তমলুকঃ রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবসময় জনপ্রতিনিধিদের এলাকার মানুষের পরামর্শ নিয়ে এলাকার উন্নয়ন ঘটানোর কথা বলেন। আর সেই নির্দেশকে পাথেয় করে এবার তাম্রলিপ্ত পুরসভা নাগারিকদের সুন্দর পরিষেবা দি…
তমলুকঃ রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবসময় জনপ্রতিনিধিদের এলাকার মানুষের পরামর্শ নিয়ে এলাকার উন্নয়ন ঘটানোর কথা বলেন। আর সেই নির্দেশকে পাথেয় করে এবার তাম্রলিপ্ত পুরসভা নাগারিকদের সুন্দর পরিষেবা দিতে শনিবার তাম্রলিপ্ত পুরসভার মহেন্দ্র স্মৃতি সদনে " চা চক্র" এর আয়োজন করা হয়। সেই চা চক্রে সব রাজনৈতিক দলের পাশাপাশি এলাকার চিকিৎসক, শিক্ষক, শুভানুধ্যায়ীরা উপস্থিত হয়েছিলেন। এদিনের চা চক্রের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী সৌমেন কুমার মহাপাত্র, তাম্রলিপ্ত পুরসভার চেয়ারম্যান দীপেন্দ্র নারায়ন রায়, ভাইস চেয়ারম্যান লীনা মাভৈ রায় সহ তাম্রলিপ্ত পুরসভার কাউন্সিলরগন। দুজন বিজেপি কাউন্সিলর উপস্থিত ছিলেন। এদিন তাম্রলিপ্ত পুরাভার নাগরিকরা তাদের এলাকার মতামত প্রকাশ করেন। তবে তাম্রলিপ্ত পুরসভার এই ধরনের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন তাম্রলিপ্ত পুরসভার নাগরিকরা।
তাম্রলিপ্ত পুরসভার ২০ টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৮ টি তৃণমূল কংগ্রেস জয়লাভ করে। দুটি আসনে জয়লাভ করে বিজেপি। সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিরিখে বোর্ড গঠন করেন তৃণমূল কংগ্রেস। চেয়ারম্যান হিসাবে মনোনীত হন দীপেন্দ্র নারায়ন রায় এবং ভাইস চেয়ারম্যান হন নীলা মাভৈ রায়। নতুন বোর্ড এলাকার নাগরিকদের সুন্দর পরিষেবা তুলে দিতে এই ধরনের উদ্যোগ গ্রহন করা হয়। তমলুক শহরের সাথে জড়িয়ে রয়েছে নানা স্মৃতি। রয়েছে ৫১পীঠের এক পীঠ দেবী বর্গভীমা মন্দির, হিয়েন সাঙ চীনা পরিবাজক তমলুক শহরে এসেছিলেন।১৯৪২ সালে ১৭ডিসেম্বর প্রথম জাতীয় সরকার গড়ে উঠেছিল তমলুকে। এসেছিলেন নেতাজী, জন্মগ্রহন করেছিলেন মাতঙ্গিনী হাজরা । এই ধরনে বহু মনিষী ও স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে তাম্রলিপ্ত শহরকে কেন্দ্র করে। তাই এলাকার নাগরিকদের পরামর্শ নিয়ে তাম্রলিপ্ত পুরসভার উন্নয়ন ঘটাতে এই উদ্যোগ বলে জানান মন্ত্রী সৌমেন কুমার মহাপাত্র।।