবতে শুরু করেন উনি - কিন্তু আমি তো রূপসা'কে বলেই রেখেছিলাম আগে থেকে সব কিছু। সবাই বেরিয়ে যাওয়ার পরে রূপসা প্রতিদিন সন্ধেতে আমার কেবিনে এসে...ওকে না দিলে কি হয় নাকি ?     


রিমলি বলে ওঠে, "কিরকম গায়ে পড়া ছিল আপনি জানেন না স্যার। এরকম একটা আজে বাজে লোককে কেন যে অফিসে ঢুকিয়েছিলেন কে জানে ! খালি ঘন্টায় ঘন্টায় কফি খেতে উঠবে আর যাওয়ার আগে আমার ডেস্কের সামনে এসে ঝুঁকে দাঁড়িয়ে ওপর থেকে আমার দিকে...মানে...আর খালি আমাকে ডাকবে ওর সাথে যেতে। একবার আমার শার্টের ওপরের দুটো বোতাম খোলা ছিল। আমি বুঝতে পারিনি তাড়াহুড়োতে। আর ও এসে আমার বুকের দিকে তাকিয়ে বলছে যে রিমলি, তোর ওপরের দুটো বোতাম খোলা। সব দেখা যাচ্ছে। আরে ! নিজে তো ড্যাবড্যাব করে দেখছিস। যা না, বৌয়েরটা দেখ। যত্তসব। ওর, ওর পাশের ওই ডেস্কে বসে আমার তো নিজেকে খুব আনসেফ মনে হত ! মরেছে, ভাল হয়েছে। " বলেই চুপ করে যায় রিমলি। মনে পড়ে যায় বেশ কয়েকমাস আগের কথা। বসের কেবিনে সেদিন রিমলি বসেছিল বসের কোলের ওপরে। বসের মুখ ছিল ওর বুকের মাঝে। অরুন হঠাৎ ঢুকে পড়েছিল একটা ফাইল নিয়ে। আর ওদের ওই অবস্থায় দেখেই বেরিয়ে এসেছিল। ভাগ্যিস কাউকে বলে নি ! ভালই হয়েছে। আপদ বিদায় হয়েছে। 


বয়স্ক দিলীপ সবার দিকে তাকিয়ে মিটমিট করে হেসে ওঠেন নিজের মনে, আর বলেনা নিজেকে - যাক বাবা ! আমাকে আর অরুনকে তিরিশ হাজার টাকা ফেরত দিতে হবে না। আমার মেয়েটার বিয়ের সময় ওর কাছ থেকে নিয়েছিলাম। এখন আর ওই সব কিছু...আর তৃনা ? হিঃহিঃহিঃ। যেতে হবে। ওর কাছে গিয়ে দেখে আসতে হবে একবার। একা মেয়ে। কি করে যে আছে কে জানে।  


বঙ্কিম জোরে জোরে সবাইকে শুনিয়ে বলে ওঠে, "অরুনের পেছনে এত টাকা দিতে গিয়ে আমরা তো প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছিলাম। মানছি  ও 'এম বি এ' করে এসেছে। তবুও, ও একাই তো ও চারজনের স্যালারি নিত। ভালই হয়েছে। ওর জায়গাতে এবার আমরা চারজনকে নিতে পারব। বা একজনকে নিয়ে চারজনের কাজ করাব আর স্যালারি দেব একজনের। কস্ট কাটিং, সেটা তো দেখতে হবে আমাদের। "  

  

অন্য দিকে সেই সময়ে -


তৃনা আর অরুনের বাড়িতে, তৃনা একা একা শুয়েছিল খালি বিছানাতে। অরুন চলে যাওয়ার পরে কিছুই ভাল লাগে না। সব কিছু যেন কিরকম ফাঁকা হয়ে গেছে। শুধু...শুধু...আর কয়েকটা দিন ! ফোন হাতে তুলে নেয় তৃনা। একটা নম্বরে ডায়াল করে ও। অন্যদিকে ফোনটা রিসিভ করতেই...তৃনা বলে ওঠে, "সমু, সমু ! কবে আসবে তুমি ? আর তো ভাল লাগছে না একা একা। আর দেখ, এখন তো অরুন ও নেই। জানোই তো ও আর ফিরে আসবেও না কোনও দিন। ভালই হয়েছে। ও থাকার সময়ে, সব সময় কি'রকম ভাবে আমার দিকে তাকিয়ে থাকত। মনে হত, মনে হত - ও সব দেখতে পাচ্ছে। বুঝতে পারছে। আমাকে ভেতর পর্যন্ত পড়তে পারছে।"


"এখনই আসি ? "


"না না ! এখন না। এখন শ্বশুর শাশুড়ি আছে। ওরা দুদিন পরে চলে যাবে। আর কাল ওই সব পলিসির কাজ কর্ম হয়ে যাবে। তারপর, তারপর সবকিছুই আমার। এই বাড়ি, অরুনের পলিসির সব টাকা...আর তারপর...এখন আর আমাকে কাউকে লুকিয়ে লুকিয়ে তোমার কাছে যেতে হবে না। স্কুলে পড়ানোর নাম করে, তোমার কাছে যাওয়া - আমাদের সারা দুপুর একসাথে সময় কাটান...এখন আর কোনও বাধা থাকবে না। আচ্ছা শোনো না ! আমাকে ওই নেকলেসটা দেবে তো ? সেই যে, সেই মাস দুয়েক আগে যেটা বলেছিলাম, দেখিয়েছিলাম তোমাকে !"


হাসতে হাসতে ফোন রেখে দিয়ে সামনের দেওয়ালের দিকে তাকায় তৃনা। অরুন হাসছে - তৃনার দিকে তাকিয়ে। কাঠ আর কাঁচ দিয়ে তৈরী ফটো ফ্রেমের ভেতর দিয়ে। ফুলের মালাটার ফুলগুলো শুকিয়ে গেছে - অনেকদিন আগেই ! 


সমাপ্ত