Page Nav

HIDE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

স্মৃতি হারানো দেবী সাহা পথ ভুলে পৌঁছে গিয়েছিলেন শালবনী,পরিবারের কাছে পৌঁছে দিল 'ছত্রছায়া'

নিজস্ব সংবাদদাতা,শালবনী , মেদিনীপুর....'পশ্চিম মেদিনীপুরে জেলার চন্দ্রকোনা রোডের শান্তিনগর কলোনির বাসিন্দা ষাটোর্ধো দেবী সাহা বাড়িতে প্রায় একাই থাকেন। স্বামী মারা গিয়েছেন আগেই। একমাত্র ছেলে কর্মসূত্রে বাইরে থাকেন। বিয়ে হয…



নিজস্ব সংবাদদাতা,শালবনী , মেদিনীপুর....

'পশ্চিম মেদিনীপুরে জেলার চন্দ্রকোনা রোডের শান্তিনগর কলোনির বাসিন্দা ষাটোর্ধো দেবী সাহা বাড়িতে প্রায় একাই থাকেন। স্বামী মারা গিয়েছেন আগেই। একমাত্র ছেলে কর্মসূত্রে বাইরে থাকেন। বিয়ে হয়ে গিয়েছে দুই মেয়েরও। বাড়িতে একা থাকার জন্য নিঃসঙ্গতার কারণেই হয়তো ধীরে ধীরে কিছুটা মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছেন বা স্মৃতিভ্রংশ  রোগে আক্রান্ত হয়েছেন দেবী সাহা। এর আগেও কয়েকবার বাড়ি ছেড়ে ইতিউতি চলে গিয়েছেন বলে খবর।তখন বাড়িতে ফিরিয়ে এনেছেন পরিবার পরিজনেরা। বুধবার ফের পথ ভুলে চন্দ্রকোনারোড থেকে পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনী সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল চত্বরে পৌঁছে যান বছর ৬০'র দেবী সাহা। শেষমেশ  সেদিন রাতেই তাঁকে বাড়ি  ফেরানো হয়!

বুধবার রাতেই চন্দ্রকোনা রোডের দেবী সাহাকে শান্তিকলোনিতে পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করলেন 'ছত্রছায়া' গ্রুপের প্রধান কান্ডারী সমাজকর্মী নূতন ঘোষ। শালবনী সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের আধিকারিক এবং সমাজকর্মী নূতন ঘোষের বর্ণনা অনুযায়ী, বুধবার  সকালের দিকে দেবী সাহাকে শালবনী হাসপাতাল চত্বরে দেখে স্বাস্থ্যকর্মীরা প্রথমে তাঁকে রোগীর পরিজন ভেবেছিলেন। তবে, দুপুর থেকে প্রায় বিকেল পর্যন্ত ইতস্তত ঘুরে বেড়াতে দেখে তাঁদের সন্দেহ হয়। ওই বৃদ্ধার নাম, পরিচয় জানার চেষ্টা করেন তাঁরা। মুখের দিকে ফ্যাল ফ্যাল করে তাকানো ছাড়া, কিছুই অবশ্য বলতে পারেননি বৃদ্ধা দেবী সাহা।শেষ পর্যন্ত হাসপাতালে দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মীদের সহায়তায় তাঁকে হাসপাতালের ভেতরে নিয়ে যান স্বাস্থ্যকর্মীরা। তবে, প্রাথমিক ও সাধারণ কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তাঁরা বুঝতে পারেন, বৃদ্ধা স্মৃতি বা মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছেন। আর কোনও রোগজ্বালা তেমন নেই! এরপরই, হাসপাতালের অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার প্রতীক মণ্ডল যোগাযোগ করেন, শালবনীর বাসিন্দা তথা 'ছত্রছায়া' গ্রুপের কর্ণধার ও সমাজকর্মী নূতন ঘোষের সঙ্গে।


বৃদ্ধার ছবি এবং নিজের ফোন নম্বর সহ 'ছত্রছায়া' গ্রুপে নূতন বাবু  বিস্তারিতভাবে পোস্ট করেন বুধবার সন্ধ্যা নাগাদ। মাত্র এক ঘন্টার মধ্যেই সাড়া পাওয়া যায়। নূতন বাবু'র পরিচিত, চন্দ্রকোনা রোডের এক ব্যক্তি যোগাযোগ করেন তাঁর সাথে। এরপর, তাঁর মাধ্যমেই বৃদ্ধার এক মেয়ের ফোন নম্বর জোগাড় করেন নূতন বাবু। তারপর, শালবনী থানার পুলিশ ও শালবনীর বিএমওএইচ কৌশিক সিং সহ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তৎপরতায় রাতেই দেবী সাহা-র বাড়ি ফেরার ব্যবস্থা করা হয়। আত্মীয়রা এসে তাঁকে বাড়ি নিয়ে যান রাত্রি ১০টা নাগাদ। যোগাযোগ করিয়ে দেওয়ার জন্য তাঁরা ধন্যবাদ জানান নূতন ঘোষ-কেও। নূতন বলেন, "সামান্য কর্তব্য পালন করেছি করেছি মাত্র! এক অসহায় বৃদ্ধাকে তাঁর বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করেছি। তবে, শালবনী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবদানও কম নয়।"