লক্ষী পূজা শেষ।কিন্তু ধনলক্ষী পূজা তো এখনও শেষ হয়নি।আর এই ধনলক্ষীর পূজা দিয়েই শুরু হয় শুভ দীপাবলির সূচনা।আর সেই ধনতেরাস এখন দরজায় কড়া নাড়ছে।বলছে সোনা রুপা কিংবা বাসনপত্র কিনে নিজের সৌভাগ্য ফিরে আসে এই ধনতেরাসের দিন।বাঙালি তাই মনে…
তরুন চট্টোপাধ্যায় |
ধন ত্রয়োদশী বা ধনন্তরী ত্রয়োদশী হল এই উৎসবের দিন।কার্তিক মাসের শুক্ল পক্ষের ত্রয়োদশী তিথিতেহয় ধনতেরাস।ধাতুর দৌলতে মা লক্ষীর আবির্ভাব হয় গৃহস্হের ঘরে বলে বিশ্বাস করেন অনেকেই।তবে ধনতেরাস নিয়ে নানা গল্প ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে।বিশ্বাস অবিশ্বাসের প্রশ্ন আলাদা।
স্বর্গে ধনের দেবতা নাকি কুবের।আর সেই দেবতা কে খুশি করতেই এই ধন তেরাস।
আর এক গল্প হলো রাজা হিমের ছেলেকে বিবাহের চতুর্থ দিনে যমের হাত থেকে রক্ষা করতে নববধূ এক ফন্দি আঁটেন।সেটি হলো প্রচুর ধনরত্ন সোনা রুপা ঘরের দরজায় রেখে প্রদীপ জ্বালিয়ে দেন।যমরাজ এই ধাতুর উজ্জ্বলতায় চোখ ধাঁধিয়ে ঘরে প্রবেশ করতে পারে না।ফিরে যায় ।
আবার আর এক কাহিনী হলো দুর্বাশা মুনির অভিশাপে এক সময় স্বর্গ হয় লক্ষীহীন।রাক্ষসদের সঙ্গে যুদ্ধ করে সমুদ্র মন্থনের পর দেবী লক্ষী স্বর্গে ফিরে আসেন।আর এই দিনটি ছিল ধনতেরাসের দিন।
এ ছাড়াও নানা কাহিনী ও গল্প ঘিরে আছে এই উৎসব কে কেন্দ্র করে।অশুভ শক্তি কে বিনাশ করে প্রদীপ জ্বালিয়ে শুরু হয় ধন দেবতার পুজো।তাই এটিকে ধন লক্ষীর পূজাও আখ্যা দেওয়া হয়।
সেই প্রাচীনকাল থেকেই সমগ্র ভারতবর্ষ জুড়ে চলে আসছে এই উৎসব।প্রথম দিকে বাঙালীর ঘরে ঘরে এই উৎসব ছিল না।কিন্তু এখন এটি সার্বজনীন হয়ে উঠছে।
বাঙালীর পছন্দের তালিকায় সোনাই আছে সর্বাধিক ।এ ছাড়া রুপা বা বাসনপত্র কেউ কেউ কেনেন।দেবতার মূর্তি বা গনেশ কিংবা মঙ্গল ঘট সহ নানা দেবতার মূর্তি এদিন বিক্রি হয়।আর এগুলি সোনা বা রুপার।
সোনার দোকানেও বিক্রি বাড়াতে মজুরীতে নানা রকম ছাড় দেওয়া হয়।নানা উপহার ও দেওয়ায় চল আছে।
আর গৃহিণীরাও খুশি।ধনলক্ষীর নাম করে কারও কানের কারো হাতের গয়না এসে যায় ঘরে ঘরে।দীপাবলির আলোর মতোই চকচক করে গৃহস্হ বাড়ির মা বোন ও বৌ এর চোখ মুখ।ধনতেরাসের হাত ধরে ঘরে আসে সোনা কিংবা রুপো।
ধনতেরাসে মেতেছে বাঙালি ।আর ধনতেরাসের হাত ধরেই আসছে দীপাবলির উৎসব।