Page Nav

HIDE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

দেশে নি জয়েন্ট রিপ্লেসমেন্ট সার্জারিতে নতুন মাইলস্টোন

দেবাঞ্জন দাস; ২১ আগস্ট: নি জয়েন্ট রিপ্লেসমেন্ট অস্টিওআর্থ্রাইটিসের অসহ্য হাঁটুর ব্যথা থেকে মুক্তির একমাত্র স্থায়ী সমাধান। কারণ অস্টিওআর্থ্রাইটিসে হাঁটুর অস্থিসন্ধির কার্টিলেজ ক্ষয়ে যায় ও এই ক্ষয় কোনভাবেই পূরণ হয় না। এই ক্ষয়প্রাপ্…



দেবাঞ্জন দাস; ২১ আগস্ট: নি জয়েন্ট রিপ্লেসমেন্ট অস্টিওআর্থ্রাইটিসের অসহ্য হাঁটুর ব্যথা থেকে মুক্তির একমাত্র স্থায়ী সমাধান। কারণ অস্টিওআর্থ্রাইটিসে হাঁটুর অস্থিসন্ধির কার্টিলেজ ক্ষয়ে যায় ও এই ক্ষয় কোনভাবেই পূরণ হয় না। এই ক্ষয়প্রাপ্ত হাড় নার্ভরুটে চাপ দিলেই শুরু হয় ব্যথা। একটা সময়ে মানুষ অসহ্য ব্যথায় কাতর হয়ে সব কাজ কর্ম ছেড়ে শয্যা নিতেন দিন গোণা শুরু হোত। আজ দিন বদলেছে। ক্ষয়প্রাপ্ত হাঁটু বদলে কৃত্তিম হাঁটু প্রতিস্থাপন করে মানুষ আবার ফিরে যাচ্ছেন তাঁদের কাজের জগতে।


ভারতের নি জয়েন্ট রিপ্লেসমেন্ট সার্জারিতে ডাঃ সন্তোষকুমার একটি উল্লেখযোগ্য নাম। একজন অর্থোপেডিক সার্জন হিসাবে তাঁর চিকিৎসক জীবনের যাত্রা শুরু করে কিছুদিনের মধ্যে তিনি শুধুমাত্র জয়েন্ট রিপ্লেসমেন্ট সার্জারিতে মনোনিবেশ করেন আর ২০১১ থেকে এই কয় বছরে তাঁর শুধুমাত্র নি জয়েন্ট রিপ্লেসমেন্টের সংখ্যা ১৫০০০ গন্ডী পার হয়ে গেছে! আজকে তাঁর এই সাফল্যের উৎযাপন অনুষ্ঠানে ডাঃ সন্তোষ কুমার জানান যে,১৯৬৮তে প্রথম কৃত্তিম প্রস্থেসিসের সাহায্যে হাঁটু প্রতিস্থাপন শুরু হওয়ার পর থেকে এই কয় দশকে ধাপে ধাপে নি জয়েন্ট সার্জারিতে বৈপ্লবিক উন্নতি হয়েছে। একদিকে যেমন সাধারন ওপেন সার্জারি থেকে শূধুমাত্র কয়েকটি ছিদ্র করে মিনিমালি ইনভেসিভ সার্জারি এসেছে তেমনই পদ্ধতিতেও এসেছে পরিবর্তন। আজকে অত্যাধুনিক জয়েন্ট রিপ্লেসমেন্ট সার্জারি করা হচ্ছে ফুললি অ্যাক্টিভ রোবটিক সিস্টেমের সাহায্যে। এর ফলে আজ প্রতিটি নি জয়েন্ট রিপ্লেসমেন্ট হয়ে উঠেছে সহজ, নিশ্চিত, নিরাপদ ও একশ শতাংশ সফল।এই অপারেশনের পর সিঁড়িতে ওঠানামা, মর্নিংওয়াক, বাজার করা, বাসে যাতায়াত, গাড়ি চালান থেকে পাহাড় বা সমুদ্রে বেড়াতে যাওয়ার মতো সব কাজই খুব ভালভাবে আর সহজে করা যায়। জনসাধারণের প্রতি তাঁর বার্তা প্রয়োজনে নি রিপ্লেসমেন্ট করান তবে ছোট থেকে ব্যায়াম ও শারীরিক পরিশ্রম করে পেশীর শক্তি বাড়ান, হাঁটুর ব্যথাকে দূরে রাখুন।


ডা. সন্তোষ কুমার বলেন, হাঁটু প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রে বর্তমানে পূর্ব ভারতে প্রথম অ্যাক্টিভ রোবট দ্বারা করা হচ্ছে। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের বাইরে এই চিকিৎসা করানোর জন্য যাওয়ার দরকার হচ্ছে না পশ্চিমবঙ্গেই অত্যাধুনিক পদ্ধতিতে হাঁটু প্রতিস্থাপন সার্জারি হচ্ছে।


ডাক্তার দেবাশীষ সারেঙ্গী, ডাক্তার বিবেকানন্দ কুমার, ডাক্তার বিবেক ডেভিড- র নাম উল্লেখ করে তিনি বলেন , দা মোমেন্টাম অর্থ কেয়ার নামে আমাদের সংস্থা এবং আমরা সবাই একটি টিম হয়ে কাজ করি। রোবটিক সার্জারি সম্পূর্ণ নিখুঁতভাবে সার্জারিটি করতে পারে। রোবটিক সার্জারি নিয়ে বহু সাধারণ মানুষের ভীতি রয়েছে।সেই ভীতি দূর করতে হবে। বেশিরভাগ মানুষ হসপিটাল নিয়ে চিন্তাভাবনা করে কিন্তু সে ক্ষেত্রে ডাক্তারের অভিজ্ঞতা এবং যে পাত ব্যবহার করা হয়, তার কোয়ালিটি বিশেষভাবে উপযোগী।


এই অপারেশনের খরচ সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি বলেন কেন্দ্রীয় সরকারের দ্বারা অনুমোদিত যে খরচ ১০ বছর আগে নেওয়া হতো বর্তমানেও প্রায় একই খরচ হচ্ছে ফলে বোঝাই যাচ্ছে যে বর্তমান সামগ্রীর দাম বেড়ে যাওয়ার পরও আগে থেকে খরচ কিছুটা কমেছে।


পূর্বা ইন্টারন্যাশানাল অর্থোপেডিক ফাউন্ডেশন দীর্ঘদিন ধরে অর্থোপেডিক চিকিৎসায় জন সচেতনতা প্রসার ও গবেষনায় কাজ করে আসছে। ২১ আগস্ট তাঁদের আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে ডা. সন্তোষ কুমার ছাড়াও কয়েক জন রোগী হাঁটু প্রতিস্থাপনের আগে পরে তাঁদের অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে বক্তব্য রাখেন।