বাবলু বন্দ্যোপাধ্যায়। পাঁশকুড়াপূর্ব মেদিনীপুর জেলার সরকারি উদ্যোগে নির্মিত পাঁশকুড়া ফুলবাজার কবে থেকে বাজার শুরু হবে এখন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে সংশ্লিষ্ট এলাকায়। চাষিরা পরিষেবা থেকে বছরের পর বছর বঞ্চিত হওয়ার পর …
বাবলু বন্দ্যোপাধ্যায়। পাঁশকুড়া
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সরকারি উদ্যোগে নির্মিত পাঁশকুড়া ফুলবাজার কবে থেকে বাজার শুরু হবে এখন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে সংশ্লিষ্ট এলাকায়। চাষিরা পরিষেবা থেকে বছরের পর বছর বঞ্চিত হওয়ার পর মঙ্গলবার দুপুরে পরিচালন সমিতি অফিসে একটি গুরুত্বপূর্ণ সভা অনুষ্ঠিত হতে দেখা গেল। উপস্থিত ছিলেন সমিতির সভাপতি তথা তমলুক মহকুমা শাসক বুদ্ধদেব পান, জেলা উদ্যান দপ্তরের উপ-অধিকর্তা দীপক কুমার সরঙ্গি, সদস্য তথা সারা বাংলা ফুলচাষীয় ফুল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নারায়ণচন্দ্র নায়ক, ব্লকের ভিডিও এবং পাঁশকুড়া পৌরসভার চেয়ারম্যান প্রমুখ। দীর্ঘ আলোচনার পর সিদ্ধান্ত হয় ফুলবাজারের উন্নতিকল্পে ২৩ শে নভেম্বর বাজারেই একটি ফুল চাষীদের নিয়ে সভা আয়োজন করা হবে। বন্ধ থাকা পাঁশকুড়া ফুল বাজারের হিমঘরটি চালুর বিষয়ে মহকুমা শাসক বিভাগীয় দপ্তরের আধিকারিকদের সাথে কথা বলবেন বলেও জানা গেছে। বিডিও মহাশয় ব্লকের তহবিল থেকে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে বাজারের সমস্ত জঞ্জাল পরিষ্কার করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। সারা বাংলা ফুলচাষী ও ফুল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নারায়ণচন্দ্র নায়ক বলেন ২০০১ সালে জেলার ফুল চাষীদের আন্দোলনের ফলে তৎকালীন রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বাজারটি চালুর জন্য ভিত্তিক স্থাপন করেছিলেন দপ্তরের মন্ত্রী আব্দুল রেজ্জাক মোল্লা। ২০০৪ সালে সেই সময়কার বিভাগীয় মন্ত্রী শৈলেন সরকার বাজার উদ্বোধন করেন। বাজারটি নানা কারণে কার্যত বন্ধ হওয়ার সম্মুখীন হলে ২০১২ সালে ফের বাজারটি নব রূপে চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হয় এবং হিমঘরটিও চালু হয়। ইতিমধ্যে লকডাউন পিরিয়ডে বাইরের দিকের যন্ত্রাংশ চুরি হয়ে যাওয়া হিমঘর বন্ধ হয়ে যায়। যাতে বাজার সহ হিম ঘর চালু রাখা যায় তার বিষয়ে বারংবার বলার পর প্রশাসনিকভাবে বৈঠক ডাকা হয়েছিল। কিন্তু এলাকার চাষিরা তাতেও সংশয় প্রকাশ করেছে চালু কি আদৌ হবে পাঁশকুড়া ফুল বাজার।