Page Nav

HIDE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা ,অর্জুন বাইক চালকের ধাক্কায় আহত

বেপরোয়া বাইক আরোহীর বাইকের ধাক্কায় অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা সরকার ও অর্জুন আহত হওয়ার ঘটনায় রাজ্য জুড়ে শোরগোল শুরু হয়েছে।প্রিয়াঙ্কার আঘাত গুরুতর।সুটিং চলা কালীন পুলিশের কর্ডন ভেঙে বেপরোয়া বাইক সরাসরি ধাক্কা মারে অভিনেত্রীর পায়ে।তিনি এ…

 


তরুণ চট্টোপাধ্যায় ।কলকাতা ।
বেপরোয়া বাইক আরোহীর বাইকের ধাক্কায় অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা সরকার ও অর্জুন আহত হওয়ার ঘটনায় রাজ্য জুড়ে শোরগোল শুরু হয়েছে।প্রিয়াঙ্কার আঘাত গুরুতর।

সুটিং চলা কালীন পুলিশের কর্ডন ভেঙে বেপরোয়া বাইক সরাসরি ধাক্কা মারে অভিনেত্রীর পায়ে।তিনি একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ।তার পায়ে অস্ত্রপ্রচার হয়েছে।জানা গেছে দুটি হাড় ভেঙেছে।যদিও খুব শীঘ্রই তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হবে।

প্রশ্ন হলো একজন অভিনেত্রী বলে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ তৎপরতা দেখিয়ে বেপরোয়া বাইক আরোহী কে গ্রেপ্তার করে।কিন্তু সাধারণ কেউ হলে কি এই ধরনের তৎপরতা দেখানো হতো।

শুধু কলকাতা কেন শহরতলী তে এই ধরনের বেপরোয়া বাইক আরোহী সব সময় দেখা যায় ।কিন্তু পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা এই প্রবনতা দিন দিন বাড়ছে।

বহু বাইক আরোহী লাইসেন্স ও কাগজ ছাড়া ই রাস্তায় বাইক চালায়।হেলমেট ও মাস্ক অনেকেরই থাকে না।

 অভিযোগ পুলিশ ধরলে রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় থানায় ফোন আসে।ফলে অধিকাংশ কেই ছেড়ে দিতে হয়।

কিছুদিন আগে মাস্ক ছাড়া বাইক আরোহী কে পুলিশ গ্রেপ্তার করলে পুলিশ কেই ধমকানো চমকানো শুরু হয়ে যায়।সেই ভিডিও টি ভাইরাল হয়।

আর হেলমেট পড়বো না এই পন করে অনেকেই পথে নামেন।শাসক দলের লোকজন নিজেদের ই প্রশাসন ভাবতে শুরু করেন।

হাওড়া, হূগলী সহ জেলার সর্বত্র এই দৃশ্য দেখতে দেখতে জনসাধারণের মনেই শঙ্কা দেখা দিয়েছে ।বাইক দেখলেই সকলে পথ ছেড়ে সরে দাঁড়ান ।পুলিশ, রাজনৈতিক লোকজন ও সাধারণ মানুষ কোমর বেঁধে এই বেপরোয়া ড্রাইভের প্রতিবাদে পথে না নামলে এই প্রবনতা কমবে না বলেই সবার অভিমত ।

প্রিয়াঙ্কার আহত হওয়ার ঘটনাতে বাইক আরোহী গ্রেপ্তার হলেও এখন তিনি জামিনে মুক্ত ।যদিও দাবি উঠেছে অপরাধীর কঠিন শাস্তির।কিন্তু যে সমস্ত ধারায় এই অপরাধের বিচার হয় তাতে জামিন হতেই পারে।তাই আইনের পরিবর্তনের ও দাবি ওঠে।

বেপরোয়া বাইক আরোহীর হাতে নিত্য এই সব ঘটনা ঘটছে।কিন্তু আইনের কড়া পদক্ষেপ সে ভাবে চোখে পড়েনা।

নাম কা ওয়াস্তে গাড়ির কাগজ চেক হলেও এদের ভ্রুক্ষেপই নেই।ফলে অপরাধ বেড়েই চলে।

সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ মুখে বললেও সেভ লাইফ কোথায় ।

বেপরোয়া গাড়ির গতি ,মদ্যপান করে গাড়ি চালানো তে রাশ টানা যাচ্ছে না।

প্রশ্ন উঠেছে সুটিং এর জায়গায় পুলিশ উপস্থিত ছিল।তবুও বেপরোয়া হলো কি করে বাইক আরোহী ।