দেবাঞ্জন দাস,১৭ জানুয়ারি : ১৫০ মিলিয়ন নথিভুক্ত শিক্ষার্থীসম্পন্ন পৃথিবীর অগ্রগণ্য এডটেক কোম্পানি বাইজু’স বর্তমানে চালু সরাসরি বিক্রয় প্রক্রিয়ার বদলে এক ৪-স্তরীয় প্রযুক্তিনির্ভর বিক্রয় প্রক্রিয়া চালু করেছে। এই নতুন বিক্রয় মডেল অনে…
দেবাঞ্জন দাস,১৭ জানুয়ারি : ১৫০ মিলিয়ন নথিভুক্ত শিক্ষার্থীসম্পন্ন পৃথিবীর অগ্রগণ্য এডটেক কোম্পানি বাইজু’স বর্তমানে চালু সরাসরি বিক্রয় প্রক্রিয়ার বদলে এক ৪-স্তরীয় প্রযুক্তিনির্ভর বিক্রয় প্রক্রিয়া চালু করেছে। এই নতুন বিক্রয় মডেল অনেক বেশি কঠোর, সম্পূর্ণভাবে দূর থেকে চালিত এবং একটি প্রযুক্তিনির্ভর কেন্দ্রীয় অডিট প্রক্রিয়ার অন্তর্ভুক্ত, যা নিশ্চিত করবে যে প্রত্যেকটি বিক্রয় তিনবার পরীক্ষিত হয়েছে।
এই ৪-স্তরীয় প্রক্রিয়া শুরু হয় নতুন আসা লিডকে বাইজু’স প্রোডাক্ট পোর্টফোলিও এবং নতুন রিফান্ড নীতি সম্পর্কে একটি লাইভ জুম সেশনের মাধ্যমে শিক্ষিত করার মধ্যে দিয়ে। এই সেশন ভবিষ্যতের অডিটের জন্য রেকর্ড করা হয়। কোম্পানি ক্রেতার ইচ্ছা এবং প্রোডাক্ট কেনায় সম্মতি নিশ্চিত করার জন্য একাধিক পরীক্ষার ব্যবস্থা করেছে। প্রথম ধাপে আগ্রহী ক্রেতাদের একটি কাস্টম মোবাইল অ্যাপে শর্তাবলী পড়ে নিয়ে কাস্টমার কনসেন্ট স্ক্রিনে নিজের সম্মতি জানাতে হবে। তারপর অর্ডার ভেরিফিকেশন টিম ওই সম্মতিতে আবার সিলমোহর দেবে এবং ক্রেতা সত্যিই ওই প্রোডাক্ট কিনতে সম্মত কিনা তা ফের পরীক্ষা করবে। ক্রেতা তারপর অ্যাপে আরেকটি সম্মতি দেবেন, তবেই বিক্রয় সম্পন্ন হবে।
যেসব শিক্ষার্থীর আর্থিক সাহায্য দরকার, তাদের কাছ থেকে অনুরোধ এলে বাইজু’স বাবা-মা/অভিভাবকদের নামকরা ব্যাঙ্ক/আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেয়। আর্থিক সাহায্যের বিকল্পগুলো অভিভাবকদের গ্রহণযোগ্য মনে হলে তাঁদের এবং ওই ব্যাঙ্ক/আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যেই সম্পন্ন হয় এবং নির্ধারিত নিয়মাবলী অনুযায়ী এই ব্যাঙ্ক/আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো অনুমোদন দেয়।
এই নতুন বিক্রয় মডেল সম্পর্কে মৃণাল মোহিত, সিইও, বাইজু’স ইন্ডিয়া, বললেন “আমরা আমাদের ক্রেতাদের সঙ্গে আজীবন চলার সম্ভাবনা থাকা একটা সম্পর্কের প্রথম ধাপগুলোতে যেভাবে আদানপ্রদান চালাই অতিমারি-পরবর্তী বিশ্বে সেটা নিয়ে নতুন করে ভাবার দরকার পড়েছিল। বাইজু’স একটা স্বচ্ছ বিক্রয় প্রক্রিয়ার প্রতি পরিপূর্ণভাবে দায়বদ্ধ এবং আমাদের প্রযুক্তিনির্ভর, ৪-স্তরীয় দৃষ্টিভঙ্গি কথাবার্তা বাড়ায় আর সম্ভাব্য/বিরল ভুল বিক্রয় প্রতিরোধ করে। আমরা যা করি তার কেন্দ্রে রয়েছে শিক্ষার্থীরা এবং তাদের স্বার্থই আমাদের কাছে সবচেয়ে বড়। আমরা ক্রমাগত আমাদের ক্রেতাদের অভিজ্ঞতার উন্নতি ঘটানোর চেষ্টা করছি এবং আমাদের বিশ্বাস এই নতুন দৃষ্টিভঙ্গি বিক্রির প্রক্রিয়াকে আরও দক্ষ, স্পষ্ট এবং সংবেদনশীল করে তুলবে। ফলে আমরা দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্কের জোরালো ভিত তৈরি করতে পারব।”
এই নতুন করে চালু করে ৪-স্তরীয় বিক্রয় প্রক্রিয়ার মধ্যেই কোম্পানি সমস্ত সম্ভাব্য ক্রেতাদের জন্য ক্রয়ক্ষমতা পরীক্ষা করার ব্যবস্থা করেছে। পারিবারিক আয় মাসিক ২৫,০০০ টাকা হলে তবেই প্রোডাক্ট কেনার ব্যাপারে এগোনো যাবে। যেসব পরিবারের আয় মাসিক ২৫,০০০ টাকার কম তারা বাইজু’স এডুকেশন ফর অল (EFA) প্রকল্পে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। এই প্রকল্পে তারা সন্তানের গ্রেড স্তরের বাইজু’স কনটেন্টের নাগাল পাবে বিনামূল্যে। EFA-র অধীনে ৫৫ লক্ষের বেশি যথেষ্ট পরিষেবা না পাওয়া পরিবারের শিশুকে বিনামূল্যে লার্নিং কনটেন্ট এবং তার সঙ্গে বাইজু’স থেকে বিনামূল্যে ডিজিটাল ট্যাবলেট দেওয়া হয়েছে। বাইজু’স-এর ঘোষিত লক্ষ্য হল ২০২৫ সালের মধ্যে অন্তত ১ কোটি শিশুর কাছে EFA পৌঁছে দেওয়া।