তমলুক: স্বাধীনতা সংগ্রামী ও প্রবাদপ্রতিম কমিউনিস্ট নেতা কমরেড সুকুমার সেনগুপ্তের ৩১ তম প্রয়াণ দিবস তিন জেলার প্রতিনিধিদের নিয়ে পালিত তমলুকে। রক্তদান শিবির, প্রবীন সংবর্ধনা ও আলোচনার মধ্যদিয়ে দিনটি পালিত হয়।সমস্ত অনুষ্ঠান পালিত হ…
তমলুক: স্বাধীনতা সংগ্রামী ও প্রবাদপ্রতিম কমিউনিস্ট নেতা কমরেড সুকুমার সেনগুপ্তের ৩১ তম প্রয়াণ দিবস তিন জেলার প্রতিনিধিদের নিয়ে পালিত তমলুকে। রক্তদান শিবির, প্রবীন সংবর্ধনা ও আলোচনার মধ্যদিয়ে দিনটি পালিত হয়।
সমস্ত অনুষ্ঠান পালিত হয় সিপিআই(এম) পূর্ব মেদিনীপুর জেলা দপ্তরে। কমরেড সুকুমার সেনগুপ্ত স্মৃতি রক্ষা কমিটির আয়োজনে ১৬ সেপ্টেম্বর দিনটিকে স্মরণে রেখে রক্তদান শিবির, আলোচনা সভা এবং স্মৃতি সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানের সূচনা হয়।রক্তদান শিবির উদ্বোধন করেন সিপিআই(এম) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী। উপস্থিত ছিলেন অনাদি সাহু, প্রবীণ নেতা প্রশান্ত প্রধান, নিরঞ্জন সিহি, হিমাংশু দাস, ইব্রাহিম আলী, সুনীল অধিকারী সহ সুকুমার সেনগুপ্ত স্মৃতির রক্ষা কমিটির অন্যান্য সদস্যরা। এদিন রক্তদান শিবিরের উদ্বোধন করে সুজন চক্রবর্তী বলেন "সুকুমার সেনগুপ্ত ছিলেন রাজনৈতিক সন্ন্যাসী। একদিকে দেশপ্রেম আর দেশের শোষীত মানুষের জন্য লড়াইয়ের ব্রত নিয়েই চলতেন তিনি। ব্রিটিশের বিরুদ্ধে লড়াই পরবর্তীতে আন্দামান সেলুলার জেলবন্দি। ব্রিটিশ বিরোধী লড়াই লড়তে গিয়ে বহুবার কারাবন্দী হয়েছিলেন। মার্কসীয় চিন্তাধারা তাঁর মনের মধ্যে ছিলই। তিনি গণেশ ঘোষদের মতো কমিউনিস্ট পার্টিতে যোগ দেন। সিপিআই(এম)'র অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলার সম্পাদক ছিলেন। এ জেলায় পার্টি গড়ে তুলেছিলেন তিনি। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত পার্টির বিকাশে কাজ করে গেছেন।" সুজন চক্রবর্তী বলেন "দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামী সবথেকে বেশি অবদান কমিউনিস্টদেরই। দেশ রক্ষার তাগিদ ছিল সুকমার সেনগুপ্তের মত কমিউনিস্টদের। এখন দেশ যেভাবে চলছে ব্রিটিশ শাসনের কথা মনে করিয়ে দেয়। এই মুহূর্তে দেশের লড়াই সারা দেশটাকে যারা ধ্বংস করতে চায়, বিভাজন করতে চায় তাদের বিরুদ্ধে। রক্তদান আন্দোলনেও এগিয়ে রয়েছে বামপন্থীরাই। ছাত্র, যুব, মহিলা সহ বামপন্থী গণ সংগঠনগুলি এই রক্তদান উৎসবের মধ্য দিয়ে মুমূর্ষ রোগীর জীবন বাঁচানোর লড়াইটাও লড়ছেন।"
পাশাপাশি এদিন বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু প্রয়াত স্বাধীনতা সংগ্রামী কমরেড সুকুমার সেনগুপ্তের স্মৃতি চারণ করেন। আগামীদিনে তাঁর চিন্তাভাবনা সকলের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার কথার পাশাপাশি প্রতিবছর মেদিনীপুর বর্তমানে তিন বিভক্ত জেলা পূর্ব, পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়্গ্রামে দিনটি পালনের সাথে সাথে ১৬ ই সেপ্টেম্বর তমলুকে সব জেলার প্রতিনিধিদের নিয়ে করার আহ্বান জানান।