Page Nav

HIDE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

বিএসএফ মানব পাচারের বিরুদ্ধে কঠোর হয়েছে, টেগোর ভিলা ক্যাম্পাসে দুই দিনের কর্মশালার আয়োজন

দেবাঞ্জন দাস, ৩১ মার্চ: বিএসএফ, সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ার অ্যান্টি হিউম্যান ট্রাফিকিং এর বিরুদ্ধে কর্মীদের আরও পেশাদার করার লক্ষ্যে ১১৮ ব্যাটালিয়নের হেডকোয়ার্টার টেগোর ভিলা ক্যাম্পাসে ডাঃ অতুল ফুলঝেলে, আইপিএস, ইন্সপেক্টর জেনার…



দেবাঞ্জন দাস, ৩১ মার্চ: বিএসএফ, সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ার অ্যান্টি হিউম্যান ট্রাফিকিং এর বিরুদ্ধে কর্মীদের আরও পেশাদার করার লক্ষ্যে ১১৮ ব্যাটালিয়নের হেডকোয়ার্টার টেগোর ভিলা ক্যাম্পাসে ডাঃ অতুল ফুলঝেলে, আইপিএস, ইন্সপেক্টর জেনারেল, সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ার এর সভাপতিত্বে একটি দুই দিনের (৩০- ৩১ মার্চ ) কর্মশালার আয়োজন করেছে। যেখানে নরেশ চতুর্বেদী, ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল, সুরজিত সিং গুলেরিয়া, ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল, কুনাল মজুমদার, ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল, মুকেশ ত্যাগী, ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল, তরনি কুমার টিউ, কমান্ড্যান্ট, ১৭৯ ব্যাটালিয়ন, নারায়ণ চন্দ, কমান্ড্যান্ট, ১১২ ব্যাটালিয়ন, রাজেশ কুমার ত্রিপাঠি, কমান্ড্যান্ট, ১১৮ ব্যাটালিয়ন যোগদান করেন। এনজিও প্ল্যান ইন্ডিয়ার পিয়ালি মন্ডল ও সুবীর বিশ্বাস এবং এনজিও শক্তিবাহিনির রবিকান্ত ও শশীকান্ত এই কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন। এছাড়াও এই কর্মশালায় মোট ২৩ জন বিএসএফ কর্মিক অংশগ্রহণ করেন।


 ডঃ অতুল ফুলঝেলে, মহাপরিদর্শক, বিএসএফ অফিসার ও জওয়ানদের মধ্যে মানব পাচার সম্পর্কে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। যেখানে তিনি মানব পাচারের ব্যবসার পেছনের কারণ বলেছেন এবং জওয়ানদের এটি বন্ধ করতে এবং প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে বলেছেন।


 কর্মশালায় ইন্সপেক্টর জেনারেল বিএসএফ বলেন, সীমান্তে সংবেদনশীল এলাকায় মানব পাচারবিরোধী ইউনিট মোতায়েন করার পর মানব পাচারের ক্ষেত্রে বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে। মানব পাচারের ঘটনার মূলোৎপাটনের জন্য দালালদের (ক্রেতাদের) কারাগারে পৌঁছানো যেমন প্রয়োজন, তেমনি দরিদ্র ও নিরপরাধ মেয়েদের মানব পাচারের জঘন্য কাজ সম্পর্কে সচেতন করাও সমান গুরুত্বপূর্ণ। যাতে কোনো মেয়ে এসব মানব পাচারকারীদের শিকার হতে না পারে।


 এন্টি হিউম্যান ট্রাফিকিং ইউনিট কি?


বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিএসএফ সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ারের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ অ্যান্টি হিউম্যান ট্রাফিকিং ইউনিট, যেটি আন্তর্জাতিক সীমান্তে অবস্থান করে মানব পাচার বন্ধ করার চেষ্টা করছে। সীমান্ত এলাকায় মানব পাচারের জঘন্য অপরাধের পরিপ্রেক্ষিতে এটি ১৫ জানুয়ারী, ২০২১-এ দক্ষিণবঙ্গ সীমান্ত দ্বারা মোতায়েন করা হয়েছিল। মানব পাচার প্রতিরোধ ইউনিট তার অল্প মেয়াদে, এ পর্যন্ত ৩৪ টি মামলায় অবৈধ মানব পাচারের সাথে জড়িত থেকে ৪২ ভুক্তভোগীকে (৩৬ জন মহিলা এবং ০৬ জন নাবালিকা) কে উদ্ধার করেছে এবং ৩৩ জন দালালকে গ্রেপ্তার করেছে।


 মানব পাচারকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা।


 দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের মুখপাত্র এবং সিনিয়র ডিআইজি সুরজিত সিং গুলেরিয়া বলেন, প্রায়ই দেখা যায় মানব পাচারের সঙ্গে জড়িত দালালরা ভালো চাকরি ও অর্থের প্রলোভন দেখিয়ে বাংলাদেশ থেকে দরিদ্র ও ভোলাভালা মেয়েদের সীমান্ত পার করিয়ে ভারতে নিয়ে আসে এবং পতিতাবৃত্তির মত কাজে নিক্ষেপ করছে। আজকাল সীমান্তে মানব পাচার বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে বিএসএফ। দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের ইন্সপেক্টর জেনারেলের নেতৃত্বে সব ব্যাটালিয়ন সীমান্তে মোতায়েন করা হয়েছে। মানব পাচার প্রতিরোধ ইউনিটের মূল উদ্দেশ্য হলো মানব পাচারের সাথে জড়িত সকল সিন্ডিকেটকে গ্রেফতার করে আইনের হাতে তুলে দেওয়া এবং কারাগারে পাঠানো।