বাবলু বন্দ্যোপাধ্যায়। কোলাঘাটপূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাটের রাজপথ বরাবর নদীর পাড়ে এবারের ছট পুজোতে ব্যাপর ভিড়ের সমাগম লক্ষ্য করা গেল সোমবার সকালে। নদীর পাড়ে সূর্য দেবতাকে প্রণাম করে মনস্কামনা পূরণের উদ্দেশ্য ছট পুজোর নানা উপ…
বাবলু বন্দ্যোপাধ্যায়। কোলাঘাট
পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাটের রাজপথ বরাবর নদীর পাড়ে এবারের ছট পুজোতে ব্যাপর ভিড়ের সমাগম লক্ষ্য করা গেল সোমবার সকালে। নদীর পাড়ে সূর্য দেবতাকে প্রণাম করে মনস্কামনা পূরণের উদ্দেশ্য ছট পুজোর নানা উপকরণ দিয়ে তর্পণ করতে দেখা গেল মানুষজনকে। অন্যান্য বছরে তুলনায় এবারের রেহাই পেল না আবর্জনা থেকে জলদেবতা। এলাকার পরিবেশবিদরা এ বিষয়ে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করতেও ছাড়লো না। কোলাঘাট, মেচেদা, পাঁশকুড়া, খরগপুর সহ উত্তরপ্রদেশ বিহার ঝাড়খন্ডের মানুষজন এই রাজ্যে বাস করে তাদেরই সমাগম ঘটেছিল এই দিনে। বাসে ট্রেনে ছোট গাড়ি করে বাদ্যযন্ত্র সহকারী পূজার উপাচার নৈবেদ্য নিয়ে প্রথা মতো ছট পুজার মেতে উঠে। সব মিলিয়ে কোলাঘাটের নদীর পাড় যেন মেতে উঠেছিল এক টুকরো বিহার বা ঝাড়খন্ড। এই উৎসব পূর্ব ভারতের বিহার ঝাড়খন্ড পূর্ব উত্তর প্রদেশ এবং নেপালের তরাই অঞ্চলে পালিত হয়ে থাকে। ধীরে ধীরে এই উৎসব প্রবাসী ভারতীয়দের মাধ্যমে প্রচলিত হয়েছে। ছট পুজো সূর্য ও তার পত্নী ঊষার প্রতি সমর্পিত হয়। জীবনের স্রোত বহাল রাখার জন্য ও আশীর্বাদ প্রদানের কামনা করা হয়। চার দিনের এই ব্রতকথার শেষ দিন উদীয়মান সূর্যকে পবিত্র মনে অর্ঘ্য প্রদানের পর উপবাসভঙ্গ করা হয় নদী ঘাটে। আর এই উপবাস ভঙ্গের সময়ে যাবতীয় আবর্জনা নদীর জলে ভাসিয়ে দেওয়া হয়। আর এ থেকেই এলাকার পরিবেশ সচেতন মানুষরা প্রশাসনিক দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। এলাকার পরিবেশবিদ নকুল দাস ও সুকুমার মাইতি এক সাক্ষাৎকারে জানান ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান মানুষের আবেগ । কোলাঘাটের নদী পাড়ের পাড় বরাবর যেভাবে ভীড় জমছে, পরিবেশ রক্ষার্থে প্রশাসনের আরো দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন।