দেবাঞ্জন দাস, কলকাতা ১১জুন : কথায় বলে কোন কিছু শেখার জন্য বয়সের মাপকাঠি হয় না। এমনই এক নিদর্শন দেখা গেল ক্যারাটে বেল্ট আপগ্রেডেশন পরীক্ষায়।
অল ইন্ডিয়া সিশিঙ্কাই শিতো-রিউ ক্যারাটে-ডু ফেডারেশন ৩ থেকে ৬০ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের জ…
দেবাঞ্জন দাস, কলকাতা ১১জুন : কথায় বলে কোন কিছু শেখার জন্য বয়সের মাপকাঠি হয় না। এমনই এক নিদর্শন দেখা গেল ক্যারাটে বেল্ট আপগ্রেডেশন পরীক্ষায়।
অল ইন্ডিয়া সিশিঙ্কাই শিতো-রিউ ক্যারাটে-ডু ফেডারেশন ৩ থেকে ৬০ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের জন্য আয়োজন করল 'বেল্ট আপগ্রেডেশন' পরীক্ষা। পরীক্ষার তত্ত্বাবধানে ছিলেন হানশি প্রেমজিৎ সেন। পরীক্ষার আয়োজন করা হয়েছিল দুভাগে। এখানে শিক্ষার্থীদের ফিটনেস, শক্তি এবং তৎপরতার দিক থেকে পরীক্ষা করা হয় এবং সেই অনুযায়ী র্যাঙ্কও দেওয়া হয়। এই পরীক্ষায় একজন ৬০ বছর বয়সী ছাত্র বয়সকে উপেক্ষা করে দুর্দান্ত প্রদর্শনও করেন।
তিনি অপরিমেয় শারীরিক শক্তির প্রদর্শন করেছিলেন এবং একই উদ্যমের সঙ্গে হার না মানা মনোভাব নিয়ে অন্যান্য প্রতিযোগীদের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতাও করেন।এছাড়াও মার্শাল-আর্ট অনুশীলনের জন্য বয়স একটি বাধা বা প্রতিবন্ধকতা হতে পারে বলে যে বদ্ধমূল ধারণা আছে তা ও ভেঙে দিয়েছেন। বয়সটা যে শুধুমাত্র এই একটা সংখ্যা সেটা বুঝিয়ে দিলেন এই মানুষ।
ক্যারাটে অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গলের সভাপতি, বিশ্ব ক্যারাটে ফেডারেশনের রেফারি এবং বিচারক হানশি প্রেমজিৎ সেন বলেন, "ক্যারাটের ক্ষেত্রে বয়সের দিক থেকে কোনো বাধা নেই, যেকোনো বয়সের মানুষ ক্যারাটে করতে পারেন। আজ আমরা অসাধারণ কয়েকটি প্রদর্শন দেখেছি যা সত্যিই সকলের জন্য অনুপ্রেরণাদায়ক। বয়স যে শুধুমাত্র একটি সংখ্যা সেব্যাপারে আমার কোনো দ্বিমত নেই এবং বার বার সময়ের সঙ্গে তা প্রমাণ করেন কিছু মানুষ। "
তিনি আরো বলেন, "শুধুমাত্র শারীরিক গঠন নয় যেকোনো বিষয়ে মনঃসংযোগের জন্য ক্যারাটে খুব প্রয়োজন। আর সবচেয়ে বড় বিষয় হলো এটি খেলার জন্য অনেকটা জায়গার প্রয়োজন নেই। আমাদের এই সংস্থা তে কে ন্যাশনাল এবং ইন্টারন্যাশনাল' প্রতিযোগিতায় বহু মেডেল এসেছে। নবীন প্রজন্ম এবং বিশেষ করে অভিভাবকদের আমি অনুরোধ করব অন্যান্য খেলার মতন ক্যারাটেকেও গুরুত্ব দিন। ক্যারাটে আজ বিশ্ব দরবারে প্রশংসিত হচ্ছে। মনসংযোগ এর জন্য ক্যারাটে অসামান্য ভূমিকা পালন করেছে এটা পরীক্ষিত।