শান্তি কুঞ্জ এমন একটা বাড়ি বিজেপির প্রতীকে জেতা একটাও লোক নেই। শান্তি কুঞ্জে দুজন সংসদ রয়েছে, যারা তৃণমূলের প্রতীকে জেতা। নন্দীগ্রামের লোডশেডিং এ জেতা বিধায়ক থাকলেন কি থাকলেন না সেটা বিষয় নয়। কাঁথিতে সবথেকে বড় মাঠ, যে মাঠ ট…
শান্তি কুঞ্জ এমন একটা বাড়ি বিজেপির প্রতীকে জেতা একটাও লোক নেই। শান্তি কুঞ্জে দুজন সংসদ রয়েছে, যারা তৃণমূলের প্রতীকে জেতা। নন্দীগ্রামের লোডশেডিং এ জেতা বিধায়ক থাকলেন কি থাকলেন না সেটা বিষয় নয়। কাঁথিতে সবথেকে বড় মাঠ, যে মাঠ টা ভারাবার সাহস পায়নি বিজেপি। আমাদের কাছে মাঠটা খুব ছোটই লাগছে। শান্তি কুঞ্জে আমাদের কোন অশান্তি করার ইচ্ছা নেই। শান্তি কুঞ্জে এমনিতেই মানসিক অশান্তিতে রয়েছে। এমনটাই বললেন কুনাল ঘোষ।
শুভেন্দু অধিকারীর বিজেপিতে যোগদানের পর এই নিয়ে তিনবার কাঁথিতে সভা করতে আসছে তৃনমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক ব্যানার্জি। তবে এই প্রথম শুভেন্দুর আদি বাড়ি অর্থাৎ ‘শান্তিকুঞ্জ’ এর অদূরে সভা করছে অভিষেক। সভা থেকে শুভেন্দুর বাড়ির দূরত্ব টেনেটুনে ১০০ মি. হবে। এই সভার প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে। গতকাল থেকে সভা পরিদর্শনে আসছেন জেলা তৃনমূল নেতৃত্বরা। রাত পোহালেই সমস্ত রাস্তায় গন্তব্যস্থল একটাই কাঁথি। রাস্তা গুলোকে যানযট মুক্ত রাখতে প্রস্তুত রয়েছে পুলিশ। কাঁথি শহরে প্রবেশের মুখে খড়গপুর বাইপাস, দীঘা বাইপাস ও মেছাদা বাইপাসে কর্মীদের গাড়ির পার্কিং এলাকা রাখা হয়েছে। সভার সামনে দিয়ে কর্মীদের প্রবেশ পথ এবং পেছন দিক দিয়ে অভিষেক। নিরাপত্তা রক্ষায় সভাস্থলে লাগানো হয়েছে সিসিটিভি। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা বেষ্টনী রাখা হয়েছে। প্রথমেই থাকবে রাজ্য পুলিশ। তারপর ডিআইব এবং এরপর স্পেশাল নিরাপত্তা রক্ষী।
প্রসঙ্গত, প্রথমে তৃনমূলের সভা স্থল কাঁথির অরবিন্দ স্টেডিয়ামে করার পরিকল্পনা করে জেলা তৃনমূল। সেইমতো ঘটা করে খুঁটি পুজোও করা হয়। পরিবর্তে তা পরিবর্তন করে কাঁথির প্রভাত কুমার মাঠে সভা স্থির করা হয়। যা শান্তাকুঞ্জ থেকে মাত্র ১০০ মিটারে দূরত্বে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে শুভেন্দুর বাড়ির অদূরে থেকে অভিষেক কি বার্তা দেন সেদিকেই নজর রাজ্য রাজনীতির।