Page Nav

HIDE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

মায়ের শেষ দেখা পেল মেয়েরা নেপথ্যে বিএসএফ

দেবাঞ্জন দাস : সীমান্তবর্তী গ্রাম মাটিয়ারির  বাসিন্দা সুকুর মন্ডল,  এখানে মোতায়েন ৫৪ বাহিনীর  সীমা চৌকি বানপুরের কোম্পানি কমান্ডারকে জানান যে তার মা রোহতো বিবি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছেন।  তার দুই বোন সীমান্তের ওপারে বাংলাদেশে থা…



দেবাঞ্জন দাস : সীমান্তবর্তী গ্রাম মাটিয়ারির  বাসিন্দা সুকুর মন্ডল,  এখানে মোতায়েন ৫৪ বাহিনীর  সীমা চৌকি বানপুরের কোম্পানি কমান্ডারকে জানান যে তার মা রোহতো বিবি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছেন।  তার দুই বোন সীমান্তের ওপারে বাংলাদেশে থাকে।


 বিএসএফ শেষ দর্শনের ব্যবস্থা করেছে


 সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) আন্তর্জাতিক সীমান্তের পবিত্রতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি সীমান্তবাসীর মানসিক ও সামাজিক মূল্যবোধের কথা মাথায় রেখে দায়িত্ব পালন করে ।  এই ধারাবাহিকতায় বাংলায় ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্তের নিরাপত্তায় নিয়োজিত বিএসএফ-এর সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ার আবারো একবার  মানবতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করল।  ভারতে বসবাসরত মায়ের মৃত্যুর পর বাংলাদেশে বসবাসরত কন্যাদের  শেষ দেখা করিয়ে , না শুধু মানবতার ধর্মই পালন করেননি,  নিজেদের আদর্শ বাক্য   'জীবন পর্যন্ত  কর্তব্য' আবারও প্রমাণ করেছেন ।


 পুত্র অনুরোধ করায় 

 কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে এই ঘটনাটি  ৩ এপ্রিল ২০২২,  নদীয়া জেলার সীমান্ত এলাকার  এমন একটি সংবেদনশীল পর্ব প্রকাশ্যে আসে।   সীমান্তবর্তী  গ্রাম মাটিয়ারীর বাসিন্দা সুকুর মন্ডল এখানে মোতায়েন ৫৪ বাহিনীর  সীমা চৌকি বানপুরের কোম্পানি কমান্ডারকে জানান যে তার মা (রোহতো বিবি) মারা গেছেন।  তার দুই বোন সীমান্তের ওপারে বাংলাদেশে থাকে।  তিনি বিএসএফকে অনুরোধ করেছিলেন যে তার বোনেরা যদি তাদের মায়ের শেষ দেখা পায় তবে তারা খুব খুশি হবে।  এরপর কোম্পানি কমান্ডার অবিলম্বে মানবিক ও আবেগগত দিকটি মাথায় রেখে কোনো বিলম্ব না করে এই বিষয়ে তার প্রতিপক্ষ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সঙ্গে যোগাযোগ করেন।  বিএসএফের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে বিজিবিও মানবিক দৃষ্টিভঙ্গির কথা বিবেচনা করে এগিয়ে যায়।  তাই উভয় দেশের সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনী পারস্পরিক সহযোগিতার কথা মাথায় রেখে মানবতাকে সর্বাগ্রে রেখে বাংলাদেশে অবস্থানরত দুই কন্যাকে আন্তর্জাতিক সীমান্তের কাছে জিরো লাইনে মায়ের শেষ দেখা করার ব্যবস্থা করেছে।  এভাবেই দুই কন্যার মায়ের শেষ দেখা সম্ভব হলো।


 শেষ দর্শনের সময় পরিবেশ দুঃখময়  হয়ে ওঠে, বিএসএফের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন


  যখন উভয় কন্যাই তাদের মায়ের শেষ দেখা পেয়েছিলেন, তখন সেখানকার পরিবেশ খুব দুঃখময়  হয়ে ওঠে।   শেষ দর্শন করে দুই কন্যা ও পুত্র উভয়েই সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর এই উদ্যোগের জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, আপনাদের মানবিকতার কারণে আমরা মায়ের শেষ দেখা পেয়েছি।  ওই সময় সেখানে উপস্থিত সকলের হৃদয় বিদীর্ণ হয়ে যায় যখন কন্যারা বলেন, আজ যদি আমরা আমাদের মায়ের শেষ দেখা না পেতাম,  তাহলে সারাজীবন আমরা নিজেদের ক্ষমা করতে পারতাম না।


 *বিএসএফ সর্বদা সামাজিক ও মানবিক মূল্যবোধের খেয়াল রাখে : গুলেরিয়া*

 এখানে, এই পর্বে, দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ার বিএসএফের জনসংযোগ আধিকারি এবং ডিআইজি সুরজিৎ সিং গুলেরিয়া জানিয়েছেন যে,  বিএসএফ জওয়ানরা দিনরাত সীমান্তে জাগ্রত হয় মোতায়েন থাকে এবং  দেশের নিরাপত্তার পাশাপাশি সীমান্তবাসীদের   সুখ-দুঃখ , ধর্মীয় এবং সামাজিক মূল্যবোধেরও খেয়াল রাখেন ।  তিনি জোর দিয়েছিলেন যে সীমান্ত রক্ষী বাহিনী অসৎ উদ্দেশ্যযুক্তদের বিরুদ্ধে থাকে কিন্তু যখন মানবতা এবং মানবিক মূল্যবোধের ক্ষেত্রে তাহারা সর্বদা প্রস্তুত থাকে।