বাবলু বন্দোপাধ্যায়, কোলাঘাট : কোলাঘাট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র গড়ে উঠার পর বেশ কয়েকটি শিল্প আশায় আশির দশক থেকে মেচেদা পরিণত হয়েছে মিনি শিল্প নগরী হিসাবে। বর্তমানে শিল্পনগরীতে জল নিকাশি সমস্যায় জেরবার হয়ে উঠেছে। একদিকে ৪১ নম্…
বাবলু বন্দোপাধ্যায়, কোলাঘাট : কোলাঘাট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র গড়ে উঠার পর বেশ কয়েকটি শিল্প আশায় আশির দশক থেকে মেচেদা পরিণত হয়েছে মিনি শিল্প নগরী হিসাবে। বর্তমানে শিল্পনগরীতে জল নিকাশি সমস্যায় জেরবার হয়ে উঠেছে। একদিকে ৪১ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে অবৈধ নির্মাণ, অন্যদিকে তমলুক মেচেদা রাজ্য সড়কের নয়ানজুলি মজে যাওয়ায় সমস্যা তৈরি হয়েছে জল নিকাশির। শান্তিপুর এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বেশ কয়েকটি মৌজায় চাষাবাদ লাটে উঠেছে , বর্ষাকালীন চাষ হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। বাঁপুর খাল সংস্কারের ফলে মাতঙ্গিনী গেস্ট হাউস এর কাছে লকগেট বন্ধ থাকায় জলস্তর এমনিতেই বৃদ্ধি পেয়েছে তারপরে পুনরায় বর্ষা আসলে মৌজা গুলিতে জলস্ফীতি ঘটবে ।
গুলুড়িয়া গ্রামোন্নন কমিটির সম্পাদক সুকুমার মাইতি প্রশাসনিক স্তরে বিষয়টি জানিয়েছে জল নিকাশি সমস্যার। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। এই সমস্যায় ফলে বেশ কয়েকবার জাতীয় সড়ক অবরোধ করা হয়েছে বলে খবর। আন্দোলনের ফল স্বরূপ জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ তাদের বেদখল জমি জায়গা পুনরুদ্ধারের জন্য কয়েকদিন ধরে জায়গা জরিপ করেছে। ওই এলাকার মানুষজন বলছে জাতীয় সড়কের পাশ বরাবর মেচেদা থেকে মহাশ্বেতা পর্যন্ত খাল খনন একান্তভাবেই জরুরি । খাল কাটানোর ফলে বর্তমানে শহীদ মাতঙ্গিনী গেস্ট হাউস এর কাছে যে লকগেট টি রয়েছে সেটিকে বন্ধ রাখা হয়েছে । ফলস্বরূপ জলস্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে শহীদ মাতঙ্গিনী ব্লক এর বিস্তীর্ণ এলাকার জমিতে।
বর্ষার আগে খাল সংস্কারের কাজ শেষ না হলে মিনি শিল্পনগরী মেচেদা ফের জল যন্ত্রণার মধ্যে পড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে। শহীদ মাতঙ্গিনী ব্লক এর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে খাল সংস্কারের কাজ দ্রুত গতিতে চলছে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই শেষ করা হবে।