Page Nav

HIDE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

বাংলার গর্ব- বাঙালির গর্ব; পদ্মশ্রী রোবোটিক সার্জেন প্রকর দাশগুপ্ত; সম্বর্ধনা অ্যাপেলোর

দেবাঞ্জন দাস; ১৭ জুলাই: সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিভিন্ন জায়গায় বাঙালির জয়জয়কার তেমনি আরও একবার উদাহরণ প্রফেসর প্রকার দাশগুপ্ত। চিকিৎসা ক্ষেত্রে তার অবদানের জন্য সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ২০২২ পদ্মশ্রী পুরস্কার পেয়েছেন দেশের রাষ্ট্…

 




দেবাঞ্জন দাস; ১৭ জুলাই: সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিভিন্ন জায়গায় বাঙালির জয়জয়কার তেমনি আরও একবার উদাহরণ প্রফেসর প্রকার দাশগুপ্ত। চিকিৎসা ক্ষেত্রে তার অবদানের জন্য সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ২০২২ পদ্মশ্রী পুরস্কার পেয়েছেন দেশের রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে। ভারতে রোবটিক সার্জারির অন্যতম প্রাণপুরুষ প্রফেসর প্রকর দাশগুপ্ত। 

কলকাতার অ্যাপোলো হসপিটাল পদ্মশ্রী প্রফেসর দাশগুপ্ত কে সম্বর্ধনা জানায়। 

প্রফেসর প্রকট দাশগুপ্তের ছোটবেলা কাটে লখনৌতে। তারপর তিনি রাউরকেল্লায় তার ছাত্র জীবন অতিবাহিত করেন। ১৯৮৯ সালে তিনি কলকাতা মেডিকেল কলেজ থেকে মেডিকেল ডিগ্রী পান। তিনি 1994 সালে তার FRCS সম্পন্ন করেন এবং একজন মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিল ফেলো হিসেবে 1996 সালে ইউরোলজিতে স্নাতকোত্তর, 2000 সালে ইউরোলজিতে FRCS এবং 2001 সালে লন্ডন ইউনিভার্সিটি থেকে এমডি সম্পন্ন করেন। 

তিনি একজন ভারতীয় সার্জেন যিনি কিংস হেলথ পার্টনারস, লন্ডনের সার্জিক্যাল একাডেমির সার্জারির অধ্যাপক। 2002 সাল থেকে, তিনি গাই'স হাসপাতালের পরামর্শদাতা ইউরোলজিস্ট হিসাবে যোগ দেন এবং 2009 সালে কিংস-এ রোবোটিক সার্জারি এবং ইউরোলজির প্রথম অধ্যাপক হন এবং পরবর্তীতে কিংস কলেজ-ভাট্টিকুটি ইনস্টিটিউট অফ রোবোটিক সার্জারির চেয়ারম্যান হন। 


2005 সালে, তিনি ব্রিটেনে একটি কিডনি প্রতিস্থাপনের অংশ হিসাবে একটি কিডনি পুনরুদ্ধার করার জন্য একটি দা ভিঞ্চি রোবটকে একটি প্রাথমিক কীহোল অপারেশন করার জন্য একটি দলের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। 


দশ বছর পর, তিনি অস্ত্রোপচারে সহায়তা হিসেবে একটি 3D-প্রিন্টেড রেপ্লিকা প্রোস্টেট ব্যবহার করে পুরুষের প্রোস্টেট থেকে ক্যান্সারের টিউমার সফলভাবে অপসারণ করেন।  


2013 থেকে 2020 সাল পর্যন্ত তিনি ইউরোলজি জার্নাল ব্রিটিশ জার্নাল অফ ইউরোলজি ইন্টারন্যাশনাল (BJUI) এর প্রধান সম্পাদক ছিলেন। তিনি কলকাতার অ্যাপোলো হাসপাতালের রোবোটিক সার্জারি বিভাগে সম্মানসূচক পরিচালক হিসাবে নিযুক্ত হন। 


সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানে এসে তিনি বলেন যখন আমি এই পদ্মশ্রী অ্যাওয়ার্ডের আমার নাম ঘোষণার কথা শুনি তখন বেশ একটা অন্যরকম অনুভূতি হয়েছিল। এছাড়া সবচেয়ে বেশি বাঙালি হয়ে নিজেকে গর্ববোধ করি। 


তিনি আরো বলেন রোবটিক সার্জারির খরচ প্রথমদিকে যে রকম ছিল বর্তমান সময়ে তার থেকে কিছুটা কমেছে। যতদিন যাবে তত এই সার্জারি বাড়বে এবং খরচ ধীরে ধীরে কমতে থাকবে। যে কোন সার্জারির ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি যে জিনিসটা দরকার সার্জারির পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত রোগীকে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে একটা প্রিপারেশন বা প্রস্তুতি। 

তার কথায় ভবিষ্যতে বেশিরভাগ অপারেশন রোবোটিক সার্জারির মাধ্যমে হবে। রোবোটিক সার্জারির ক্ষেত্রে যেমন রোগীর ব্যথা কম হয়, তেমনভাবেই খুব সূক্ষ্মভাবে কাজ করা যায়। এই রোবোটিক সার্জারির ফলে রোগী খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরে যান। যখন কোন রোবটিক অপারেশন হয় তখন তা সম্পূর্ণ একটা টিম হিসাবে কাজ করতে হয় একার পক্ষে এই সার্জারি করা সম্ভব নয়। 

তার পুরষ্কারগুলির মধ্যে রয়েছে 2018 সালে কিংস কলেজের ফেলোশিপ, 2020 সালে ব্রিটিশ অ্যাসোসিয়েশন অফ ইউরোলজিক্যাল সার্জনস (BAUS) থেকে সেন্ট পিটারস মেডেল এবং 2022 সালে ভারত সরকার থেকে পদ্মশ্রী।