শুভেন্দু গড় নন্দীগ্রামে সমবায়ের ভোটে খাতাই খুলতে পারলো না বিজেপি। ৫২ টি আসনের মধ্যে ৫১ টি পেয়েছে ঘাসফুল শিবির, ১ টি পেয়েছে বামেরা। ২১ শের নির্বাচনে নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হারের পর সমবায়ের এই জয়ে স্বাভাবিকভাবে উচ্ছ্বসিত…
শুভেন্দু গড় নন্দীগ্রামে সমবায়ের ভোটে খাতাই খুলতে পারলো না বিজেপি। ৫২ টি আসনের মধ্যে ৫১ টি পেয়েছে ঘাসফুল শিবির, ১ টি পেয়েছে বামেরা। ২১ শের নির্বাচনে নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হারের পর সমবায়ের এই জয়ে স্বাভাবিকভাবে উচ্ছ্বসিত রাজ্যের শাসকদল।
একুশের বিধানসভা নির্বাচনে অন্যতম হেভিওয়েট আসন ছিল নন্দীগ্রাম । কারণ সেখান থেকে লড়াই করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । তাও আবার তাঁর দলের একদা 'বিশ্বস্ত' সৈনিক শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে। কিছুটা হলেও সেটা ছিল মমতার কাছে প্রেসটিজ ফাইট। কিন্তু, সেই নির্বাচনে জয়ী হতে পারেননি তিনি। শুভেন্দুর কাছে খুব ভোটের ব্যবধানেই হার মানতে হয়েছিল তাঁকে। আর তা নিয়ে এখনও পর্যন্ত মাঝে মধ্যেই বিজেপির বাক্যবাণে বিদ্ধ হন স্বয়ং তৃণমূল সুপ্রিমো। যদিও এই হারের জন্য বিজেপির বিরুদ্ধে ওই বুথে রিগিংয়ের অভিযোগ তুলেছিলেন তিনি। নির্বাচনের পর বছর ঘুরে গেলেও আজও রাজ্য রাজনীতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে রয়েছে এই নন্দীগ্রাম। আর এবার সেই এলাকায় সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির নির্বাচনে বিজেপিকে কার্যত ক্লিন বোল্ড করে দিল তৃণমূল। এই নির্বাচনে সেখানে একটি আসনেও জয়ী হতে পারেনি তারা। আর সেখানে ৫২টি আসনের মধ্যে ৫১টি আসনেই জয় ছিনিয়ে নিয়েছে ঘাসফুল শিবির। মাত্র একটি আসনে জয়ী হয়েছেন সিপিআইএম প্রার্থী (CPIM Candidate)। অপরদিকে
মারিশদায় সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির নির্বাচনে ভোট লুঠের চেষ্টা! উত্তেজনা
হানুভূঞা-ঘোলপুকুর-বিরুলিয়া সমবায় সমিতির নির্বাচন হয়েছে রবিবার। আর সেখানেই কার্যত দাঁত ফোটাতে পারেনি বিজেপি। আর এপ্রসঙ্গে বিজেপির পক্ষ থেকে দক্ষিণ মণ্ডল সভাপতি অরূপ জানা বলেন, "বিজেপির তরফে সেভাবে জনসংযোগ করা সম্ভব হয়নি। তাই দল একটি আসনেও জয়ী হতে পারেনি।" তবে বিজেপির জন্য এটাই প্রথম ধাক্কা নয়। এর আগেও কাঁথি পুরসভা নির্বাচনে ধাক্কা খেয়েছে গেরুয়া শিবির। ২১টি ওয়ার্ডের মধ্যে তিনটি ওয়ার্ডে জিতেছিল তারা। তার মধ্যে ছিল ১৮ নম্বর ওয়ার্ড পদ্মপুখুরিয়া। যদিও নিজের ওয়ার্ড ধরে রাখতে পারেননি শুভেন্দু।
এছাড়া মারিশদা সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির নির্বাচনও ছিল এদিন। আর সেখানেও তৃণমূলের জয়জয়কার হয়েছে। সেখানে ৪১ আসনে জয়ী হয়েছে তারা। এদিকে সেখানে সকাল থেকে ভোট শান্তিপূর্ণ ভাবে হলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অশান্তির খবর মিলেছিল। বিজেপির (BJP) অভিযোগ, তাদের বুথে ভাঙচুর চালিয়েছে তৃণমূল (TMC)। এমনকী, অশান্তির ছবি করতে গেলে তাদের মারধরের হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূল। তাদের পালটা অভিযোগ, বিজেপি নাটক করছে। সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণভাবেই বুথে ভোট গ্রহণ হচ্ছে।
এরপর কড়া পুলিশি পাহারায় মারিশদা কন্যা বিদ্যামন্দিরে নির্বাচন প্রক্রিয়া চলে। নির্বাচন শেষে ফলাফল প্রকাশ হতেই তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে উল্লাস দেখা দেয়। কারণ সমবায়ের ৪১ টি আসনেই তৃণমূল জয়লাভ করে।