Page Nav

HIDE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

করোনা বিধি নিষেধ মানতে পুলিশের ভূমিকায় খুশি জেলাশাসক; গঙ্গাসাগরে থাকছে গ্রিন করিডোর

দেবাঞ্জন দাসগত সপ্তাহ থেকেই রাজ্যে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির জেড়ে বেশ কিছু বিধি নিষেধ আরোপ করেছে রাজ্য সরকার। বিধি নিষেধ যাতে ঠিকঠাক এবং কঠোর ভাবে মানা হয় তার জন্য পুলিশ প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এই বিধি-নিষেধকে সঠিকভাবে আর…



দেবাঞ্জন দাস

গত সপ্তাহ থেকেই রাজ্যে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির জেড়ে বেশ কিছু বিধি নিষেধ আরোপ করেছে রাজ্য সরকার। বিধি নিষেধ যাতে ঠিকঠাক এবং কঠোর ভাবে মানা হয় তার জন্য পুলিশ প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এই বিধি-নিষেধকে সঠিকভাবে আরোপ করতে পুলিশের ভূমিকায় খুশি দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলাশাসক ড. পি উলগানাথন। গঙ্গাসাগর এবং বর্তমানে  জেলায় করোনা পরিস্থিতি নিয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলাশাসক একথা জানান। 

রাজ্যে যখন করোনা পরিস্থিতি বাড়বাড়ন্ত , বাতিল বা পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে একের পর এক সরকারি অনুষ্ঠান। তখন গঙ্গাসাগর নিয়ে অনেকের মনে নানা উৎকন্ঠার জন্ম নিয়েছিল। মেলা প্রসঙ্গ নিয়ে হাইকোর্টে মামলা পর্যন্ত হয়েছিল কিন্তু সেই মামলায় শর্তসাপেক্ষ ভাবে রায় দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। এবং সেই রায় কে যাতে ঠিকঠাকভাবে মানা হয় তার জন্য কোমড় বেঁধে নেমেছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসক। এই প্রথম গঙ্গাসাগর মেলাতে থাকছে  গ্রিন করিডোর। কোন তীর্থযাত্রী যদি সেখানে মারাত্মকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন তাহলে তাকে নিয়ে আসা যাবে তার মাধ্যমে। মেলা প্রাঙ্গণ , কচুবেড়িয়া ,  লট ৮  গ্রিন করিডোর এর ব্যবস্থা থাকছে। এছাড়া অ্যাম্বুলেন্স এবং এয়ার অ্যাম্বুলেন্স এর ব্যবস্থা থাকছে গঙ্গাসাগরে। এছাড়াও থাকছে সেফ হোম এবং কোয়ারেন্টাইন সেন্টার। জেলাশাসক জানান দিওয়ালির পর থেকে এখনো পর্যন্ত প্রায় ছয় লাখ পুণ্যার্থী ইতিমধ্যেই গঙ্গাসাগর দর্শন করেছেন। তার সাথে ভিড় কে কিছুটা কমানোর জন্য ই স্নানের যে পরিকল্পনা গঙ্গাসাগর কে নিয়ে করা হয়েছিল তাতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৬০ হাজারের বেশি মানুষ বুকিং করেছেন। গঙ্গাসাগরের উদ্দেশ্যে যে ক'টি বাস এবং ভেসেল যাবে তাতে ৫০% যাত্রী নিয়ে চলবে বলেও আশ্বস্ত করেন জেলাশাসক। বাস গুলিতে থাকছে গতি নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা। তার কথায় যেহেতু সমুদ্রের পাড় তাই এক জায়গায় স্নান করার জন্য ভিড় যাতে না হয় তার জন্য ভলেন্টিয়ার বহু ভলেন্টিয়ারকে নিযুক্ত করা হয়েছে।  এছাড়াও নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং বিধিনিষেধ যাতে সঠিকভাবে মানা হয় তার জন্য সিসিটিভি ও ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারি চালানো হবে। প্রত্যেকটি এন্ট্রি পয়েন্টে থাকবে করোনা  পরীক্ষার ব্যবস্থা। ৫০ জনের বেশি যাতে কোনোভাবেই জমায়েত না করে থাকেন সেই বিষয়টিও দেখবে প্রশাসন। 

দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার যে সমস্ত অঞ্চলে করোনার  প্রকোপ বেশি এবং যেহেতু বিশেষত বাজার থেকে এই সংক্রমণ বেশি ছড়ায় তার জন্য বিভিন্ন বাজারের সময় নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। কিছু কিছু বাজারকে সপ্তাহের নির্দিষ্ট দিন বন্ধ রাখা হচ্ছে আবার বাজারের কিছু দোকানকে খোলা এবং কিছু দোকানকে বন্ধ রাখা হচ্ছে। 

দক্ষিণ ২৪ পরগনার প্রত্যেকটি গ্রাম পঞ্চায়েত,  এসডিও-বিডিও অফিস, ওয়ার্ড অফিসে এবং ডিএম অফিসের করোনা সংক্রান্ত কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। এছাড়া টেলিকনফারেন্সিং এর মাধ্যমে ডাক্তারদের সাথে সরাসরি কথা বলা যাচ্ছে। টিকাকরণের বিষয়টি বিশেষ নজর দিয়ে দেখছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন। জেলায় প্রথম ডোজ ১০০% এবং দ্বিতীয় ডোজ প্রায় ৮০% এর কাছাকাছি পৌঁছেছে এছাড়া  ১৫-১৮ বছর বয়সীদের টিকাকরণ ভালো ভাবের এগোচ্ছে বলে জানান তিনি। 

বাজারের ভিড়কে সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে পুলিশ প্রশাসন এছাড়া বিভিন্ন নাকা পয়েন্টে সকলে মাস্ক ঠিকঠাকভাবে পৌঁছেছেন কিনা সেই বিষয়টিও দেখছে পুলিশ। বিলি করা হচ্ছে মাস্ক, এছাড়া মাক্স ছাড়া দেখা গেলেই করা হচ্ছে জরিমানা, রাত্রিকালীন নিষেধাজ্ঞাকে ভালোভাবেই নিয়ন্ত্রণ করছে পুলিশ ।  পুলিশের কাজে বেশ খুশি দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলাশাসক উল্গানাথান ।