রেল গাড়ি ঝমাঝম,পা পিছলে আলুর দম।সেই সব পুরানো গল্প কথা আজ অতীত স্মৃতি ।আজ টগবগিয়ে চলে এসেছে মেট্রো রেল।কখনো সুড়ঙ্গ আবার কখনো মাটির ওপরেই।সে কথা থাক।আসি ফিরে ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রোর কথায় ।সব কিছু ঠিকঠাক চললে আগামী বছরেই ঝমঝমিয়ে চলতে শ…
তরুণ চট্টোপাধ্যায় । |
সেই সব পুরানো গল্প কথা আজ অতীত স্মৃতি ।আজ টগবগিয়ে চলে এসেছে মেট্রো রেল।কখনো সুড়ঙ্গ আবার কখনো মাটির ওপরেই।
সে কথা থাক।আসি ফিরে ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রোর কথায় ।সব কিছু ঠিকঠাক চললে আগামী বছরেই ঝমঝমিয়ে চলতে শুরু করবে ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রো ।আর তা শুধু সুড়ঙ্গ পথেই নয়।একবারে গঙ্গার নীচ দিয়ে ।
কে এম আর সি এল সূত্রে জানা গেছে কোভিড পরিস্থিতি তেও কাজ চলেছে পুরো দমে।বৌ বাজারের ফাটলে কিছুদিন কাজ বন্ধ থাকলেও আইনি জটিলতা কাটিয়ে তা শুরু করতে সময় খুব বেশি ব্যয় হয়নি।দুটি বোয়িং মেশিন অনবরত কাজ করে গেছে মাটির নীচে।
ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রোর সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল গঙ্গার নীচে দিয়ে এই ট্রেন সরাসরি গঙ্গা পার করার।
আজ থেকে বহূদিন আগে হাওড়া ব্রিজের পথ ধরে কলকাতা ও হাওড়া কে যুক্ত করেছিল ট্রাম।কিন্তু ট্রেন থেমে ছিলো হাওড়া তেই।গঙ্গা পারাপারের সাহস দেখাতে পারেনি।যদিও সেই ট্রাম অবশ্য আজ স্মৃতি সরনীতে।
2022 সালে এই মেট্রো রেল যে অবলীলায় গঙ্গা পার করবে তা নিয়ে আজ আর কোন সংশয় নেই।আর তা যাবে একেবারেই গঙ্গার নীচে দিয়ে ।15 মিটার নীচে কি কম কথা।
দৈঘ্য 110 মিটার, প্রস্হ 65 মিটার আর গভীরতা 33 মিটার ।
2016 তে কাজ শুরু করে 2019 তেই যুদ্ধ কালীন প্রস্তুতি তে সে কাজ আজ শেষ।দুটি টানেল গঙ্গার নীচে।একটি রচনা আর অন্য টি প্রেরনা।
মেট্রো রেলের মাথায় আবারও নতূন পালক।এশিয়া মহাদেশে এই প্রথম।
আর হাওড়া স্টেশনটি তৈরি হয়েছে একেবারে আধুনিকতায় মোড়া।ওপরে শয়ে শয়ে মেল এক্সপ্রেস আর নীচে মেট্রো।
চারটি প্লাটফর্ম সহ 33 টি এসক্যালেটর,চারটি লিফট ও 200 ধাপের চওড়া সিড়ি।এককথায় চমৎকার বন্দোবস্ত ।
আর ওপরের ট্রেন মিস করার বালাই নেই।যানজটে আটকে পড়ার গল্প নেই।
রবীন্দ্র সেতুতে বাস ধরার ঝক্কি ও শেষ।
2021 শেষ হতে আর অল্প দিন বাকি।আসছে 2022।হাওড়া স্টেশন মেট্রো তে সামান্য কাজ বাকি।সেটি শেষ হলে খালি রেক দিয়ে চলবে পরীক্ষা নিরীক্ষা ।
2022 এর যে কোন দিনই এসে যাবে সেই মূহুর্তের হাতছানি ।
গঙ্গার নীচে দিয়ে ট্রেন ছুটবে।পা পিছলে আলুর দম আর হবে না।
মেট্রো যখন আত্মঘাতী হবার সম্ভাবনা তো থাকেই।তার ব্যবস্থা ও করেছেন কে এম আর সি এল।প্লাটফর্মে ট্রেন ঢুকলেই তারপর প্লাটফর্মে যাওয়া যাবে।স্ক্রিনিং ডোর তো থাকছেই।
কি ভাবছেন।প্রথম দিনেই কি রেল চাপবেন।ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হতে।
এশিয়ার এই প্রথম এতো আধুনিকতার ছাপ দেওয়া মেট্রোয় উঠেই পড়ুন।গঙ্গা পারাপার করুন রচনা আর প্রেরনার হাত ধরেই।