Page Nav

HIDE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

পড়ুয়াদের স্কুল মুখী করতে উদ্যেগ শিক্ষক শিক্ষিকাদের বি

ছাত্রছাত্রীদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে স্কুলছুট পড়ুয়াদের বিদ্যালয়মুখী করতে উদ্যোগ নিলেন হবিবপুর স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা নিজস্ব সংবাদদাতা, মেদিনীপুর.........করোনার ভয় কাটিয়ে স্কুল শুরু হলেও স্কুলমুখী হয়নি বহু ছাত্রছাত্রী। মেদিনীপুর শ…

 


ছাত্রছাত্রীদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে স্কুলছুট পড়ুয়াদের বিদ্যালয়মুখী করতে উদ্যোগ নিলেন হবিবপুর স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা 

নিজস্ব সংবাদদাতা, মেদিনীপুর.........করোনার ভয় কাটিয়ে স্কুল শুরু হলেও স্কুলমুখী হয়নি বহু ছাত্রছাত্রী। মেদিনীপুর শহরের হবিবপুর সরস্বতী বিদ্যামন্দির হাইস্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকা তাই ছাত্রছাত্রীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিদ্যালয়ে আসার গুরুত্ব বোঝাতে শুরু করলেন।


করোনার কারণে দীর্ঘ দিন বিদ্যালয় বন্ধ ছিল। বর্তমান, সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীরা বিদ্যালয়ে গিয়ে পঠনপাঠন শুরু করেছে। কিন্তু ছাত্রছাত্রীদের উপস্থিতি মোটেই সন্তোষজনক নয়। সংসার ও পেটের টানে যে ছাত্রছাত্রী কাজে নেমে উপার্জন শুরু করেছে, বিশেষ করে তারা আর স্কুলে আসতেই চাইছে না। সামনেই মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। চিন্তিত শিক্ষক-শিক্ষিকারা।



সোমবার ছাত্রছাত্রীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ছাত্রছাত্রীদের পাশাপাশি তাদের অভিভাবকদেরও বোঝালেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা মালা মজুমদার জানালেন, "এই প্রচেষ্টা আমরা আগামী সারা সপ্তাহ জুড়েই করবো। আশা করি অভিভাবকেরা সচেতন হবেন।" উল্লেখ্য, এই স্কুলের অধিকাংশ ছাত্রছাত্রী দরিদ্র শ্রমজীবী পরিবারের। তাই অনেক ছাত্র অর্থ রোজগারে ব্যস্ত হয়ে গেছে। কিছু ছাত্রছাত্রীর আবার নিয়মিত বিদ্যালয় আসার অভ্যাস চলে গেছে। হয়তো রয়ে গিয়েছে করোনা নিয়ে আতঙ্ক। প্রধান শিক্ষিকা জানালেন, " করোনা নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই, করোনা বিধি মেনেই শ্রেণিকক্ষে আমরা পড়াশোনা শুরু করেছি। অভিভাবকদের নিয়ে দফায় দফায় সচেতনতামূলক মিটিংও করেছি।"


এ দিন, মধ্যদুপুরে পাড়ায় পাড়ায় স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকাদের পেয়ে স্কুলছুট পড়ুয়ারা পড়েছে সংকোচে। কিছু ছাত্রছাত্রী মার্বেল খেলছে, তারা দৌড়ে পালালো নিমেষে। কয়েকজনকে দেখা গেল হাতে তেলকালি মেখে যন্ত্রাংশ সারাতে ব্যস্ত। তবে শেষমেষ সবাই কথা দিয়েছে, এবার থেকে নিয়মিত স্কুল যাবে। শিক্ষক শিক্ষিকাদের সঙ্গে আলোচনা করে অভিভাবকরাও হয়েছেন আশ্বস্ত। এখন দেখার এই উদ্যোগ কতখানি সফল হয়! বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আশা দেখছেন।