Page Nav

HIDE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

মৃত্যুর মিছিল আর কত দিন

বাজি কারখানায় আগুন আর মৃত্যুর মিছিল আজ এই রাজ্যের রন্ধে রন্ধে।শত চেষ্টার ফলে ও এই মৃত্যুর মিছিলে বাঁধ দেওয়া সম্ভব হয়নি।ফলে.দত্তপুকুর বা এগরা একই সারিতে দাঁড়িয়ে।পরিবর্তন তো দূরের কথা ক্রমশই তা বৃদ্ধি পাচ্ছে।বিস্ফোরণের পর উঠে আ…

 

।তরুণ চট্টোপাধ্যায়।

বাজি কারখানায় আগুন আর মৃত্যুর মিছিল আজ এই রাজ্যের রন্ধে রন্ধে।শত চেষ্টার ফলে ও এই মৃত্যুর মিছিলে বাঁধ দেওয়া সম্ভব হয়নি।ফলে.দত্তপুকুর বা এগরা একই সারিতে দাঁড়িয়ে।পরিবর্তন তো দূরের কথা ক্রমশই তা বৃদ্ধি পাচ্ছে।বিস্ফোরণের পর উঠে আসছে বে আইনী কারখানা।বা কোথাও কোথাও বোমা তৈরির নানা মুখরোচক গল্প। বোমা তৈরি অপরাধ অবশ্যই। কিন্ত বাজি তো একটি পেশা।এই পেশার ওপর ভর করে এ রাজ্যের বহূ মানুষের জীবিকা।যদি তাই হয় তবে সেটি বে আইনি তকমা দেওয়ার আগে আইনি করার জন্য প্রসাশন কি কি পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিল। কেনই বা সব জেনেও তারা নিরব।বে আইনি কথাটি কেন বার বার উঠে আসছে বিস্ফোরণের পরে।তবে কি দুর্ঘটনা না ঘটলে সেটি আইনি ছিল।যত দোষ নন্দ ঘোষের মতো কিছু মানুষের মৃত্যু মিছিল না চোখে পড়লে প্রসাশন নড়ে বসবে না।অবাক তো এখানেই। বিরোধীদের চিৎকার চলবে।সব শেষ।সব শেষ রব উঠবে।শাসক দলের দিকে আঙুল উঠবে।তবুও বন্ধ হবে না।

ঘটনার গভীরে প্রবেশ না করেই জনগন বলবেন শাসক দলের নেতা মন্তী সকলেই জড়িত। স্থানীয় পঞ্চায়েত মাসোয়ারা পেত এই অবৈধ কারবার থেকে।লাখ লাখ টাকা আসতো।পুলিশ তোলা তুলতো।
কিন্ত যে বা যারা বাজির আগুনে দগ্ধ হলেন সেই পরিবারের কপালে কি জুটলো।পরের দিন সেই পরিবারের পাতে ভাত জুটলো কি।
মিডিয়া ধরে ধরে সেই সব গল্প গুলি পাঠককে উপহার দেবে।ছি ছি রব উঠবে।এটুকুই। কদিন যেতে না যেতেই আবারও দুর্ঘটনার শিকার হবেন নিরীহ কিছু মানুষ। মৃত্যুর দামামা বেজে উঠবে।
                প্রশ্ন হলো বাজির মশলা নিয়ে কাজ করতে গেলে ঝুঁকি তো থাকেই। সেই ঝুঁকি নিয়েই মানুষ আসেন এখানেই। বিকল্প কাজের সন্ধান না পেয়ে।মহিলা থেকে শিশু সকলেই আসেন অতিরিক্ত রোজগারের আশায়।আটকাবে কে।
আটকাতে গেলে শুনবে কেন।পেট যে বড় দায় মানুষের কাছে।তাই অবৈধ কারখানার আশে পাশে নানা মুখ ঘোরাফেরা করে অনবরত।ছয় থেকে আশি সেখানে কাজ পায় অনায়াসে।বিপদ হলে সরকারের মুখ পোড়ে।
অল্প বিস্তর ঝুঁকি সব পেশাতেই থাকে।এখানেও আছে।দরকার সেফটি কন্ট্রোল। ঝুঁকি কমানো। তা কি হয়।ঝুঁকির বোঝা মাথায় নিয়ে চলে কারবার। দুর্নীতির আখড়া হয়ে ওঠে দিনে দিনে।মালিকের দল আইনের ফাঁক ফোঁকর খোঁজে অনবরত।বলতে গেলে বলে লাইসেন্স মেলে না।
মিলতে গেলে তো নানা নিয়মের ফাঁস থাকে।নানা সেফটি মেজার নিতে হয়।খরচ বাড়ে।লাভের অঙ্ক কমে যায়।
কিন্ত দেখভাল থাকলে অবৈধ কারখানা আসবে কোথা থেকে।বৈধতা থাকলে তো নজর থাকবেই।আর নজর থাকলে দুর্ঘটনা ও কমে।সব জেনেও এলাকার মানুষ চুপ থাকেন। মৃত্যুর পরে মুখ খোলেন।রাজনৈতিক আদান প্রদানের কথা তোলেন। 
এই সব কারখানার অবস্থান অধিকাংশ ক্ষেত্রেই লোকালয় থেকে দৃরে।সমাজ বিরোধীদের দল সেখানেই চান বোমা তৈরি করতে।বোমা তৈরির জন্য লাগে আরো নানা মশলা।বিস্ফোরণের পর জানা যায় কি কি মশলা মজুত ছিল।আগে তা চোখে দেখলেও ধরা পড়ে না।এটিই আশ্চর্য। 
         বোমার মশলা থাকুক বা না থাকুক অবৈধ কারখানার দরজা খোলার নিয়ম তো নেই। তবুও আলাদীনের আশ্চর্য প্রদীপের মতো চলে সেই কারবার। স্থানীয় প্রশাসন থেকে এলাকার মানুষ মুখে কুলুপ আঁটৈন।টু শব্দ টি ও করেন না।ফল অবৈধতার ছড়াছড়ির গল্প ।দোষ হয় সরকারের। অথচ বহু ক্ষেত্রেই সরকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হন।বিনা লাইসেন্স এর এই কাজ এগিয়ে চলে ।
প্রসাশন সে স্থানীয় বা রাজ্যের দায়িত্ব তো থাকেই। দায়িত্ব এড়াবার রাস্তা তো নেই। 
তবে সব দায়িত্ব আসে দুর্নীতির জাল ছড়িয়ে পরার পরে।আগে নয়।মানুষ কথা বলেন দুর্ঘটনার পর।আগে নয়।
বাজি কারখানার কাজ করেই সমাজের একটি বড় অংশ পেট চালানোর ব্রত নিয়েছেন। সে চালাক।কিন্ত সেফটি? তা কোথাও কি আছে।থাকলেও দুর্ঘটনার ঘটবে তবে সংখ্যার নিরিখে তা অবশ্যই কমবে।
কিন্ত কে ধরিবে হাল।হিম্মত কার আছে।
ফলে সেই ট্রাডিশন।
বিড়ালের গলায় ঘন্টার দরকার। কিন্ত বাঁধবে কে।
বাজি কারখানায় আগুন আজ সংবাদপত্রের শিরোনাম। 
মৃত্যুর মিছিল আর কত দেখতে হবে।
সাধারণ মানুষ এগিয়ে না এলে এই দুর্ঘটনার কবল থেকে বেরিয়ে আসার উপায় নেই। 
দোষ কারো নয়কো মা।দোষ নিয়ন্ত্রণ কর্তার।সেই নিয়ন্ত্রণ না এলে বিষ বৃক্ষ অচিরেই বৃদ্ধি লাভ করবে।
দরকার সঠিক হাতে শাসন।সেই হাতের খোঁজ না পাওয়া গেলে এ দৃশ্য চলবে।
মানুষের মৃত্যু মিছিল আটকানো যাবে না।

তরুণ চট্টোপাধ্যায়।