পঞ্চায়েত ভোটের গণনার আগের দিন ১০ই জুলাই পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক ব্লকের সামনে নাইকুড়ি ঠাকুরদাস ইনস্টিটিউটে স্ট্রংরুম এর বাইরে তমলুক পাঁশকুড়া রাস্তায় ব্যাপক গন্ডগোলের সৃষ্টি হয়। যে গন্ডগোলে তমলুক শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপত…
পঞ্চায়েত ভোটের গণনার আগের দিন ১০ই জুলাই পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক ব্লকের সামনে নাইকুড়ি ঠাকুরদাস ইনস্টিটিউটে স্ট্রংরুম এর বাইরে তমলুক পাঁশকুড়া রাস্তায় ব্যাপক গন্ডগোলের সৃষ্টি হয়। যে গন্ডগোলে তমলুক শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি চঞ্চল কুমার খাঁড়াকে ব্যাপক মারধর করা হয়েছিল। পাশাপাশি চঞ্চল খাঁড়ার গাড়িসহ একাধিক গাড়িতে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। তারপরে দীর্ঘক্ষন পরে তমলুক থানার পুলিশ কেন্দ্র বাহিনীকে সঙ্গে করে এনে আহত অবস্থায় চঞ্চল খানাকে বের করে নিয়ে যাওয়া হয়। সেই সময় ভগীরথ মান্না তমলুক ব্লকের বহিচাড় গ্রামের বিজেপি প্রার্থী কে ব্যাপক মাধ্যম করে পুলিশ ধরে নিয়ে যায়। পরের দিন পুলিশ একটি মামলা করে তমলুক জেলা আদালতে। মোট ১৩ জনের নামে পুলিশ মামলা করে।
দশ জনকে জেল হেফাজত পাঠানো হয়, একজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়, ভগীরথ মান্না সহ দুজনকে তিনদিনের পুলিশি হেফাজত নেয় তমলুক থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার ভগীরথ মান্না কে তমলুক জেলা আদালতে তোলা হলে তমলুক থানার পুলিশ চঞ্চল খাঁড়ার স্ত্রী তৃপ্তি বর্মন খাঁড়ার অভিযোগের ভিত্তিতে ভগীরথ মান্না কে ওই মামলায় সংযোগ করার জন্য সোন অ্যারিস্টট এর আবেদন জানিয়েছে তমলুক জেলা আদালতে তমলুক থানার পুলিশ। তমলুক জেলা আদালতের বিচারক আগামী শনিবার মামলার শুনানি দিন ধার্য করেছে। এদিকে ভগীরথ মান্নার স্ত্রী জানান আমার স্বামী বিজেপির হয়ে জয়ী হয়েছে বলে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। বাড়িতে একটি আঠারো বছরের শয্যাশায়ী প্রতিবন্ধী সন্তান রয়েছে। তার দেখভাল করতেন ভগীরথ মান্না। তার স্ত্রীর কাতর আবেদন, যাতে তার স্বামীকে ছেড়ে দেওয়া হয়।