বাবলু বন্দ্যোপাধ্যায়। কোলাঘাটবারো মাসে তেরো পাবনের অন্যতম বাঙালির শারদ উৎসব হাতেগোনা আর কয়েকটা দিন বাকি। যেখানেই আয়োজন সেখানেই নানা ভাবনা বিবিধ শিল্পকলার উৎকর্ষতায় যেন জোয়ার বয়ে যাছে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কোলাঘাটে বিরাম…
বাবলু বন্দ্যোপাধ্যায়। কোলাঘাট
বারো মাসে তেরো পাবনের অন্যতম বাঙালির শারদ উৎসব হাতেগোনা আর কয়েকটা দিন বাকি। যেখানেই আয়োজন সেখানেই নানা ভাবনা বিবিধ শিল্পকলার উৎকর্ষতায় যেন জোয়ার বয়ে যাছে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কোলাঘাটে বিরামহীন বয়ে চলা রূপনারায়ণ পাড়ে সংকেত ও ছাত্র সংঘের শারদ উৎসব এই বছর ৫১ তম বর্ষে পদার্পণ করল। এলাকায় প্রায় ৩২ টি পুজো মণ্ডপের প্রায় পঞ্চাশ জন ঢাকি বাদ্যকারদের সংবর্ধনা দেওয়া হচ্ছে এই মন্ডপে। ফুল মালা চন্দনের ফোঁটা উত্তরীয় পরিয়ে বরণ করে নেওয়ার পর ঢাকিদের হাতে তুলে দেওয়া হবে নতুন বস্ত্র উৎসবের বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী এবং অর্থ। এরপর এই ঢাকিরাই তাদের ঢাকে পুজোর বোল বাজিয়ে এবং মঙ্গলদীপ প্রজনন করে উদ্বোধন করবে আগামী১৫ ই অক্টোবর রবিবার মহালয়ার পরের দিন দেবিপক্ষের প্রথম দিনে। আমরা যখন আনন্দে মেতে উঠি তখন ঘর সংসার ফেলে মণ্ডপে মন্ডপে মলিন পোশাকে ঢাক বাজায় ঢাকি। এই চেতনা থেকেই তাদের এই ভাবনা বা কর্মসূচি বলে সম্পাদক শুভঙ্কর বোস জানিয়েছেন। দেবিপক্ষের প্রথম দিনেই ২০০ জন দুস্থ বয়স্ক মানুষদের চোখে পাওয়ার ম্যাচিং চশমা দেওয়ার কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। ২৫ জন মানুষ মরণোত্তর চক্ষুদানে অঙ্গীকার করবে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে পুজো কমিটির পক্ষ থেকে সভাপতি অভিজিৎ সামন্ত জানান। প্রায় ২০ ফুট উচ্চতার জমজমাট ঢাকের সাজে চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী অনুকরণে প্রতিমা নির্মাণ করেছেন চন্দ্রনগর এর বিখ্যাত মৃৎশিল্পী। সাজিয়ে তোলা হছে ডেঙ্গি প্রতিরোধ, বাল্য বিবাহ, ভয়ংকর সাউন্ড বয়কট ,পরিবেশ দূষণ রোধে পথ নিরাপত্তা ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে ছবি পোস্টারিং এবং মডেল ও রাখা হছে সচেতনতার লক্ষ্যে এবারের পূজা মন্ডপে। এই পুজো প্রতিবছরই রাজ্য এবং জেলা স্তরের সরকারি এবং বেসরকারি মিলে বহুবার নানা স্মারক সম্মানে ভূষিত । যা কেবল কোলাঘাট নয় জেলাকে গর্বিত করে তুলেছে। পুজোর এবারে বাজেট ধরা হয়েছে ৮ লক্ষ টাকা বলে জানান কমিটির পক্ষে সৈকত দাস।