Page Nav

HIDE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

বিপজ্জনক বাড়ি"---ভাবনায় কলকাতা পুরসভা

অমিতাভ গঙ্গোপাধ্যায়----------সাম্প্রতিক সময়ে বাড়ি ভেঙ্গে একাধিক মৃত্যু-জখমের ঘটনা ঘটেছে। বছর খানেক আগেই উত্তর কলকাতার পোস্তা অঞ্চলে একটি জীর্ণ বাড়ি ভেঙে একই পরিবারের তিন জনের মৃত্যু হয়। ভবিষ্যতে এমন ঘটনা রুখতে আইন বদলে উদ‍্যোগী প…

 


অমিতাভ গঙ্গোপাধ্যায়----------

সাম্প্রতিক সময়ে বাড়ি ভেঙ্গে একাধিক মৃত্যু-জখমের ঘটনা ঘটেছে। বছর খানেক আগেই উত্তর কলকাতার পোস্তা অঞ্চলে একটি জীর্ণ বাড়ি ভেঙে একই পরিবারের তিন জনের মৃত্যু হয়। ভবিষ্যতে এমন ঘটনা রুখতে আইন বদলে উদ‍্যোগী পুরসভা। ইতিমধ্যে পুরসভার উদ‍্যোগেই বিপজ্জনক বাড়িগুলি চিহ্নিতকরণের কাজ শেষ হয়েছে। এবার পুরসভার নির্দেশ অমান্য করলে বাড়ির মালিকদের থেকে বেশি অর্থের জরিমানা আদায় করা হবে,প্রয়োজনে কারাবাসের ব‍্যবস্থার কথা ভাবা হচ্ছে। বর্তমানে এই ধরনের বাড়ির সংখ‍্যা প্রায় ৩০০০, যার মধ‍্যে ৩০০টি বাড়িকে অত‍্যন্ত বিপজ্জনক বলে চিহ্নিত করা হয়েছে।


এই সব বাড়িকে দ্রুত ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পুরসভার তরফে। অন‍্যথায় বাড়ির মালিককে ১০০০০ টাকা জরিমানা করা হবে বলে জানা গিয়েছে।পুরসভার হিসাবে কলকাতা শহরে প্রায় ৫০-৬০ হাজার মানুষ বিপজ্জনক বাড়িতে বসবাস করেন। এই তালিকায় যেমন বহু আবাসিক বাড়ি আছে, তেমনই বহু বাজার ও অফিস ভবন আছে। শহরে যে সব পুরনো বাজার আছে, তার বেশিরভাগই এই তালিকাভুক্ত। তার মধ‍্যে কয়েকটির অবস্থা অতি সঙ্গিন যেমন, উত্তরে হরি সাহার মার্কেট, দক্ষিণে যদুবাবুর বাজার। এছাড়াও হাতিবাগান মার্কেট, এন্টালি ও ল‍্যান্সডাউন মার্কেট এই বিপজ্জনকের তালিকায় রয়েছে। মাঝে মাঝেই এখানে দুর্ঘটনা ঘটছে। এত কিছু জেনেও বাড়িগুলি ভাঙার উদ‍্যোগ কেন নিচ্ছে না পুরসভা! পুরসভার বিল্ডিং বিভাগের ডি জি-র ব‍্যাখ‍্যা, অধিকাংশ বাড়িতেই আবাসিকরা রয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, কাউকে তার বাসস্থান থেকে উচ্ছেদ করতে হলে তার থাকার ব‍্যবস্থা করে দিতে হবে।‌ তাঁর কথায়, এই আইনি মারপ‍্যাঁচেই এইসব বাড়ি ভাঙা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।


বড়বাজারের এক পুরনো বাড়ির মালিকের বক্তব্য,১৯৯৭ সালের সংশোধিত ভাড়াটিয়া আইনই সমস‍্যা জিইয়ে রাখছে। ১৯৫৬ সালের পুরনো ভাড়াটিয়া আইনে পাঁচ বছর অন্তর ১০ শতাংশ হারে বাড়ি ভাড়া বাড়ত, কিন্ত বর্তমানে তিন বছর অন্তর ৫ শতাংশ ভাড়া বৃদ্ধি হয়। ফল স্বরূপ মেরামতের খরচ বিশ বাঁও জলে!