নিজস্ব প্রতিবেদক, মেদিনীপুর :হঠাৎ করে ২ ঘন্টা করে পরীক্ষা সময়কে এগিয়ে আনার উদ্বেগকে সঙ্গে নিয়েই শুক্রবার শুরু হচ্ছে এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষা। সবরকম প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন পর্ষদ সহ প্রতিটি পরীক্ষাকেন্দ্রে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেল…
নিজস্ব প্রতিবেদক, মেদিনীপুর :
হঠাৎ করে ২ ঘন্টা করে পরীক্ষা সময়কে এগিয়ে আনার উদ্বেগকে সঙ্গে নিয়েই শুক্রবার শুরু হচ্ছে এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষা। সবরকম প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন পর্ষদ সহ প্রতিটি পরীক্ষাকেন্দ্রে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ১২৫-টি পরীক্ষাকেন্দ্রে এবার পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৫১,২৬৮। এর মধ্যে- ছাত্র ২৩,৬২৮ এবং ছাত্রী ২৭,৬৪০। উল্লেখ্য যে গতবারের তুলনায় এবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে ১২ হাজারের কিছু বেশি।২০২৩ এ জেলায় পরীক্ষার্থী ছিল প্রায় ৩৯ হাজার। এবার প্রতিটি পরীক্ষা কেন্দ্রই সিসি ক্যামেরায় আওতায় থাকবে। জেলার হেল্পলাইন নম্বর গুলি হল: ০৩২২২- ২৭৫৪৫৫, ০৩২২২- ২৭৬৫৮২। এছাড়াও, ঘাটাল, খড়্গপুর ও মেদিনীপুর মহকুমার বিশেষ হেল্পলাইন নম্বরগুলি যথাক্রমে- ০৩২২৫-২৫৫১৪৫, ০৩২২২-২২৫৫১৩ ও ০৩২২২-২৭৫৩৩০।
উল্লেখ্য যে, এবার মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢোকার সময় করা হয়েছে সকাল সাড়ে ৮-টা থেকে। প্রশ্নপত্র বিতরণ করা হবে সকাল ৯:৪৫-এ। পরীক্ষার সময় সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা। অন্যদিকে, রাজ্য সরকার তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে রাজ্য জুড়ে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের সম্পূর্ণ বিনা ভাড়ায় পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য পরিবহন দপ্তর। সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে বাস মালিক সংগঠনগুলি। অপরদিকে, পাহাড় ও জঙ্গলমহলের ক্ষেত্রে বনদপ্তরের তরফে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। হাতি অধ্যুষিত বনপথে নজরদারি চালানোর সাথে সাথেই, জঙ্গল রাস্তায় থাকবে বনদপ্তরের এসকর্ট গাড়ি বা ঐরাবত। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পিড়াকাটা, চাঁদড়া, কলসীভাঙা, গোয়ালতোড় প্রভৃতি এলাকার পরীক্ষার্থীদের এসকর্ট করে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছে দেবে বনদপ্তর। অর্থাৎ পরীক্ষার্থীদের বাস বা গাড়ির সামনে থাকবে বনদপ্তরের হুটার লাগানো বিশেষ গাড়ি বা ঐরাবত।
তবে, জঙ্গল রাস্তায় সাইকেল বা বাইকে করে পরীক্ষাকেন্দ্রে যাবেন যেসব পরীক্ষার্থী বা অভিভাবকেদা তাঁদের সুরক্ষার বিষয়েও বনকর্মীরা এই ক'দিন তৎপর থাকবেন বলেই জানানো হয়েছে মেদিনীপুর রেঞ্জ, পিড়াকাটা রেঞ্জ, চাঁদড়া রেঞ্জ, ভাদুতলা রেঞ্জ, আড়াবাড়ি রেঞ্জ সহ বনদপ্তরের তরফে।